Sukhvinder Singh Sukhu-Pratibha Singh: ‘কেন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাব না?’, সুখুর শপথ গ্রহণের আগেই ‘একতা’ দেখালেন প্রতিভা

Himachal Pradesh CM: দলীয় সমর্থন থাকলেও, নবনির্বাচিত ৪০ বিধায়কদের অনেকেই চাননি প্রতিভা সিং মুখ্যমন্ত্রী হোক। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ।

Sukhvinder Singh Sukhu-Pratibha Singh: 'কেন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাব না?', সুখুর শপথ গ্রহণের আগেই 'একতা' দেখালেন প্রতিভা
সুখবিন্দর সিং সুখু ও প্রতিভা সিং।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 11, 2022 | 12:19 PM

সিমলা:  মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের আগেই একতার বার্তা দিল কংগ্রেস (Congress)। আজ হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করবেন সুখবিন্দর সিং সুখু (Sukhvinder Singh Sukhu)। শনিবারই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সুখুর নাম ঘোষণা করা হয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে ছিলেন মুকেশ অগ্নিহোত্রী, প্রতিভা সিং ও বিক্রমাদিত্য সিং। তাদের মধ্যে থেকে সুখবিন্দর সিং সুখুকে বেছে নেওয়ায় বাকি প্রার্থীদের শিবিরের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যাবে, এমনটাই জল্পনা ছিল। কিন্তু শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগেই পাশাপাশি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে একতার বার্তাই দিলেন সুখবিন্দর সিং সুখু ও প্রতিভা সিং (Pratibha Singh)।

শনিবারই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে হামিরপুরের চারবারের সাংসদ সুখবিন্দর সিং সুৃখুকে বেছে নেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। আজ তাঁর শপথ গ্রহণ। তবে সুখুকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়ার পরই জল্পনা শুরু হয়েছিল অপর শিবিরগুলি, অর্থাৎ প্রতিভা সিং, মুকেশ অগ্নিহোত্রীর সমর্থকেরা এই সিদ্ধান্তকে ভালভাবে নাও মেনে নিতে পারে। কিন্তু সেই জল্পনাকেই এ দিন সকালে উড়িয়ে দিলেন হবু মুখ্যমন্ত্রী সুখু ও কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি প্রতিভা সিং।

সুখবিন্দর সুখুকে পাশে দাঁড়িয়েই এ দিন প্রতিভা সিং বলেন, “আমি কেন ওঁর (সুখবিন্দর সিং সুখু) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেব না? অবশ্যই আমি যাব। এটা আমার অন্যতম দায়িত্ব যে ওঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যেন উপস্থিত থাকি”। হবু মুখ্যমন্ত্রী সুখুও বলেন, “উনি দলের রাজ্য সভাপতি, আমরা সবাই ওনার অধীনেই কাজ করি। আমি এখানে এসেছি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতে।”

নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রথমেই প্রতিভা সিংয়ের নাম উঠে এসেছিল। কিন্তু শেষ অবধি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর বদলে চারবারের বিধায়ক সুখবিন্দরকেই বেছে নেওয়া হয়। গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণার পরই প্রতিভা সিং জানান, তিনি শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তকে মেনে নিচ্ছেন। এদিন সকালে একতার বার্তা দিলেও, একইসঙ্গে তাঁর প্রতি দলীয় কর্মীদের সমর্থনের কথা মনে করিয়ে বলেন, “কংগ্রেস নির্বাচনে লড়েছে এবং বীরভদ্র সিংয়ের নামে জয়ী হয়েছে। তাঁর পরিবারকে এক কোণে করা ভুল হবে”।

কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলীয় সমর্থন থাকলেও, নবনির্বাচিত ৪০ বিধায়কদের অনেকেই চাননি প্রতিভা সিং মুখ্যমন্ত্রী হোক। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ। হিমাচলের ছয়বারের মুখ্যমন্ত্রী, প্রয়াত বীরভদ্র সিংয়ের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক খুব একটা মধুর ছিল না বলেই জানা গিয়েছে।

রাজ পরিবারের সদস্য বীরভদ্রের হাত ধরেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী প্রতিভা সিং। বর্তমানে তাঁদের ছেলে বিক্রমাদিত্যও কংগ্রেসের নেতা। অন্যদিকে, মুখ্য়মন্ত্রী সুখু অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। ছোটবেলায় আর্থিক কষ্টের সঙ্গে লড়াই করতে তিনি দুধও বিক্রি করতেন। পেশায় আইনজীবী সুখবিন্দরের নিপাট ‘ভাল মানুষ’ ভাবমূর্তিই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এগিয়ে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।