ISRO News: মানুষ নয়, গগনযান চড়ে মহাকাশে যাবে ‘অর্ধমানব’, জানালেন ISRO কর্তা
ISRO to Send Vyommitra On Gaganyaan: এদিন তিনি জানিয়েছেন, 'আমরা অত্যাধুনিক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছি। এই বছর ডিসেম্বর মাসেই আমরা প্রথম মানববিহীন মিশন পাঠানোর পরিকল্পনা তৈরি করেছি। সেই অভিযানে কোনও নভোশ্চরের পরিবর্তে পাঠানো হবে অর্ধমানব ব্যোমমিত্রকে।

নয়াদিল্লি: দেখতে একেবারে মানুষের মতোই। কিন্তু মানুষ নয়, রোবট। আর সেই রোবটকেই এবার মহাকাশে পাঠাতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই কথাটাই জানালেন ইসরো কর্তা ভি নারায়ণ।
এদিন তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা অত্যাধুনিক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছি। এই বছর ডিসেম্বর মাসেই আমরা প্রথম মানববিহীন মিশন পাঠানোর পরিকল্পনা তৈরি করেছি। সেই অভিযানে কোনও নভোশ্চরের পরিবর্তে পাঠানো হবে অর্ধমানব ব্যোমমিত্রকে। এটায় আমরা সফল হলেই, পরের বছর আরও একই রকমের দু’টি অভিযান হবে।’ এরপরেই তাঁর সংযোজন, ‘আগামী ২০২৭ সালের মধ্য়েই আমরা প্রথম মহাকাশে কোনও গগনযাত্রীকে পাঠাব। সেই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও চলছে।’
কী এই ব্যোমমিত্র?
সংস্কৃত শব্দ ব্যোম অর্থাৎ আকাশ এবং মিত্র শব্দের অর্থের বন্ধু। এই থেকেই তৈরি হয়েছে ইসরোর ‘আকাশবন্ধু’। যা যোগ দিতে চলেছে গগনযান অভিযানে। কিন্তু সেই ক্ষমতা কি তার রয়েছে? ইসরো তরফে জানা গিয়েছে, ব্যোমমিত্র তৈরি করা হয়েছে মহাকাশ অভিযানে কথা মাথায় রেখেই। একটা মানুষের শরীরে মহাকাশে গেলে যে যে প্রভাব পড়বে, সেই একই প্রভাব পড়ে ব্য়োমমিত্রের ‘অর্ধমানব’ শরীরেও। মহাকাশে কতটা তাপমাত্রা, বায়ুর চাপ কতটা সবই মাপতে পারে সে। এছাড়া বুদ্ধি করে প্রয়োজন মতো নিতে পারে সিদ্ধান্তও।

ইসরোর ব্যোমমিত্র
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গগনযান অভিযানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ সম্পন্ন করেছে ইসরো। সামনেই অভিযান। হাতে আর কয়েক মাস। তার আগেই একটা বড় সাফল্য পেয়ে গিয়েছে দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার Air Drop Test করেছে ইসরো। কীভাবে মহাকাশ থেকে ফেরার পর জলেই নিরাপদ ভাবে অবতরণ করবে গগনযান। আর সেই কথা মাথায় রেখেই আগাম মহড়া সেরে ফেলেছে তারা।
