CPIM: খারাপ রেজাল্ট করেও দক্ষিণের থেকে এগিয়ে উত্তর, কলকাতায় নতুন সিপিএমের ভরসা পুরনো কল্লোলই
CPIM: এবারের কলকাতা জেলা সিপিআইএমের সম্মেলনে উত্তর বনাম দক্ষিণ লড়াই ছিল। সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সামগ্রিকভাবে সংগঠনের অবস্থা বেশ খারাপ। তার মধ্যেও দক্ষিণ কলকাতা কিছু কর্মসূচি সংগঠিত করলেও উত্তর কলকাতার হাল তলানিতে।
কলকাতা: গত তিন বছরের লড়াই আন্দোলনের নিরিখে দক্ষিণ কলকাতা এগিয়ে থাকলেও কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে টেক্কা দিল উত্তর কলকাতা। সিপিআইএমের কলকাতা জেলা সম্মেলন থেকে ৬৬ জনের নতুন কমিটি তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, জেলা কমিটির সদস্য সংখ্যা নিরিখে উত্তর কলকাতা বেশ কিছুটা এগিয়ে থাকল দক্ষিণ কলকাতার থেকে। ১২ জন বাদ গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজন মারা গিয়েছেন। বয়সের কারণে চারজন বাদ পড়েছেন। আর বাকি চারজন পারফরম্যান্সের নিরিখে বাদ পড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম টালিগঞ্জের গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়।
নতুন কমিটিতে সংযোজন করা হয়েছে ১২ জনকে। কলকাতা জেলা ডিওয়াইএফআইয়ের সম্পাদক ও সভাপতিকে জেলা কমিটিতে আনা হয়েছে। এবারের কলকাতা জেলা সিপিআইএমের সম্মেলনে উত্তর বনাম দক্ষিণ লড়াই ছিল। সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সামগ্রিকভাবে সংগঠনের অবস্থা বেশ খারাপ। তার মধ্যেও দক্ষিণ কলকাতা কিছু কর্মসূচি সংগঠিত করলেও উত্তর কলকাতার হাল তলানিতে। তাই কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে দক্ষিণ কলকাতা, এমন চর্চা ছিল সিপিআইএমের অন্দরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
সংগঠনকে কী করে আরও বাস্তবমুখী করা যায়, তা নিয়ে তাঁর বক্তৃতার বড় অংশ ব্যয় করেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর কথায়, “কলকাতার সংগঠন মজবুত না হলে তার প্রভাব পড়ে গোটা রাজ্যে। যে কোনও বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তুলতে হলে কলকাতা জেলাকেই বড় ভূমিকা পালন করতে হয়।” ছাত্র যুব আন্দোলনকে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে বলেও মত প্রকাশ করেছেন সেলিম।
এই খবরটিও পড়ুন
সম্মেলনের মঞ্চ থেকে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে বলে খবর। একইসঙ্গে আগেই জানা গিয়েছিল কলকাতা জেলা সিপিআইএমের আবারও সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন কল্লোল মজুমদার। শেষ পর্যন্ত তাঁর নামেই পড়েছে সিলমোহর। তৃতীয় দফায় কলকাতা জেলা সিপিআইএমের সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কল্লোল।