নতুন সংসদ নির্মাণে ধাক্কা, ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন হলেও শুরু করা যাবে না নির্মাণ কাজ

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Dec 07, 2020 | 1:43 PM

সলিশিটর জেনারেল মেহরা আদালতের নির্দেশের জবাব দেওয়ার জন্য সময় চাইলে কড়া ভাষায় বলা হয়,"পাঁচ মিনিটের মধ্যে জবাব দিন নয়তো স্থগিতাদেশের নির্দেশিকা জারি করা হবে।" চাপে পড়ে তিনি আদালতকে জানান, কোনও নির্মাণ কাজ বা ভাঙার কাজ শুরু করা হবে না। কেবল ভিত্তিপ্রস্থরই স্থাপন করা হবে।

নতুন সংসদ নির্মাণে ধাক্কা, ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন হলেও শুরু করা যাবে না নির্মাণ কাজ
নতুন সংসদ নির্মাণে কাটা হয়ে দাঁড়াল সুপ্রিম কোর্ট।

Follow Us

দিল্লি: তৈরি হবে নতুন সংসদ (Parliament), ১০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সেই নতুন সংসদের শিল্যানাস ও ভিত্তিপ্রস্থর (Foundation Stone) স্থাপন করে ভূমিপূজাও করবেন। এতদূর অবধি ঠিক থাকলেও পরবর্তী পদক্ষেপ অর্থাৎ পুরনো সংসদের সংস্কার ও নতুন ভবন তৈরির কাজ যাতে এখনই না শুরু হয়, তা নিয়ে কড়া বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court on Parliament Construction)।

অতিমারি (Pandemic)-র মাঝে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা খরচ করে নতুন সংসদ তৈরি নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। নতুন সংসদ তৈরিতে যে পরিমাণ দূষণ ঘটবে এবং গাছ কাটা পড়ার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ আদালতে বহু আর্জিও জমা পড়েছে। সেই আর্জির প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়, “আপনারা ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করতে পারেন, লিখিত কাজকর্মও সারতে পারেন কিন্তু কোনও নির্মাণ কাজ বা ভাঙার কাজ শুরু করা যাবে না এবং কোনও গাছও কাটা যাবে না।”

সরকার পক্ষকে আদালতের তরফে জানানো হয়, আর্জির শুনানির আগেই সরকার নির্মাণ কার্যের বিষয়ে দ্রুত এগোচ্ছে। বিচারপতি সলিসিটর জেনারেল (Solicitor General)-কে বলেন,”কোনও স্থগিতাদেশ জারি করা হয়নি মানে এই নয় যে আপনারা নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেন। আমরা স্পষ্টভাবে কোনও স্থগিতাদেশ জারি করিনি কারণ আমরা ভেবেছিলাম আপনারা বুদ্ধিমান এবং আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবেন। কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলিতে দেখানো হচ্ছে যে আপনারা নির্মাণ কাজ শুরু করছেন।”

আরও পড়ুন: কৃষকরা আন্দোলন চালিয়ে গেলে ‘প্রস্তুত’ কেন্দ্রও!

সলিশিটর জেনারেল মেহরা আদালতের নির্দেশের জবাব দেওয়ার জন্য সময় চাইলে কড়া ভাষায় বলা হয়,”পাঁচ মিনিটের মধ্যে জবাব দিন নয়তো স্থগিতাদেশের নির্দেশিকা জারি করা হবে।” চাপে পড়ে তিনি আদালতকে জানান, কোনও নির্মাণ কাজ বা ভাঙার কাজ শুরু করা হবে না। কেবল ভিত্তিপ্রস্থরই স্থাপন করা হবে।

শুনানি শেষে সর্বোচ্চ আদালতের তরফে বলা হয়,”নতুন সংসদ গঠন সংশিষ্ট যাবতীয় মামলার শুনানি না হওয়া অবধি কোনও নির্মাণ কাজ বা গাছ কাটা হবে না, তা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল।”

২০ হাজার কোটির এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাষ্ট্রপতি ভবন (Rashtrapati Bhavan) থেকে ইন্ডিয়া গেট (India Gate) অবধি ৩ কিমি জুড়ে যাবতীয় সরকারি ভবনগুলি সংস্কার ও পুনর্গঠন করা হবে। দিল্লির বুক চিরে রাজপথের পাশ ধরেই এই নির্মাণ কাজ শুরু হবে। তবে রাইসিনা হিল কমপ্লেক্স (Raisina Hill Complex) ও সংসদ ভবনে কোনও পরিবর্তন করা হবেনা, তা গতবছর অক্টোবর মাসেই জানিয়েছিল সরকার। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই পুরনো সংসদ ভবনকে রাখা হবে পুরাতাত্বিক নিদর্শন হিসাবে। তার পাশেই তৈরি হবে ত্রিভুজাকৃতির নতুন সংসদ।

গুজরাটের এইচসিপি ডিজাইন সংস্থাকে এই প্রকল্পের যাবতীয় পরিকল্পনা ও নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সংসদ ভবনের সামনের অংশটি সংস্কারের জন্য ঢেকে ফেলা হয়েছিল শব্দ ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত থমকে দাঁড়াল নতুন সংসদ নির্মাণের কাজ।

আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত ভূস্বর্গ!  জঙ্গিদের হামলায় আহত পুলিস কর্মী-সহ মোট ২

Next Article