Robert Vadra: ‘আমি ব্যাগও গুছিয়ে নিয়েছিলাম, তারপরই…’, প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে দেখা করতে না পেরে ক্ষোভে ফুঁসছেন স্বামী রবার্ট
Robert Vadra on Priyanka Gandhi's Arrest: তিনি বলেন, "আমায় লখনউ যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমার স্ত্রী কেমন আছে, সেটুকু জানার জন্যই আমি যেতে চেয়েছিলাম।"
সোমবারই গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ ভেঙে লখনউ থেকে লখিমপুরে যাওয়ার চেষ্টা করেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। কিন্তু মাঝপথেই তাঁকে আটক করে পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ বাকবিতরণ্ডার পর তাঁকে সীতাপুরে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই রয়েছেন। গতকালই প্রিয়ঙ্কা একটি ভিডিয়ো বার্তায় জানান, তাঁকে আইনজীবীর সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এদিন তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরাও এই ঘটনা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “আমায় লখনউ যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমার স্ত্রী কেমন আছে, সেটুকু জানার জন্যই আমি যেতে চেয়েছিলাম। এই ঘটনায় আমি অত্যন্ত আশ্চর্য ও বিচলিত হয়েছি যে কীভাবে প্রিয়ঙ্কাকে ভরতীয় দণ্ডবিধির ১৫১ ধারায় গ্রেফতার করা হল। আমি গতকালই ওর সঙ্গে কথা বলেছি এবং প্রিয়ঙ্কা আমায় জানিয়েছে যে কোনও আইনি নোটিস বা অর্ডার দেওয়া হয়নি।”
তিনি আরও যোগ করে লেখেন, “প্রিয়ঙ্কাকে কোনও আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি, আদালতেও তোলা হয়নি। আমার খুব চিন্তা হচ্ছে ওর জন্য। আমি লখনউ যাওয়ার জন্য নিজের ব্যাগও গুছিয়ে নিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরই আমায় জানানো হল যে বিমানবন্দরের বাইরেই যেতে দেওয়া হবে না আমায়।”
গতকালই প্রিয়ঙ্কা গান্ধী অভিযোগ করেন যে, সোমবার আটক করা হলেও, ৩৬ ঘণ্টা পরও তাঁকে এফআইআর বা কোনও আইনি নোটিসের কাগজ দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, “আমায় এফআইআরও দেখানো হচ্ছে না, ম্যাজিস্ট্রেট বা বিচারকের সামনেও পেশ করা হচ্ছে না। আমার আইনজীবী সকাল থেকে গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলেও তাঁর সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।”
এ দিন তাঁর স্বামী বঢরাও সেই প্রসঙ্গ টেনেই বলেন, “প্রিয়ঙ্কার স্বামী হিসাবেও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারব না, এতেই আমি অবাক হচ্ছি। ইশ্বরকে অনেক ধন্যবাদ যে ওর সঙ্গে জনগণের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু আমার কাছে আমার পরিবার ও স্ত্রীই সবার আগে। আমি আশা করছি যে খুব শীঘ্রই ওকে ছেড়ে দেওয়া হবে এবং সুরক্ষিতভাবে বাড়ি ফিরে আসবে প্রিয়ঙ্কা।”
প্রিয়ঙ্কার গ্রেফতারি নিয়ে কেবল কংগ্রেসই নয়, একাধিক বিরোধী দলও সমালোচনা করেছে। আজ রাহুল গান্ধীও প্রিয়ঙ্কার গায়ে হাত দেওয়া ও গ্রেফতারি নিয়ে সমালোচনা করেন। ইতিমধ্যেই তিনি লখনউয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি। তারাও আজ লখিমপুরে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন।