Rahul Gandhi: বাংলার দাবি নিয়ে মোদীকে চিঠি রাহুলের, চাইলেন বকেয়া, বললেন…

Rahul Gandhi Writes To PM Modi: রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, তিনি যখন তাঁর ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই সময় পশ্চিমবঙ্গ খেত মজদুর সমিতির কর্মীরা তাঁকে, বাংলার মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিমের কর্মীদের কী ভয়ানক সমস্যায় পড়তে হয়েছে, সেই সম্পর্কে জানান তাঁকে। এরপরই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বাংলার বকেয়া নিয়ে সরব হলেন কংগ্রেস সাংসদ।

Rahul Gandhi: বাংলার দাবি নিয়ে মোদীকে চিঠি রাহুলের, চাইলেন বকেয়া, বললেন...
ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে রাহুল গান্ধীImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Feb 12, 2024 | 9:38 PM

নয়া দিল্লি: বাংলাকে কেন্দ্রে বঞ্চনা নিয়ে এবার সরব কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের কর্মীদের দুর্দশার কথা জানিয়ে, সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সাংসদ। চিঠিতে তিনি বাংলার কর্মীদের বকেয়া মজুরি মেটানোর স্বার্থে তিনি, রাজ্যের কেন্দ্রীয় তহবিল প্রদানের জন্য মোদী সরকারকে অনুরোধ করেছেন কংগ্রেস নেতা। রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, তিনি যখন তাঁর ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই সময় পশ্চিমবঙ্গ খেত মজদুর সমিতির কর্মীরা তাঁকে, বাংলার মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিমের কর্মীদের কী ভয়ানক সমস্যায় পড়তে হয়েছে, সেই সম্পর্কে জানান তাঁকে।

১০ ফেব্রুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই চিঠি লিখেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। চিঠিতে রাহুল বলেছেন, “২০২২ সালের মার্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় তহবিল বন্ধ। এর ফলে, মনরেগা প্রকল্পের অধীনে কাজ করা এবং মজুরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে আমাদের লক্ষ লক্ষ ভাই ও বোন। আমি জানতে পেরেছি, তহবিলের অভাবে ২০২১-এ কাজ করা অনেক কর্মীও তাঁদের প্রাপ্য অর্থ পাননি। তার উপর, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পের আওতায় কাজ পেয়েছিল ৭৫ লক্ষ পরিবার। ২০২৩-২৪-এ এর থেকে ৮,০০০ পরিবার বাদ পড়েছে। মবরেগা প্রকল্পের সুবিধা থেকে এই বিপুল সংখ্যক পরিবারের বাদ পড়ার কুপ্রভাব সবথেকে বেশি পড়েছে মহিলা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারগুলির উপর। যারা সমাজের সবথেকে দুর্বল অংশ।”

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে রাহুল গান্ধী আরও জানিয়েছেন, মনরেগা প্রকল্পে কাজের অভাব এবং কাজ মুলতুবি থাকায় কারণে অনেকেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। অনেককেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও কাজের সন্ধানে অন্যত্র চলে যেতে হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, আঠারো বছর আগে গ্রামীণ সম্প্রদায়ের জন্য কাজের অধিকার নিশ্চিত করতে, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের এক সম্পূর্ণ নতুন পথ বেছে নিয়েছিল ইউপিএ সরকার। সেটাই ছিল এই মনরেগা প্রকল্প। গ্রামীণ অর্থনীতিতে অনেকের জন্যই ১০০ দিনের কাজই হল একমাত্র রোজগারের উপায়। সঙ্কটের সময়ে এই প্রকল্পই তাদের কাজের নিরাপত্তা দিয়েছে। নিশ্চিত জীবিকার উৎস হিসেবে গ্রামীণ অর্থনীতিতে এই প্রকল্পের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেছেন রাহুল গান্ধী।

চিঠির শেষ অংশে কংগ্রেস নেতা লিখেছেন, “এই প্রেক্ষিতে, আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করছি, মুলতুবি রাখা মজুরি প্রদানের জন্য রাজ্যকে তহবিল দিন এবং কাজের চাহিদা পূরণ করুন। আমার মতে, রাজনৈতিক ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার দেওয়াটা আমাদের সকলের কর্তব্য।”

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলায় শুধু ১০০ দিনের কাজ নয়, আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রাপ্য টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। এই নিয়ে প্রথম থেকেই সরব তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লিতে গিয়ে কৃষি ভবনেও ধরনা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়-সহ তৃণমূল সাংসদরা। দিন কয়েক আগেই রেড রোডে একই বিষয় নিয়ে ধরনা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই নিয়ে অতীতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছিলেন মমতা। তবে, কেন্দ্রের দাবি, বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বারবার হিসেব চাওয়া হলেও, কোনও হিসেবই দেয়নি বঙ্গ সরকার। কেন্দ্রের প্রকল্পকে নাম বদলে রাজ্যের প্রকল্প বলে চালানো হচ্ছে। সেই কারণেই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। এবার একই সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাহুলও।