রাজস্থানে গেরুয়া ঝড় , পঞ্চায়েতে জয়জয়কার গেরুয়া শিবিরের

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Dec 09, 2020 | 5:32 PM

সম্প্রতি পৌরসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ভালো ফল করলেও এই নির্বাচনে প্রভাব পড়েছে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) বনাম শচিন পাইলট (Sachin Pilot)-র দ্বন্দ্বের। যে গ্রামীণ এলাকাগুলিতে কংগ্রেসের আধিপত্য ছিল, সেখানেও কমছে ভোটসংখ্যা।

রাজস্থানে গেরুয়া ঝড় , পঞ্চায়েতে জয়জয়কার গেরুয়া শিবিরের
ফাইল ছবি

Follow Us

জয়পুর: কংগ্রেসের গড়েও জয়ের পতাকা উঠল গেরুয়া শিবিরের। হায়দরাবাদ নির্বাচনের পর রাজস্থানেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Rajasthan Panchayat Election) নিজেদের প্রমাণ করছে বিজেপি (BJP)। কংগ্রেস (Congress)-র অন্তর্কলহের সুযোগে রাজস্থানের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২১টি জেলার অধিকাংশ আসন দখল করল বিজেপি। ইতিমধ্যে শুভেচ্ছাবার্তা আসতে শুরু করেছে বিজেপির উচ্চ নেতৃত্বদের কাছ থেকে।

নভেম্বরের শেষভাগ ও ডিসেম্বরের শুরুতে চারদফায় হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের ২১টি আসনের মধ্যে ১৪টিই বিজেপির দখলে থাকল। অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির ২২২টি আসনের মধ্যে ৯৩টি আসনে জয় হল গেরুয়া শিবিরের, কংগ্রেসের দখলে থাকল ৮১টি আসন। ১৯৯০টি পঞ্চায়েত সমিতিতেও জয় হয়েছে বিজেপির।

পঞ্চায়েত নিবার্চনে সাফল্য পাচ্ছে ছোট-খাটো দলগুলিও। প্রাক্তন বিজেপি নেতা হনুমান বেনিওয়ালের রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক দল (RLP) যেমন নাগৌরে জয়ী হচ্ছে, তেমনই কংগ্রেস ও বিজেপিকে হারিয়ে দুঙ্গরপুরে জয়ের মুখ দেখছে ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি (BTP)।

অন্তিম ফল ঘোষণার আগেই বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বরা শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে শুরু করেছেন। সকালেই বিজেপি প্রেসিডেন্ট জে পি নাড্ডা (J P Nadda) টুইট করে লেখেন, “রাজস্থানের পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের নির্বাচনে কৃষক, মহিলা ও সাধারণ মানুষ যেভাবে আমাদের উপর আস্থা দেখিয়েছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর গ্রামের গরীব, কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণীর আস্থারই প্রমাণ এই জয়।” শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে (Basundhara Raje)-ও। তিনি শুভেচ্ছাবার্তায় বলেন,”জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনে যে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, তাদের সকলকেই শুভেচ্ছা জানাই।”

আরও পড়ুন: ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থাকবে আগের মতই, কৃষকদের লিখিত প্রতিশ্রুতি সরকারের

প্রকাশ জাভারেকর (Prakash Javadekar) বলেন,”এতে প্রমাণ হয় যে রাজস্থানের মানুষ বিজেপির পাশে রয়েছে। কেবল রাজস্থানই নয়, বিহার, তেলাঙ্গানা, অরুণাচল প্রদেশের ফলাফলও প্রমাণ করে যে গোটা দেশের মানুষই বিজেপি ও তার সংস্কার নিয়ে খুশি। বিরোধীদের রাজনীতিকে পরিত্যাগ করেছে ভোটাররা।” তিনি আরও যোগ করে বলেন,”উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, যেদিকেই যান না কেন, সবদিকেই কেবল বিজেপি, বিজেপি আর বিজেপি। বিরেধীরা কৃষি আইন নিয়ে যতই আক্রমণ করুক না কেন, সাধারণ মানুষ বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই সমর্থন করছেন।”

সম্প্রতি পৌরসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ভালো ফল করলেও এই নির্বাচনে প্রভাব পড়েছে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) বনাম শচিন পাইলট (Sachin Pilot)-র দ্বন্দ্বের। যে গ্রামীণ এলাকাগুলিতে কংগ্রেসের আধিপত্য ছিল, সেখানেও কমছে ভোটসংখ্যা। কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতাদের আসনগুলিতেও জয়ের মুখ দেখছে বিজেপি। আজমের, যা স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘু শর্মার আসন হিসাবেই পরিচিত, সেখানে ১১টি ব্লকের মধ্যে নয়টি ব্লকে জয়লাভ করেছে বিজেপি। ক্রীড়ামন্ত্রী অশোক চন্দানার বুন্দি জেলাতেও হিন্দোলি আসনে ২৩টি ব্লকের মধ্যে ১৩টি ব্লক দখল করেছে বিজেপি।

আজমের, বানসারা, ভিলওয়ারা, বিকানির, বুন্দি, চিত্তরগড়, দুঙ্গরপুর, হনুমাননগর, জয়সালমীর, ঝালাওয়ার, ঝুনঝুনু, নাগৌর সহ মোট ২১টি জেলার ৬৩৬জন জেলা পরিষদ সদস্য ও ৪৩৭১ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নিয়োগের জন্য চারদফায় নির্বাচন হয়। আজ ভোটগণনার পর ফলঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন: বায়ু থেকে জল! অত্যাধুনিক আবিষ্কার আইআইটি গোয়াহাটির

Next Article