Abbas Ali: Abbas Ali: নারীপাচার মামলায় জেলে গিয়েছিলেন, শ্রীঘরে বসেই জঙ্গি তৈরির পাঠ শিখেছিলেন আব্বাস, শিক্ষাগুরু কে ছিলেন?
Abbas Ali: ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর খাগড়গড়ে বিস্ফোরণে ২ জনের মৃত্যু হয়। ওই বিস্ফোরণের পিছনে জঙ্গি যোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। খাগড়াগড় বিস্ফোরণে যুক্ত সন্দেহে মুর্শিদাবাদ থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। একসময় জেলে তাঁদের সংস্পর্শেই এসেছিলেন আব্বাস।
মুর্শিদাবাদ: জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরই হরিহরপাড়া থেকে ধৃত আব্বাস আলির সম্পর্কে একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। নারী পাচার মামলায় এর আগে জেলও খেটেছেন তিনি। এবার জানা গেল, পূর্ব বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্তদের সঙ্গে একসময় জেলও খেটেছিলেন আব্বাস। তাহলে কি খাগড়াগড়কাণ্ডে ধৃতরাই আব্বাসের মগজধোলাই করেছে?
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর খাগড়গড়ে বিস্ফোরণে ২ জনের মৃত্যু হয়। ওই বিস্ফোরণের পিছনে জঙ্গি যোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। খাগড়াগড় বিস্ফোরণে যুক্ত সন্দেহে মুর্শিদাবাদ থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। একসময় জেলে তাঁদের সংস্পর্শেই এসেছিলেন আব্বাস।
জানা গিয়েছে, পকসো ও নারীপাচার মামলায় ২০১৮ সালে বহরমপুর জেলা সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল আব্বাসকে। তাঁর আগে ২০১৭ সালে জেলে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেইসময় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন আব্বাস। পরে হরিহরপাড়ার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। তারপরই বহরমপুর জেলা সংশোধনাগারে পাঠানো হয় আব্বাসকে। সেইসময় সেখানে বন্দি ছিলেন খাগড়াগড়কাণ্ডে মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত ৮ জন।
এই খবরটিও পড়ুন
গোয়েন্দারা মনে করছেন, জেলে মগজধোলাই হয়েছিল আব্বাসের। খাগড়াগড়কাণ্ডে অভিযুক্তদের সহায়তায় বাংলাদেশি জঙ্গিদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। জেল থেকে বেরিয়েই মাদ্রাসা চালু করেন তিনি। সেই মাদ্রাসার অনুমোদন ছিল না। এমনকি, মাদ্রাসার বোর্ডও ছিল না। জনাকুড়ি ছাত্র নিয়ে শুরু করেন মাদ্রাসা। মাদ্রাসা চালানোর জন্য টাকা সংগ্রহে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, দিন চারেক আগে আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর সঙ্গে মিনারুল শেখ নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।