সন্দেশখালি ইস্যুতে এবার মমতাকে আক্রমণ স্মৃতির

Smriti Irani on Sandeshkhali: সন্দেশখালি ইস্যুতে মমতা সরকারকে তুলোধনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তিনি। কেন সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না, তার কারণও জানালেন কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী।

সন্দেশখালি ইস্যুতে এবার মমতাকে আক্রমণ স্মৃতির
মমতাকে আক্রমণ স্মৃতি ইরানিরImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Feb 12, 2024 | 6:27 PM

নয়া দিল্লি: সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। রাজ্যপালের কাছেও গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীরা। বিধানসভায়ও এই নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি বিধায়করা। এবার সন্দেশখালি ইস্যুতে মমতা সরকারকে তুলোধনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তিনি। কেন সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না, তার কারণও জানালেন কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী।

সন্দেশখালিতে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে মহিলাদের উপর অত্যাচার ও জমি দখলের অভিযোগ উঠছে। রেশন দুর্নীতির তদন্তে, ইডি হানা দেওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা স্থানীয় নেতা শেখ শাহজাহান। আর তিনি এলাকাছাড়া হতেই যেন আগল খুলে গিয়েছে। শেখ শাহজাহান এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে, ওই এলাকায় ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব’ প্রতিষ্ঠার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রধানত মহিলারা লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। শাহজাহান ও তাঁর সহকারীদের বিরুদ্ধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের পার্টি অফিসে তুলে আনার অভিযোগ উঠেছে। অশান্তির জেরে, সন্দেশখালির বেশ কিছু অংশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কিছু অংশে গত কয়েকদিন ধরে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেটও।

এদিন এই বিষয় নিয়েই মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি অভিযোগ করেন, সন্দেশখালিতে বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। স্বামীরা, তাঁদের স্ত্রীদের তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। রাতে সেই মহিলাদের তৃণমূলের পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যৌন নির্যাতন করা হচ্ছে। মহিলারা নিরাপত্তা চাইছেন। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন স্মৃতি ইরানি।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, “এই ব্যক্তিরা কারা? সন্দেশখালিতে মহিলাদের ধর্ষণের দায়িত্বে কারা ছিল? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে হবে, কোথায় শেখ শাহজাহান। ইডি অফিসারদের ঘেরাও করা, ইট-পাথর ছুড়ে আহত করার সময় এই ব্যক্তির নাম শোনা গিয়েছিল। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, আপনি নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে মহিলাদের সম্মান বেচে দিচ্ছেন। জবাব আপনাকে দিতেই হবে।”

জাতীয় মহিলা কমিশনও এই ঘটনা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছে। রাজ্য পুলিশকে এই বিষয়ে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে তারা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছে কমিশন। অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করে ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করার নির্দেশ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপিকে একটি চিঠি দিয়েছে মহিলা কমিশন। বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট চেয়েছে তারা। এনসিডব্লুর তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থলেও আসবে বলে জানিয়েছে।