Indian Railways: ট্রেনে নোংরা শৌচাগার, যাত্রীকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ রেলকে

Indian Railways: যাত্রী দেখেন, ট্রেনের শৌচাগারে জল নেই। কল কাজ করছে না। এসিও ঠিকভাবে কাজ করছে না। গোটা কামরাই অপরিচ্ছন্ন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অনলাইনে অভিযোগ করেন। সেই মতো এসে ট্রেনের শৌচাগারের কল সারাইও করেন রেলকর্মীরা। কিন্তু এমন খারাপ অভিজ্ঞতা হওয়ায়, বিরক্ত হয়েই গন্তব্যে পৌঁছে রেলের অফিসে অভিযোগ জানান ওই ব্যক্তি।

Indian Railways: ট্রেনে নোংরা শৌচাগার, যাত্রীকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ রেলকে
ফাইল চিত্র।Image Credit source: Getty Image
Follow Us:
| Updated on: Nov 02, 2024 | 12:42 PM

নয়া দিল্লি: দূরপাল্লার ট্রেনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অন্যতম বড় সমস্যাই হল অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার। দীর্ঘক্ষণ শৌচাগারে না গিয়ে থাকা যায় না। এদিকে, অপরিচ্ছন্ন শৌচাগারে যাওয়াও দায়! ট্রেনে এমনই খারাপ অভিজ্ঞতা হওয়ায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই জেলা ক্রেতাসুরক্ষা কমিশনের তরফে ভারতীয় রেলওয়ে-কে জরিমানা করা হল। যাত্রীকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হল শারীরিক ও মানসিক হেনস্থার জন্য।

জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে পরিবার-কে নিয়ে তিরুপতি থেকে দুভাদা ভ্রমণ করেছিলেন বছর পঞ্চান্নের ভি মূর্তি। প্রথমে তাদের বি-৭ কোচে বার্থ দেওয়া হয়। ট্রেন ছাড়ার পর যাত্রীর ফোনে মেসেজ আসে যে তাঁদের সিট বদল করে ৩ই-তে পাঠানো হচ্ছে।

৩-এসির ওই কামরায় যাওয়ার পরই যাত্রী দেখেন, ট্রেনের শৌচাগারে জল নেই। কল কাজ করছে না। এসিও ঠিকভাবে কাজ করছে না। গোটা কামরাই অপরিচ্ছন্ন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অনলাইনে অভিযোগ করেন। সেই মতো এসে ট্রেনের শৌচাগারের কল সারাইও করেন রেলকর্মীরা। কিন্তু এমন খারাপ অভিজ্ঞতা হওয়ায়, বিরক্ত হয়েই গন্তব্যে পৌঁছে রেলের অফিসে অভিযোগ জানান ওই ব্যক্তি।

সেখানে রেল আধিকারিকরা তাঁর অভিযোগ শোনা তো দূর, উল্টে বলেন যে মিথ্যা অভিযোগ জানিয়ে রেলওয়ের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছেন অভিযোগকারী। এই কথা শুনেই ক্রেতাসুরক্ষা কমিশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই ব্যক্তি।

বিশাখাপত্তনমের ডিস্ট্রিক কনজিউমার ডিসপুটস রি-অ্যাড্রেসাল কমিশনের  বেঞ্চের তরফে সম্প্রতি ওই মামলার শুনানি করা হয়। সেখানে যাত্রীর অভিযোগ ও রেলের যুক্তি শোনার পর দক্ষিণ-মধ্য রেলওয়েকেই জরিমানা করা হয়। ট্রেনে প্রয়োজনীয় সাধারণ পরিষেবাটুকু না থাকার জন্য যাত্রীকে যে শারীরিক ও মানসিক হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, তার জন্য ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। মামলার খরচ বাবদ অতিরিক্ত ৫০০০ টাকাও দিতে বলা হয়েছে।

কমিশনের তরফে বলা হয়, ব্যবহার উপযুক্ত শৌচাগার, সচল এসির মতো সাধারণ পরিষেবা দিতে বাধ্য রেলওয়ে, কারণ টিকিটের মূল্যের মধ্যে এই সমস্ত পরিষেবার জন্য খরচ ধরা থাকে। রেলওয়ের তরফে অভিযোগকারী ওই ব্যক্তির অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রেনের বাথরুমে জল আসছিল না। অভিযোগ জানানোর পরে কর্মীরা গিয়ে তা সারাই করে। এই সাধারণ জিনিসগুলি পরীক্ষা না করেই কীভাবে ট্রেন চলছিল, তা নিয়েও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় রেলওয়েকে।