Rashtrapatni row: ‘প্রতিষ্ঠানকে সম্মান দিতে হবে’, ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বিতর্কে অধীরের নিন্দায় মণীশ তিওয়ারি
Rashtrapatni Row: 'রাষ্ট্রপত্নী' মন্তব্য বিতর্কের মধ্যে অধীররঞ্জন চৌধুরীর সমালোচনা করলেন কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি।
নয়া দিল্লি: অধীররঞ্জন চৌধুরীর ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্য নিয়ে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে কথাযুদ্ধ চলছে। এই নিয়ে শুক্রবার (২৯ জুলাই)-ও উত্তপ্ত হতে পারে সংসদ। এরই মধ্যে, অধীররঞ্জন চৌধুরীর সমালোচনা করলেন কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি। এদিন তিনি বলেছেন, সাংবিধানিক পদে পুরুষ বা মহিলা যেই থাকুন না কেন, দুজনেরই ‘সমান সম্মান’ প্রাপ্য। সেই প্রতিষ্ঠানকে সম্মান করা উচিত। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন বিষয়েই দলের মতের সঙ্গে মণীশ তিওয়ারির মত মিলছে না। এই ক্ষেত্রেও সেটাই দেখা গেল।
এদিন তিনি একটি টুইট করে বলেন, “ভদ্রমহিলা হোন বা ভদ্রমহিলা সাংবিধানিক পদে যিনিই আসীন হোন তাঁর সমান সম্মান প্রাপ্য। সেই প্রতিষ্ঠানকে সম্মান দিতে হবে। কোনও নির্দিষ্ট পদের আসীন ব্যক্তি সেই পদের অনুরূপ হয়ে ওঠেন। কাজেই লিঙ্গের গোলকধাঁধায় হারিয়ে যাওয়ার কোনও অর্থ নেই।”
Lady or Gentleman anyone occupying a constitutional office is equally Hon’ble. Respect has to be given & should be accorded too that institution. Any person on a particular position becomes analogous too or with that office. No point in getting lost in the maze of gender.
— Manish Tewari (@ManishTewari) July 29, 2022
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন বিষয়েই দলের মতের সঙ্গে মণীশ তিওয়ারির মত মিলছে না। এই ক্ষেত্রেও সেটাই দেখা গেল। এর আগে, অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়েও, দলীয় মতের ভিন্ন অবস্থান নিয়েছিলেন মণীশ তিওয়ারি। কংগ্রেস দল যখ অগ্নিপথের তীব্র বিরোধিতা করেছিল, সেখানে এক সম্পাদকীয়তে তিনি বলেথিলেন, অগ্নিপথ প্রকল্পকে প্রতিরক্ষা সংস্কারের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত। কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল মণীশ তিওয়ারির মতামত একেবারেই ‘ব্যক্তিগত মতামত’।
অধীর চৌধুরীর ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যটি নিয়ে বৃহস্পতিবার সংসদে ঝড় বয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস নেতার তীব্র নিন্দা করে বিজেপি অভিযোগ করেছে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অধীর চৌধুরী ‘ইচ্ছাকৃতভাবে লিঙ্গবাদী অপমান’ করেছেন। এর জন্য গোটা দেশের সামনে কংগ্রেস প্রধান সনিয়া গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে হবে, এমনই দাবি তুলেছে তারা। তবে, কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা দাবি করেছেন, রাষ্ট্রপতিকে অসম্মান করা কখনই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না। ‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যটি তিনি মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন। এই বিষয়টি নিয়ে বিজেপি তিলকে তাল বানাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। অধীর জানান, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন কিন্তু ‘পাখন্ডি’দের (ভন্ডদের) কাছে ক্ষমা চাইবেন না।
বৃহস্পতিবার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে অধীর চৌধুরী বলেন, “আমরা যখন বিজয় চকে বিক্ষোভ করছিলাম, তখন সাংবাদিকরা আমায় জিজ্ঞেস করেছিলেন যে আমরা কোথায় যেতে চাই। আমি ভুল করে একবার মাত্র ‘রাষ্ট্রপত্নী’ শব্দটি বলেছিলাম। বলার পরই আমি বুঝতে পেরেছিলাম, ভুল বলেছি। আমি সাংবাদিকদের অনুরোধ করেছিলাম, ওই ভিডিও না দেখাতে। বিজেপি এখন এটা নিয়ে বিরোধ তৈরি করছে। আমি কী করতে পারি?”
বৃহস্পতিবার লোকসভায় এই বিষয় নিয়ে সনিয়া গান্ধী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়। বিজেপির সনিয়াকে ‘মৌখিক আক্রমণ এবং শারীরিকভাবে ভীতি প্রদর্শন’ করেছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। পরে, অধীর বলেন, “আমি রাষ্ট্রপতিকে অপমান করার কথা ভাবতেও পারি না। এটা একটা ভুল ছিল। রাষ্ট্রপতির খারাপ লাগলে আমি ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চাইব। তারা চাইলে আমাকে ফাঁসি দিতে পারে। আমি শাস্তি পেতে প্রস্তুত কিন্তু তাঁকে (সোনিয়া গান্ধীকে) এতে টেনে আনা হচ্ছে?”