Delay in Flat Delivery: দশ বছর ধরে দড়ি টানাটানি! সময়ে ফ্ল্যাট না দেওয়ায় বিল্ডারকে ২ কোটি টাকা জরিমানা আদালতের
Delay in Flat Delivery: ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ কতটা এগিয়েছে জিজ্ঞাসা করলেই নিরুত্তর হয়ে যান সেই বিল্ডার। এদিকে একটার পর একটা বছর পেরিয়ে চলেছে। মিলছে না ফ্ল্যাট। বাঁধ ভাঙে ২০১৭ সালে।
নয়াদিল্লি: প্রতিশ্রুতির পর প্রতিশ্রুতি। সঠিক সময়ে ফ্ল্যাট কেনার জন্য বুকিং অ্যামাউন্ট প্রদান করেও মাথার উপর জুটল না ছাদ। ফলত, বিপদ বুঝে রেরা বা আবাসন সংক্রান্ত আদালতে গিয়ে হাজির দম্পতি।
ঘটনাটা ঠিক কী?
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৩ সালে। নিজেদের একটা ফ্ল্যাট কেনার স্বপ্ন দেখেছিল হরিয়ানার এক দম্পতি। নয়ডার গুরুগ্রামের কর্মসূত্রে বাস। তাই অফিসের আশেপাশেই একটা বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনার স্বপ্ন বুকে বেঁধে ছিল তারা। কিন্তু কেই বা জানত, স্বপ্ন কখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়ে যাবে।
পকেটে ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা নিয়ে তারা পৌঁছে যায় একটি ফ্ল্যাট কিনতে। বিল্ডারের আকর্ষণীয় দরের ফাঁদে পরে গোটা টাকাটাই দিয়ে ফেলেন বুকিং অ্যামাউন্ট ও রেজিস্ট্রেশনের জন্য। আর তারপর থেকেই শুরু হয় বিপত্তি। দ্রুত ফ্ল্যাটের চাবি হাতে পাওয়ার আশা নিয়ে কাটে দিন। কিন্তু এদিকে তো আর পাত্তাই নেই সেই বিল্ডারের।
ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ কতটা এগিয়েছে জিজ্ঞাসা করলেই নিরুত্তর হয়ে যান সেই বিল্ডার। এদিকে একটার পর একটা বছর পেরিয়ে চলেছে। মিলছে না ফ্ল্যাট। ক্রমাগত দড়ি টানাটানি। কবে জুটবে মাথার উপর ছাদ? উত্তর রয়ে গেল অধরাই। অবশেষে বাঁধ ভাঙে ২০১৭ সালে।
বিল্ডারকে চেপে ধরতেই সেই দম্পতি জানতে পারেন তাদের সাধের ফ্ল্যাটের কাজ নাকি একটুও গতি পায়নি। উল্টে কবেই ঝাঁপ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মাথায় চিন্তা বাড়ে তাদের। বিল্ডারকে সমস্ত টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি তোলেন সেই দম্পতি। কিন্ত বিল্ডার, সে তো নাছোড়বান্দা। কোনও মতেই টাকা ছাড়তে রাজি নয় সে। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে সেই দম্পতিকে অন্য একটি ফ্ল্যাটের প্রোজেক্ট দেখাতে নিয়ে যায় সেই বিল্ডার।
আগের তুলনায় একটু দামি। কিন্তু আগের বারের গন্ডগোলটাকে সামাল দিতে, তাদের দেওয়া টাকাতেই ফ্ল্যাট ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলেন সেই বিল্ডার। আবার নতুন করে আশার আলো দেখতে পান দম্পতি। সাধের ফ্ল্যাট ঘিরে নতুন করে বুনতে শুরু করেন স্বপ্ন। কিন্তু কয়েক বছর কাটতেই তাতে জল ঢেলে দেয় সেই বিল্ডার। আবারো সেই আগের মতোই আচরণ। বছর পেরিয়ে যাচ্ছে কিন্তু ফ্ল্যাট আর দিয়ে উঠতে পারছেন না বিল্ডার।
এমন পরিস্থিতিতে সেই বিল্ডারকে শায়েস্তা করতে ২০২২ সালে হরিয়ানার রেরা আদালতে দ্বারস্থ হন সেই দম্পতি। অভিযোগ দায়ের করেন সেই বিল্ডারের বিরুদ্ধে। আর সেই মামলায় অবশেষে জয় লাভ। দম্পতির দেওয়া ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা-সহ মোট ২ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা জরিমানা হয় সেই বিল্ডারের।