AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

PM Narendra Modi: ‘আপনি কাশীতে গিয়ে আমিষ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন’, দক্ষিণী উপরাষ্ট্রপতি রাধাকৃষ্ণণকে স্বাগত জানালেন মোদী

PM Modi in Parliament: প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, " যারা নতুন সাংসদ বা অল্পবয়সী সাংসদ, তারা খুব দুঃখী। তাদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের কেন্দ্রের সমস্যা তুলে ধরতে দেওয়া হচ্ছে না। যে দলেরই হোক না কেন, নতুন প্রজন্মের সাংসদদের সুযোগ দেওয়া উচিত। আমি অনুরোধ করছি, এই বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হোক। ড্রামা করার জন্য অনেক জায়গা আছে, এখানে ডেলিভারি করতে হবে।"

PM Narendra Modi: 'আপনি কাশীতে গিয়ে আমিষ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন', দক্ষিণী উপরাষ্ট্রপতি রাধাকৃষ্ণণকে স্বাগত জানালেন মোদী
সংসদে প্রধানমন্ত্রী মোদী।Image Credit: Sansad TV
| Updated on: Dec 01, 2025 | 11:53 AM
Share

নয়া দিল্লি: সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ থেকে। ১ ডিসেম্বর থেকে আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে শীতকালীন অধিবেশন। এই অধিবেশনে ১৪টি বিল পেশ করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে বিরোধীরা এসআইআর, বিএলও মৃত্যু সহ একাধিক বিষয় নিয়ে সুর চড়াবে। প্রথা মেনেই সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। এইবারের অধিবেশনে কী লক্ষ্য তাদের, তা নিয়ে কথা বললেন। এ দিন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন-

  1. আপনি গণতন্ত্রের সৈনিক হিসাবে ছাত্রাবস্থা থেকে লড়াই করেছেন। জরুরি অবস্থার সময় যে লড়াই করেছিলেন, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, তা মানুষের কাছে প্রেরণা হয়ে থাকবে। আপনি সবসময় দায়িত্ব পালন করেছেন। নতুন প্রদন্মকে সুযোগ দিয়েছেন। সাংসদ হিসাবেও আপনি নিজের এলাকার উন্নয়নের জন্য কথা বলেছিলেন। এই লড়াই আমাদের সকলকে মার্গদর্শন করাবে। আমার তরফ থেকে, সংসদের তরফ থেকে আপনাকে শুভেচ্ছা।
  2. উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পর আপনি কাশী গিয়েছিলেন, ওখানে আপনি বলেছিলেন যে আমিষ খাবার খেলেও, প্রথমবার যখন মা গঙ্গার আশীর্বাদ নিয়েছিলেন, তখন আপনার অন্তরে অনুভূতি হয়, আপনি সিদ্ধান্ত নেন যে আমিষ খাবেন না। আমি বলছি না যে যারা আমিষ খান, তারা খারাপ। কিন্তু কাশীর মাটিতে দাঁড়িয়ে এই আত্মোপলব্ধি বিশেষ বিষয়। কাশীর সাংসদ হিসাবে এই ঘটনা আমি সবসময় মনে রাখব।
  3. সংসদের অধিবেশনের শুরুতেই উপরাষ্ট্রপতি সিপি রাধাকৃষ্ণণকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অতি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসে আপনি নিজের জীবন দেশের সেবায় নিয়োজিত করেছেন। আপনার জীবনে প্রভাব ফেলা দুটি ঘটনা বলি। আপনি ছোটবেলায় একটি পুকুরে ডুবে যাচ্ছিলেন। কেউ আপনাকে বাঁচিয়েছিল। দ্বিতীয় ঘটনা, কানপুরে লালকৃষ্ণ আদবাণীজির যাত্রা হওয়ার কথা ছিল, তার আগে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয়েছিল, ৬০-৭০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় আপনি অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিলেন। এই ঘটনাগুলি আপনার ভাবনাকে প্রভাবিত করেছে।”
  4. এই অধিবেশন আরও একটা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের নতুন সভাপতি দায়িত্ব গ্রহণ করছেন। বিগত কিছু সময় ধরে সংসদে নির্বাচন বা হারের দুঃখপ্রকাশ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন অবস্থা যে অনেকে ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও কাজ করছেন না। যাবতীয় রাগ সংসদে এসে বের করছেন। সংসদকে রাজ্যের রাজনীতির জন্য ব্যবহার করার চল শুরু হয়েছে। কিছুজন এটা শুরু করেছে। তাদের এটা ভাবা উচিত যে বিগত ১০ বছর ধরে এই যে খেলা খেলছেন, দেশ তা গ্রহণ করছে না। রণনীতিতে পরিবর্তন করুন।কীভাবে পারফর্ম করতে হবে, আমি টিপস দিতে তৈরি আছি। সাংসদদের অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। সাংসদদের কথা বলার সুযোগ দিন। নিজেদের নিরাশা-হারের বলি সাংসদদের করবেন না। রাষ্ট্র উন্নতির পথে চলছে। এই সংসদও সেই লক্ষ্যে কাজ করবে।
  5. যারা নতুন সাংসদ বা অল্পবয়সী সাংসদ, তারা খুব দুঃখী। তাদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের কেন্দ্রের সমস্যা তুলে ধরতে দেওয়া হচ্ছে না। যে দলেরই হোক না কেন, নতুন প্রজন্মের সাংসদদের সুযোগ দেওয়া উচিত। আমি অনুরোধ করছি, এই বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হোক। ড্রামা করার জন্য অনেক জায়গা আছে, এখানে ডেলিভারি করতে হবে। স্লোগান দেওয়ার জন্য গোটা দেশ ফাঁকা পড়ে আছে, যেখানে হেরে গিয়েছেন, সেখানে বলেছেন। যেখানে হারবেন, সেখানে গিয়েও বলুন। হতে পারে, রাজনীতিতে নেগেটিভিটি কাজ করে। দেশের উন্নয়নে নজর দিন, এটা আমার অনুরোধ।
  6. এই অধিবেশন সংসদ দেশের জন্য কী ভাবছে, কী করতে চাইছে এবং কী করবে-তাকে কেন্দ্র করে হওয়া উচিত। বিরোধীদেরও নিজের দায়িত্ব পালন করা উচিত। পরাজয়ের নিরাশা থেকে বেরিয়ে এসে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরুক। দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, দুই-একটি দল পরাজয়ও মানতে পারে না। গতকাল আমি যা ভাষণ শুনলাম, তাতে পরাজয় এদের মধ্যে আরও নিরাশা তৈরি হয়েছে। সকল দলের কাছে অনুরোধ, শীতকালীন অধিবেশনে হারের দুঃখ বা বিজয়ের অহংকারে যেন পরিণত না হয়। সংযতভাবে, দায়িত্ব সহকারে জনগণের উন্নয়নে জনপ্রতিনিধি হিসাবে আগামীর জন্য ভাবা উচিত। কীভাবে আরও ভাল করা যায়, কোনও ভুল থাকলে তা তুলে ধরা উচিত। জানি এটা পরিশ্রমের কাজ, কিন্তু দেশের জন্য করা উচিত।
  7. একদিকে গণতন্ত্র ব্যবস্থা মজবুত করা এবং গণতন্ত্রের ভিতরে অর্থতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা গোটা বিশ্ব দেখছে। ভারত প্রমাণ করে দিয়েছে, গণতন্ত্রও সেবা করতে পারে। যে গতিতে আজ ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, বিকশিত ভারতের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তা আমাদের শক্তি দেয়।
  8. শীতকালীন অধিবেশন শুধু প্রথা নয়, দেশকে প্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে অভিযান চলছে, তাতে গতি আনবে এই অধিবেশন। ভারতে গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস আরও মজবুত হচ্ছে। বিহারে যে নির্বাচন হয়েছে, তাতেও যেভাবে ভোটের হার বেড়েছে, তা গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস, আস্থাকেই তুলে ধরে। মা-বোনেদের ভোট দেওয়ার হার বেড়েছে। এটা নতুন আশা, বিশ্বাস তৈরি করে।