Sehgal Hossain in Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা সায়গলের, দিল্লিতে ED-র জেরায় আর কোনও বাধা রইল না

Sehgal Hossain in Supreme Court: প্রথমে দিল্লির নিম্ন আদালত ও পরে দিল্লি হাইকোর্ট সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি দেয়। এবার সুপ্রিম কোর্টেও মিলল সায়।

Sehgal Hossain in Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা সায়গলের, দিল্লিতে ED-র জেরায় আর কোনও বাধা রইল না
সুপ্রিম কোর্টে সেহগল মামলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2022 | 1:07 PM

নয়া দিল্লি : সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত, অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের বেঞ্চ সায়গলের আর্জি খারিজ করে  দিল। ফলে দিল্লি নিয়ে গিয়ে সায়গলকে জেরা করার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। দিল্লি হাইকোর্ট এর রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করেছিলেন সায়গল।

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টারেট যাতে তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে না পারে, তার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। প্রথমে সেই আবেদন মঞ্জুর করেছিল দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্ট। পরে নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেন সায়গলের আইনজীবী। নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রেখেছিল হাইকোর্ট। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সায়গল। এবার সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।

বর্তমানে গরু পাচার মামলায় আসানসোলের জেলে রয়েছেন সায়গল। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে তৎপর হয়েছে ইডি। মনে করা হচ্ছে, মামলাকে প্রভাবমুক্ত রাখার জন্যই তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর তাঁকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না বলেই মনে করা হচ্ছে।

এই মামলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিটে কেন্দ্রীয় সংস্থা দাবি করেছিল, বীরভূম করিডর দিয়ে যে গরু পাচার হত, তার জন্য অনুব্রতর হয়ে টাকা নিতেন সায়গল। তাই তাঁকে জেরা করলে একাধিক সূত্র সামনে আসতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। এছাড়াও ইডি-র নজরে রয়েছে সায়গলের বিপুল সম্পত্তি। বাড়ি, জমি মিলিয়ে সায়গলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। একজন কনস্টেবল পদে চাকরি করে কী ভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

সায়গলের মা ও স্ত্রীকেও তলব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই ইডি দফতরে হাজিরা দেন তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের। অন্যদিকে, সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। দুর্গাপুর-আসানসোল কমিশনারেটকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য চিঠি দিয়েছেন জেলের সুপার।