Sikkim disaster: কেদারনাথ, সিমলার মতোই অবস্থা সিকিমের, কেন?
Sikkim: যোশীমঠকে বাঁচাতে যেমন ইতিমধ্যে বহু নির্মাণ ভেঙে ফেলার পরামর্শ দিয়ে রিপোর্ট জারি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তবে কেবল যোশীমঠ নয়, হিমালয়-সংলগ্ন সমস্ত শহর তথা রাজ্যে জলবায়ু ও ভৌগোলিক পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিকল্পিতভাবে পরিকাঠামো নির্মাণ করতে হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
নয়া দিল্লি: হিমালয়ের কোলে অবস্থিত উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand), হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের স্মৃতি এখনও টাটকা। সেই ক্ষত এখনও শুকোয়নি। এর মধ্যে একইরকম দুর্যোগের কবলে পড়ল হিমালয়ের কোলের আরেক রাজ্য, সিকিম (Sikkim)। একেবারে হিমাচলের সিমলা, উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ বিপর্যয়ের মতোই মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হ্রদের জল ফুঁসে উঠে ভাসিয়ে নিয়ে গেল উত্তর সিকিমের লোনক হ্রদ সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় দোতলা বাড়ি সমান জল উঠেছিল। ভেসে গিয়েছে রাস্তা, ব্রিজ। নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বহু মানুষ। কিন্তু, কেন এমন ঘটল? উত্তরাখণ্ডের মতো বিপর্যয় কেন ঘটল সিকিমে? এমন প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে সকলের মনে। জবাব খুঁজতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা তিন রাজ্যের বিপর্যয়ের পিছনে একই কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কেদারনাথ, সিমলা ও সিকিমের বিপর্যয়ের কারণ প্রায় একই। উত্তরাখণ্ড, হিমাচলের মতোই হিমালয়ের কোলে অবস্থিত সিকিম। যেভাবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বাড়ছে, তার সরাসরি প্রভাব পড়ছে হিমবাহের উপর। ফলে সবচেয়ে বিপদের মুখে হিমালয়ের কোলের রাজ্যগুলি। ২০১৩ সালে যেমন হিমালয়ের কোলে অবস্থিত উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথে হিমবাহ বিস্ফোরিত হয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ ঘটেছিল, সবকিছু নিমেষের মধ্যে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, কয়েকমাস আগে একই বিপর্যয় ঘটেছিল হিমাচলের সিমলায়, এবার ঠিক তেমনই ঘটনা ঘটেছে সিকিমে। অর্থাৎ সিকিমের এই বিপর্যয়ের পিছনে অন্যতম কারণ হল, জলবায়ুর পরিবর্তন।
আবার সিকিমের বিপর্যয় খানিক ‘ম্যান মেড’ বলেও অভিযোগ উঠছে। কেননা যোশীমঠে যেভাবে অপরিকল্পিতভাবে বহুতল, হোটেল গড়ে তোলা হয়েছিল, তেমনই সিকিমেও ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে একাধিক অপরিকল্পিত হোটেল। উত্তর সিকিমের মতো সুউচ্চ এলাকাতেও পাহাড় কেটে পাহাড়ের গায়ে পরপর গড়ে তোলা হয়েছে হোটেল। রাস্তা, বাঁধও ভূ-বিদদের পরামর্শ না নিয়েই গড়ে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। যার ফলে ড্রেনেজ সিস্টেম অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সামগ্রিকভাবে এই ‘অপরিকল্পিত শহর’ গড়ে তোলার পরিণতিই বর্তমান বিপর্যয়ের কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যোশীমঠকে বাঁচাতে যেমন ইতিমধ্যে বহু নির্মাণ ভেঙে ফেলার পরামর্শ দিয়ে রিপোর্ট জারি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তবে কেবল যোশীমঠ নয়, হিমালয়-সংলগ্ন সমস্ত শহর তথা রাজ্যে জলবায়ু ও ভৌগোলিক পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিকল্পিতভাবে পরিকাঠামো নির্মাণ করতে হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।