‘কারোর হাত বাদ গিয়েছে, কারোর চোখ নষ্ট…’, মাওবাদী সন্ত্রাস নিয়ে বিচলিত হতেন মোদী, ভাগ করলেন কষ্টের কথা
Naxal: প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "কংগ্রেস সরকারে থাকাকালীন শহুরে নকশালের প্রভাব এতটাই বেশি ছিল যে বাকি দেশ মাওবাদী সন্ত্রাসবাদ নিয়ে জানতেই পারত না। সন্ত্রাসবাদ ও ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বহু আলোচনা হলেও, শহুরে নকশালরা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলি দখল করে রেখেছে এবং মাওবাদী সন্ত্রাস ও হিংসা ধামাচাপা দিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।"

নয়া দিল্লি: নকশালমুক্ত হবে ভারত। সেই দিন আর বেশি দূরে নয়, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। একইসঙ্গে কংগ্রেসকে দুষলেন শহুরে নকশালদের পোষণের জন্য।
এনডিটিভি-র কনক্লেভে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তিনি বলেন, “কংগ্রেস সরকারে থাকাকালীন শহুরে নকশালের প্রভাব এতটাই বেশি ছিল যে বাকি দেশ মাওবাদী সন্ত্রাসবাদ নিয়ে জানতেই পারত না। সন্ত্রাসবাদ ও ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে বহু আলোচনা হলেও, শহুরে নকশালরা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলি দখল করে রেখেছে এবং মাওবাদী সন্ত্রাস ও হিংসা ধামাচাপা দিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। কয়েকদিন আগেই মাওবাদী সন্ত্রাসের শিকার বহু মানুষ দিল্লিতে এসেছিলেন। কারোর হাত বাদ চলে গিয়েছিল, কারোর পা, কারোর চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নিরাপরাধ মানুষেরা মাওবাদী সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছেন। তাও বিরোধী দল যে তাদের দুর্দশার প্রতি খুব কম মনোযোগ দিয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী জানান, বিগত ৭৫ ঘণ্টায় ৩০৩ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেছেন। দেশের মধ্যে মাত্র তিনটি রাজ্যে বামপন্থী চরমপন্থার কবলে রয়েছে। মোদী বলেন, “১১ বছর আগে দেশের প্রায় ১২৫টি জেলা মাওবাদী অধ্যুষিত ছিল। আজ সেই সংখ্যাটা কমে ১১টি জেলায় নেমে এসেছে। এর মধ্যে মাত্র ৩টি জেলায় তাদের শক্ত ঘাঁটি। বিগত ৭৫ ঘণ্টাতেই ৩০৩ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেছে, এরা কেউ সাধারণ নয়, কারোর মাথায় ১ কোটি, কারোর মাথায় ১৫ লক্ষ, ৫ লক্ষের পুরস্কার ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “বিগত ৫০-৫৫ বছরে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে মাওবাদী হামলায়। এই নকশালরা স্কুস, হাসপাতাল তৈরি হতে দিত না…চিকিৎসকদের ক্লিনিকে ঢুকতে দিত না, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোমা মারত। তরুণদের প্রতি অবিচার ছিল মাওবাদী সন্ত্রাসবাদ। আমি খুব বিচলিত বোধ করতাম…এই প্রথম আমি সেই কষ্ট বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম।”
২০১৪ সালের পর থেকে সরকার কীভাবে যুব সমাজকে মূল স্রোতে ফেরাতে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে এসেছে, সে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, লাল করিডরে কেউ সংবিধানের নাম পর্যন্ত নিত না। সরকার নির্বাচিত হত, কিন্তু ওই অঞ্চলে তাদের কোনও ক্ষমতা ছিল না। সূর্য ডোবার পর বাড়ি থেকে বেরনো বিপদজনক ছিল, যারা জনগণের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাদেরকেই নিরাপত্তা নিতে হত।
