ভোপাল: মারাত্মক কাণ্ড! কারি পাতার নাম করে দেদার গঞ্জিকা বিক্রি চলছে ই-কমার্স সাইটে। এমনই অভিযোগ ঘিরে সম্প্রতি হইচই পড়ে গিয়েছে মধ্য প্রদেশে। কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের (CAIT) তরফে বলা হয়েছে, নার্কোটিক্স কনট্রোল ব্যুরো ওই ই-কমার্স সংস্থার কাছে রিপোর্ট তলব করুক। তারাই খতিয়ে দেখুক বিষয়টি।
ট্রেডার্স কমিটির তরফে প্রবীণ খান্ডেলওয়াল বলেন, “আমরা চাই এনসিবি এই ঘটনার তদন্ত করুক। কারণ যে ই-কমার্স সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে, তারা কোনও ছোট কোম্পানি নয়।”
রবিবারই এই ঘটনায় মধ্য প্রদেশ পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ভিন্ড জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। ধৃতদের কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। জেরার সময় তাঁরা জানিয়েছেন, ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন ডট ইন ব্যবহার করে তাঁরা এই ব্যবসা করতেন। কারিপাতার ছবি দিয়ে আসলে গাঁজা বিক্রি করতেন। তাঁরাও এও জানিয়েছেন, অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে এই গাঁজা তাঁরা আনতেন।
ভিন্ডের ডিএসপি মনোজকুমার সিং বলেন, “গত চার মাসে এরা প্রায় ১ হাজার কেজি গাঁজা বিক্রি করেছে। এই একই প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করেছে গাঁজা বিক্রির জন্য। এই সময়ে ধৃতরা প্রায় ১.১০ কোটি টাকা আয়ও করেছে।”
মনোজকুমার সিংয়ের কথায়, ধৃতরা আসলে এক প্রকার ড্রাগ পাচার চক্রের সঙ্গেই যুক্ত। আরও চারজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। একই সঙ্গে এই চক্রে আরও ছ’জন আছেন, যাঁদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
পুলিশের অনুমান, এই চক্র কারিপাতার আড়ালে গাঁজা বিক্রি করে বহু টাকা আয় করেছে। মধ্য প্রদেশের ভিন্ডের পাশাপাশি গ্বলিয়র, উত্তর প্রদেশের আগ্রা, রাজস্থানের কোটা ও দিল্লিতে এদের এজেন্ট রয়েছে।
অন্যদিকে অ্যামাজন ডট ইনের এক মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এর সঙ্গে কোনও বিক্রেতা কোনওভাবে জড়িত আছে কিনা, তা জানতে ইতিমধ্যে অন্তর্তদন্ত শুরু করেছে তাঁদের সংস্থা। তাঁরা ভারতে আইনের অধীনে নিষিদ্ধ পণ্যগুলির মজুত এবং বিক্রয়ের অনুমতি দেয় না। তাই পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে সবরকমভাবে তদন্তে সহযোগিতা করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে।