Jagdeep Dhankhar-Mallikarjun Kharge: ‘অনেক সহ্য করেছি’, সংসদে ধনখড়-খাড়্গের তুমুল কাজিয়া, শেখালেন ‘ভাষার সহবত’

Parliament Budget Session: খাড়্গে বলেন, "আপনার (জগদীপ ধনখড়) বিচক্ষণতা রয়েছে। সেটা বুদ্ধিমানের মতো ব্যবহার করা উচিত, যখন আপনার ইচ্ছে হল, তখন নয়"। এতেই রেগে যান রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে থামিয়ে তিনি বলেন, "আপনাদের সদস্যরা...চৌধুরি চরণ সিংকে ভারতরত্ন দেওয়া নিয়ে যখন আলোচনা হচ্ছিল, তখন আপনার সাংসদরা যে আচরণ করেছেন...আমি আর শব্দ ব্যবহার করতে চাই না।"

Jagdeep Dhankhar-Mallikarjun Kharge: 'অনেক সহ্য করেছি', সংসদে ধনখড়-খাড়্গের তুমুল কাজিয়া, শেখালেন 'ভাষার সহবত'
জগদীপ ধনখড় ও মল্লিকার্জুন খাড়্গের তুমুল বচসা।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Feb 11, 2024 | 6:59 AM

নয়া দিল্লি: লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ-কে হারাতেই তৈরি হয়েছিল ইন্ডিয়া জোট (INDIA Alliance)। এদিকে লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই পাল্টি খাচ্ছে বিরোধী শরিকরা। একের পর এক দল গিয়ে এনডিএ(NDA)-তে যোগ দিচ্ছে। ইন্ডিয়া জোটের এই ধাক্কার প্রতিফলন এবার সংসদেও দেখা গেল। সংসদে বাজেট অধিবেশনের শেষদিনে তুমুল বচসা বাধল কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge) ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) মধ্যে।

বচসার সূত্রপাত জয়ন্ত চৌধুরিকে কেন্দ্র করে। জয়ন্ত চৌধুরির দল আরএলডি ইন্ডিয়া জোটের সদস্য। তবে জোর জল্পনা, ইন্ডিয়া ছেড়ে এনডিএ-তে যোগ দিতে পারে আরএলডি। শনিবার সংসদে আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও এনডিএ সরকারকে ধন্যবাদ জানান তাঁর ঠাকুর্দা চৌধুরি চরণ সিং-কে ভারতরত্নে সম্মানিত করার জন্য। সঙ্গে সঙ্গে সরব হন কংগ্রেস সাংসদরা। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় এতেই বিরক্ত হয়ে মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে বলেন, “হয় নিজের দলের সদস্যদের নিয়ন্ত্রণ করুন, নাহলে নিজে বলুন।”

এরপরে বলতে ওঠেন কংগ্রেস সভাপতি খাড়্গে। তিনি প্রশ্ন করেন, জয়ন্ত চৌধুরিকে কোন আইনের অধীনে ভারতরত্ন নিয়ে সংসদে বলতে দেওয়া হল? খাড়্গে বলেন, “যখনই আমরা কোনও বিষয় নিয়ে বলতে চাই, আলোচনা করতে চাই, তখন আপনি প্রশ্ন করেন যয়ে কোন নিয়মে আমাদের বলার অনুমতি দেবেন। আমি একই প্রশ্ন আপনাকে করতে চাই। কোন নিয়মে জয়ন্ত চৌধুরিকে বলতে দেওয়া হল? তাহলে আমাদেরও বলার অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল। একদিকে আপনি আইনের কথা বলেন, অন্যদিকে যা খুশি করার অনুমতি দেন, যে কাউকে বলার অনুমতি দেন।”

রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, “আপনার (জগদীপ ধনখড়) বিচক্ষণতা রয়েছে। সেটা বুদ্ধিমানের মতো ব্যবহার করা উচিত, যখন আপনার ইচ্ছে হল, তখন নয়”। এতেই রেগে যান রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে থামিয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের সদস্যরা…চৌধুরি চরণ সিংকে ভারতরত্ন দেওয়া নিয়ে যখন আলোচনা হচ্ছিল, তখন আপনার সাংসদরা যে আচরণ করেছেন…আমি আর শব্দ ব্যবহার করতে চাই না।”

পাল্টা জবাবে খাড়্গে বলেন, “এটা নিয়ে রাজনীতি করবেন না। যারা দেশের জন্য কাজ করেছেন, আমরা সকলকে স্যালুট জানাই। তা তিনি যে কোনও রাজনৈতিক দলেরই হন বা যে কোনও জাত-ধর্মের। কিন্তু যেভাবে আলোচনা এগোচ্ছে, তা না কোনও নিয়ম মানা হচ্ছে, না এর জন্য অ্যাজেন্ডা আনা হয়েছে। আমরা তো তাহলে সবাই আলোচনায় অংশ নিতে পারতাম।এটা ঠিক নয়। আপনি যদি চান সকলে নিয়ম মানুক, তবে আপনারও নিয়ম মানা উচিত।”

এরপরই মেজাজ হারান উপরাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, “কারণ আমি কৃষক পরিবার থেকে এসেছি। তবে এর অর্থ এই নয় যে আমি দুর্বল চেয়ারম্যান। অনেক সহ্য করেছি। আপনার যা মনে হচ্ছে, আমায় বলছেন। এই ধরনের ভাষা আমার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করতে পারেন না। অনেক সময় আপনি এমন আচরণ করেন যেন আপনি শিক্ষক, আমি ছাত্র। আপনি ভীষণ দুঃখ দিলেন আমায়।”

রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বলেন, “বহু সদস্যরাই ইসরোর বিজ্ঞানী ও অন্যান্য বিশিষ্টজন যারা দেশকে বিশ্বমঞ্চে সম্মানিত করেছে, তাদের সম্মানিত করার আবেদন করেছিলেন। সেটা কোনও নিয়ম না দেখেই বলেছিলেন। এখন বিরোধী দলনেতা আমায় প্রশ্ন করছেন, ভারতরত্নে সম্মানিত চৌধরি চরণ সিংয়ের প্রশংসা করার জন্য কোন নিয়ম অনুসরণ করেছি। আমার নিয়ম অনুসরণ করেছি।”

মল্লিকার্জুন খাড়্গে ফের কিছু বলতে গেলে তিনি থামিয়ে বলেন, “এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করবেন না। চৌধুরি চরণ সিংয়ের এরকম অপমান আমি সহ্য করব না।”