Kangana Ranaut: পঞ্জাবে কঙ্গনার গাড়ি থামালেন আন্দোলনরত কৃষকরা, তারপর কী হল…
Kangana Ranaut: কিন্তু তাসত্ত্বেও বেশ কয়েকটি দাবিতে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা
জলন্ধর: ইতিমধ্যে সংসদে নিয়মমাফিক পাশ হয়েছে তিনটি কৃষি আইন। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও আইন বাতিলে সই করে চূড়ান্ত শীলমোহর দিয়েছেন। কিন্তু তাসত্ত্বেও বেশ কয়েকটি দাবিতে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। শুক্রবার কৃষক বিক্ষোভের মুখে পড়লেন পদ্মশ্রী প্রাপ্ত বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। পঞ্জাবের রূপনগর জেলার কিরটপুর সাহিবে মহিলাসহ একদল কৃষক কঙ্গনার গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান এবং কৃষক আন্দোলনের সময় কঙ্গনা আন্দোলনরত কৃষকদের নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন, তারজন্য তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনার সময়ে কঙ্গনা ব্যক্তিগত গাড়িতে হিমাচল প্রদেশ থেকে ফিরছিলেন। কঙ্গনার অভিযোগ, পঞ্জাবে গাড়ি প্রবেশ করা মাত্রই জনতা তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে। তাঁর উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয় এবং তাঁকে হত্যা করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নিজের ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে এক ভিডিয়ো বার্তা অভিনেত্রী জানিয়েছেন, “আমি পঞ্জাবে ঢোকা মাত্রই জনতা আমার গাড়িতে আক্রমণ করে। তারা নিজেদের কৃষক বলে পরিচয় দিয়েছেন।”
কঙ্গনা ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। নিজের বাড়ি কুল থেকে রওনা দিয়ে তিনি চণ্ডীগঢ় বিমান বন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, বেলা ৩.২০ নাগাদ ঘটনাস্থলে কঙ্গনার গাড়ি প্রবেশ করা মাত্রই একদল লোক হাতে কৃষক আন্দোলনের পতাকা নিয়ে অভিনেত্রীর গাড়ি আটকায়। গাড়িকে সামনে এগতেও বাধা দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা নিকটবর্তী গ্রামেক অধিবাসী ছিলেন। আণুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ কঙ্গনার গাড়ি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, শেষ তিন দিন ধরে তারা অভিনেত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন, কারণ তাদের কাছে খবর ছিল এলাকার ওপর দিয়েই কঙ্গনার কনভয় যাবে।
পুলিশ জানিয়েছে কঙ্গনাকে ঘিরে বিক্ষোভের পেয়েই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভরত বেশ কিছু মহিলার সঙ্গে কঙ্গনাকে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল। রোরপাররে সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকশীল সোনি জানিয়েছে, পুলিশের বিশাল বাহিনী সেখানে আসার পরই বিক্ষোভকারীরা কঙ্গনার গাড়িকে এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন। গাড়িতে বসে সমগ্র ঘটনা মোবাইলবন্দী করেন অভিনেত্রী।
নিজের ভিডিয়ো বার্তা কঙ্গনা জানিয়েছেন, “তারা নিজের কৃষক বলে দাবি করছিলেন। তারা আমাকে খুন করা হুমকি দিয়েছে। আমার সঙ্গে যদি নিরাপত্তারক্ষীরা না থাকত তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারত। আমি কোনও রাজনীতিবিদ নই তবে কেন আমার গাড়ি আটকে রাখা হল? আমার নাম নিয়ে অনেকেই রাজনীতি করেন, তাই আজ এই ঘটনা ঘটল।”