B R Gavai: সনাতন ধর্ম ‘রক্ষার ডাক’, শুনানির মাঝেই প্রধান বিচারপতিকে জুতো ছুড়ে সাসপেন্ড আইনজীবী
Supreme Court Lawyer Suspended: তবে কেন এই জুতো ছুড়লেন, তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ইতিমধ্য়েই অভিযুক্তকে তাঁর এই আচরণের জন্য শোকজ করা হয়েছে বার কাউন্সিল তরফে। ১৫ দিনের মধ্য়ে উত্তর দিতে হবে তাঁকে, না হলে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ। পাশাপাশি, অভিযুক্তের লাইসেন্সও সাসপেন্ড করেছে বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া। তাই আপাতত কোনও মামলা আর লড়তে পারবেন না তিনি।

নয়াদিল্লি: দেশের প্রধান বিচারপতিকে জুতো ছোড়ার চেষ্টা করে নিলম্বিত আইনজীবী। সোমবার সকালে দেশের শীর্ষ আদালত সাক্ষী থাকল এক নাটকীয় মুহূর্তের। যা ঘিরে দিনভর বজায় থাকল টানটান উত্তেজনা। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবাইকে লক্ষ্য করে জুতো ছুড়লেন এক আইনজীবী। তবে তা প্রধান বিচারপতির গায়ে লাগেনি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রনকে অল্পের জন্য ছুঁয়ে মাটিতে পড়ে যায়।
কোর্টরুম যেন ‘নাট্যমঞ্চ’
প্রতি সপ্তাহের শুরুর দিনটা যেমন হয়, এদিনও ঠিক সেরকমই ছিল। পর পর মামলার শুনছিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তখনই সুপ্রিম কোর্টের ওই সংশ্লিষ্ট কোর্টরুমে ঢুকে পড়েন এক আইনজীবী। চিৎকার করে বিচারপতিদের দিকে জুতো ছুড়তে দেখা যায় তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা আটক করে অভিযুক্তকে। তখনই অভিযুক্ত বলেন ওঠেন, বিচারপতি চন্দ্রন নয়, বরং প্রধান বিচারপতিকে লক্ষ্য করে সেই জুতো ছুড়েছিলেন তিনি।
কে এই অভিযুক্ত?
শীর্ষ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাকেশ কিশোর। তিনি সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিলের সদস্য তথা আইনজীবী। তবে কেন এই জুতো ছুড়লেন, তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ইতিমধ্য়েই অভিযুক্তকে তাঁর এই আচরণের জন্য শোকজ করা হয়েছে বার কাউন্সিল তরফে। ১৫ দিনের মধ্য়ে উত্তর দিতে হবে তাঁকে, না হলে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ। পাশাপাশি, অভিযুক্তের লাইসেন্সও সাসপেন্ড করেছে বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া। তাই আপাতত কোনও মামলা আর লড়তে পারবেন না তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এদিন আদালত কক্ষে ঢুকে জুতো ছোড়ার সময় ওই আইনজীবী চিৎকার বলে উঠেছিলেন, “ভারত সনাতন ধর্মের অপমান কোনও মতেই সহ্য করবে না।” একাংশের দাবি, সম্প্রতি মধ্য় প্রদেশে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। যার জেরেই ক্ষেপে যান ওই আইনজীবী, হয়ে ওঠেন আক্রমণাত্মক। অবশ্য, এই নাটকীয় কাণ্ডে যখন গোটা কোর্টরুমে উপস্থিত মানুষজন হতবাক। সেই সময়ও এক মুহূর্তের জন্য বিচলিত হতে দেখা যায়নি প্রধান বিচারপতি গবাইকে। বরং তিনি খুব শান্ত গলাতেই বলেন, ‘এসব কিছুতে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’
