Punjab Congress Infighting: সঙ্কটে ক্যাপ্টেনের গদি? বিধায়কদের বৈঠকে ডাক দিতেই শুরু জল্পনা
AICC Meeting in Punjab: সূত্রের খবর, এ দিন বিকেলে দলীয় বৈঠকের আগেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ঘনিষ্ট বিধায়কদের মোহালির বাড়িতে ডেকেছেন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর গদি নিয়ে টানাটানি হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অমৃতসর: ফের কি দ্বন্দ্ব কংগ্রেসের অন্দরে? নির্বাচনের আগে প্রচারে মন দেওয়ার বদলে দলের অন্দরে নেতা-মন্ত্রীদের ক্ষোভ মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছে দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্ব। একাধিক বিধায়কের দাবি মেনেই এ দিন পঞ্জাবে বিশেষ বৈঠকে বসছে কংগ্রেস (Congress)। শুক্রবার রাতেই টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন পঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হরিশ রাওয়াত (Harish Rawat)। সূত্রের খবর, এই বৈঠকের জেরে সমস্যায় পড়তে পারেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh), কারণ অধিকাংশ বিধায়কই তাঁর বিরুদ্ধে মতপোষণ করেন।
শুক্রবার রাতেই হরিশ রাওয়াত টুইটে বলেন, “পঞ্জাব কংগ্রেসের একাধিক বিধায়ক অনুরোধ জানিয়েছেন শীঘ্রই যেন কংগ্রেস পরিষদীয় বৈঠক ডাকা হয়। সেই আবেদন গ্রহণ করেই ১৮ সেপ্টেম্বর পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যালয়ে বিকেল ৫টায় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। কংগ্রেসের সমস্ত বিধায়কদের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে।” ওই টুইটে তিনি কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi), পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh) ও পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু(Navjot Singh Sidhu)-কেও ট্যাগ করেছেন।
The AICC has received a representation from a large number of MLAs from the congress party, requesting to immediately convene a meeting of the Congress Legislative Party of Punjab. Accordingly, a meeting of the CLP has been convened at 5:00 PM on 18th September at …..1/2 pic.twitter.com/BT5mKEnDs5
— Harish Rawat (@harishrawatcmuk) September 17, 2021
অমরিন্দর বিরোধী নভজ্যোত সিং সিধু সেটিকে রিটুইট করেন। এ দিকে সূত্রের খবর, এ দিন বিকেলে দলীয় বৈঠকের আগেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ঘনিষ্ট বিধায়কদের মোহালির বাড়িতে ডেকেছেন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর গদি নিয়ে টানাটানি হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, হরিশ রাওয়াত ছাড়াও অজয় মাকেনও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদানের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে একাধিকবার বাদানুবাদে জড়িয়েছেন। পঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্ব সিধুর হাতে তুলে দেওয়া ঘিরেও দীর্ঘদিন টানাপোড়েন চলে দলের অন্দরে। অবশেষে সনিয়া গান্ধীর নির্দেশে তিনিও সিধুকে দলের প্রধান হিসাবে গ্রহণ করে নেন। সেই সময়ে দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে বিরোধ মিটে গিয়েছে বলে মনে করা হলেও সম্প্রতিই সিধুর পরামর্শদাতা মালবিন্দর সিং মালির একটি টুইট ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। তার প্রভাব পড়ে দলের অন্দরেও।
অমরিন্দর সিংয়ের এই মন্তব্যের পরই দলের কিছু সদস্যই তাঁর বিরোধিতা করতে শুরু করেন। তৃপ্ত রাজিন্দর বাজওয়া, সুখজিন্দর সিং রানধাওয়া, চরণজিৎ সিং চান্নি, সুখবিন্দর সিং সরকারিয়া, পারগাত সিং সহ মোট ২৩ জন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অমরিন্দর সিংকে সরানোর দাবি জানান। সেই সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নেমেছিলেন দলের প্রবীণ নেতা হরিশ রাওয়াত। তিনি বলেছিলেন, “ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বেই আমরা ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচন লড়ব।”
চলতি মাসের শুরুতেই হরিশ রাওয়াত বলেছিলেন, “আমি বলব না যে সব ঠিক আছে। তবে আমরা সব ঠিক করার দিকে এগোচ্ছি। আমি আপনাদের থেকে কিছু লুকোতে চাই না। যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা যাতে দ্রুত সমাধান করা যায়, আমরা সেই চেষ্টাই করছি।”