GST on Popcorn: টিকিটে কর না বাড়লেও সিনেমা দেখার খরচ বাড়তে পারে, পপকর্নেই লুকিয়ে উত্তর
GST on Popcorn: সিনেমা দেখার খরচ বোধহয় বেড়ে গেল। না মুভি টিকিটে বাড়তি কর বসছে না। আপনাকে বাড়তি জিএসটি দিতে হতে পারে পপকর্নের জন্য। আপনি কী পপকর্ন খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করবে, কত শতাংশ জিএসটি দেবেন।
বিমায় কি জিএসটি কমবে? গত কয়েকদিনে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। কিন্তু, শনিবার জয়সলমেঢ়ে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পরে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেওয়ার কথা জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ফলে বিমায় জিএসটি কমা নিয়ে অপেক্ষা বাড়ল। এদিকে, সিনেমা দেখার খরচ বোধহয় বেড়ে গেল। না মুভি টিকিটে বাড়তি কর বসছে না। আপনাকে বাড়তি জিএসটি দিতে হতে পারে পপকর্নের জন্য। আপনি কী পপকর্ন খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করবে, কত শতাংশ জিএসটি দেবেন।
বিষয়টা একটু ব্যাখ্যা করা যাক। আপনি লুজ পপকর্ন, প্যাকেট পপকর্ন নাকি মিষ্টি পপকর্ন খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে জিএসটি দিতে হবে। লুজ পপকর্নে জিএসটি ৫ শতাংশ। প্যাকেটের হলে ১২ শতাংশ। আর ক্যারামেল কোটেড মানে মিষ্টি পপকর্নে ১৮ শতাংশ জিএসটি গুনতে হবে। বলা হয়েছে, ভুট্টাদানার ওপর ক্যারামেলের কোটিং চাপলে সেটা চরিত্র বদলে কনফেকশনারি হয়ে যাচ্ছে। তাই, ১৮ শতাংশ কর আদায়।
অন্যদিকে, ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটা করে বিল না মিটিয়ে ফেলে রাখাটা যাঁদের অভ্যাস তাঁরা কিন্তু সাবধান। কত সুদ গুনতে হবে আপনি তা আর হিসেবের মধ্যে রাখতে পারবেন না। ব্যাঙ্ক এইবার থেকে যা ইচ্ছা তাই সুদ নিতে পারে। চাইলে পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশি বা তারও বেশি। সুদের ওপরে কোনও উর্ধ্বসীমা আর থাকছে না। এতদিন যা ছিল সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ। ২০০৮ সালে জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনের নির্দেশে এই ৩০ শতাংশের উর্ধ্বসীমা বেধে দেওয়া হয়। একাধিক এনজিও কমিশনে গিয়ে বলে মানুষ ক্রেডিট কার্ডের বিল দিতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে। যুক্তি কমিশনের ঠিক মনে হওয়ায় তারা ৩০ শতাংশের নিয়ম বেঁধে দেয়।
এই খবরটিও পড়ুন
এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় কয়েকটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক। তারা যুক্তি দেয় যে সুদের হারে আপার লিমিট থাকায় তাদের লাভে হাত পড়ছে। আর রিস্ক ক্যালকুলেশনে সমস্যা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী ও সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চ সেই আবেদনে সায় দিয়েছে। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনের রায় খারিজ। ক্রেডিট কার্ডে সুদের হারে কোনও আপার লিমিটই আর থাকবে না। ব্যাঙ্ক ও নন-ব্যাঙ্ক ফিনান্সিয়াল ইন্সটিটিউশনগুলো তাদের যেমন ইচ্ছে তেমন সুদের হার ঠিক করতে পারবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর কিছুদিনের মধ্যেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকেও নতুন কোনও নির্দেশ, গাইডলাইন বা পলিসি ডিসিশন আসতে আমরা দেখতে পারি। সে যাই হোক না কেন, মোদ্দা কথা হল এবার কিন্তু সময়ের মধ্যে ক্রেডিট কার্ডের বিল মিটিয়ে না দিলে বড়রকম আক্কেল সেলামি দিতে হতে পারে। তাই, সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে। আর ধারে কেনার অভ্যাসটা কমাতে পারলে তো সবচেয়ে ভাল।