CPIM: ব্যক্তি পুজো নয়, দলগতভাবে TMC-BJP এর বিরুদ্ধে লড়াই চলবে, ‘ইতিহাস’ তৈরি করে বার্তা দেবলীনার
CPIM: দেবলীনার লড়াকু মুখ কী চাঙ্গা করতে পারবে জঙ্গলমহলের দলীয় সংগঠন? নিজেদের পক্ষে কী আদিবাসী ভোট ব্যঙ্ক টানতে পারবে সিপিএম? আশায় বুক বাঁধছে বাম নেতৃত্ব। জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে।
বাঁকুড়া: নজিরবিহীনভাবে প্রথম দলিত মহিলা হিসাবে সিপিএমের জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী দেবলীনা হেমব্রম। বৃহস্পতিবার দলের জেলা সম্মেলন শেষে বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব নেন তিনি। জঙ্গলমহলের লড়াকু আদিবাসী নেত্রীর হাত ধরেই জঙ্গলমহলে ঘুরে দাঁড়াবে সিপিএম। আশায় বুক বাঁধছে বাম নেতৃত্ব।
সিপিএমের ইতিহাসে জেলা সম্পাদক হিসাবে কোনও মহিলাকে দায়িত্ব দেওয়ার নজির আগে নেই।এই প্রথম বাঁকুড়া জেলায় সেই নজির গড়লেন দেবলীনা হেমব্রম। তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বামেদের মধ্যে। ১৯৯৬ সালে প্রথম রানিবাঁধ বিধানসভা থেকে সিপিএমের বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন দেবলীনা। ২০০৬ সালে আবার রানিবাঁধ বিধানসভা থেকে নির্বাচিত হয়ে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১১ সালে গোটা রাজ্যে পরিবর্তনের ঝোড়ো হাওয়াতেও দেবলীনা হেমব্রম নিজের রানিবাঁধ বিধানসভায় জয়ী হন। রাজ্যে পালাবদলের পর বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে সিপিএমের লড়াকু আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১১ সালে বিধানসভার অভ্যন্তরেই শাসকদলের হাতে আক্রান্তও হন দেবলীনা। পরবর্তীতে ব্রিগেডে দেবলীনা হেমব্রমের জ্বালাময়ী বক্তব্য তাঁকে রাজনৈতিক মহলে অন্যতম লড়াকু মুখ করে তোলে।
দলের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হওয়ার পাশাপাশি তাঁকে রাজ্য কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। হয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এদিকে এরইমধ্যে দলের নিয়ম মেনেই ৯ বছর দায়িত্ব সামলানোর পর বাঁকুড়ার জেলা সম্পাদকের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় অজিত পতিকে। ২২ ও ২৩ জানুয়ারি বড়জোড়ায় আয়োজিত সিপিএমের ২৪ তম জেলা সম্মেলনে বাঁকুড়া জেলার সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হন দেবলীনা হেমব্রম। তাঁকে নিয়ে জোর চর্চা চললেও দেবলীনার দাবি, তিনি ব্যক্তি হিসাবে কেউ নন। তাঁর কথায়, কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকার যেভাবে মানুষের উপর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে, যেভাবে মানুষকে বঞ্চিত করছে তার বিরুদ্ধে দলগতভাবে লড়াই জারি থাকবে।