নয়া দিল্লি: গান্ধী পরিবারের কাছ থেকে নেহেরুর চিঠি ফেরত চাইল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী মিউজিয়াম ও লাইব্রেরির তরফে সনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর লেখা চিঠিগুলি ফেরত চাওয়া হল। ২০০৮ সালে, ইউপিএ জমানায় সনিয়া গান্ধীর কাছে এই চিঠিগুলি পাঠানো হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী মিউজিয়াম ও লাইব্রেরির সদস্য রিজওয়ান কাদরি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে চিঠি দেন। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে যে নেহেরুর লেখা চিঠিগুলি, যেগুলি সনিয়া গান্ধীর কাছে পাঠানো হয়েছিল, সেইগুলি বা তার ফোটোকপি বা ডিজিটাল কপি যেন সরকারকে দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, “দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর লেখা এই চিঠিগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম”। এর আগে, গত সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেস সাংসদ সনিয়া গান্ধীর কাছেও এই অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
১৯৭১ সালে জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়ালের তরফে নেহেরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি তৈরি করা হয়। পরে তার নাম বদল করে প্রধানমন্ত্রী মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরিতে নামাঙ্কিত করা হয়। ১৯৭১ সালে জওহরলাল নেহেরুর কন্যা ইন্দিরা গান্ধী এই চিঠিগুলি মিউজিয়ামের হাতে তুলে দিয়েছিলেন সুরক্ষিত রাখার জন্য। ২০০৮ সালে জওহরলাল নেহেরুর লেখা চিঠিগুলি প্যাক করে ৫১টি বক্সে সনিয়া গান্ধীর কাছে পাঠানো হয়।
লর্ড মাউন্টব্যাটেন, আলবার্ট আইনস্টাইন থেকে শুরু করে জয়প্রকাশ নারায়ণ, পদ্মজা নাইডু, বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত, অরুণা আসাদ আলি, বাবু জগজীবন রাম, গোবিন্দ বল্লভ পন্থের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের চিঠি লিখেছিলেন জওহরলাল নেহেরু। সেই চিঠিগুলিই ২০০৮ সালে সনিয়া গান্ধীর কাছে পাঠানো হয়। সেই চিঠিই এবার ফেরত চাইছে কেন্দ্র।
এর মধ্যে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য প্রশ্ন তুলেছেন কেন লর্ড মাউন্টব্যাটনকে চিঠি লিখেছিলেন জওহরলাল নেহেরু।