ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
ভোট পরবর্তী হিংসার (post poll violence) অভিযোগ উঠেছে এ রাজ্যের একাধিক জেলায়। তার জেরে লক্ষাধিক মানুষ বাসস্থান ছেড়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
নয়া দিল্লি: পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় রাজ্যকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। হিংসার ঘটনায় ‘সিট’ (SIT) গঠন করে তদন্তের আর্জি জানিয়ে ওই মামলা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। আর সেই মামলায় আজ, মঙ্গলবার রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়কেই নোটিস দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। পাশাপাশি এই মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, মহিলা কমিশন ও এসসিএসটি কমিশনকে পার্টি হিসেবে যুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ (Pinky Anand)।
২ মে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের পর হিংসা ও অশান্তির ঘটনা ঘটেছে বলে সুপ্রিম কোর্টে এই জনস্বার্থ মামলা হয়। আজ, বিচারপতি বিনীত সরণ ও বিচারপতি বিআর গাভালের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। শুনানির পর কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়কেই নোটিস দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে।
ইতিমধ্যেই এই ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এ রাজ্যে এসেছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশন, তফশিলী কমিশনের প্রতিনিধিরা। তাই আদালতে আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দের দাবি, ‘মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা বাস্তুচ্যূত মহিলাদের পরিস্থিতি জানেন। আদালত তাঁদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিক। রিপোর্ট পেলে ওই সব আক্রান্তদের সাহায্য করতে সুবিধে হবে।
আবেদনকারীরা হলেন, অরুণ মুখোপাধ্যায়, দেবযানী হালদার, প্রশান্ত দাস, পারমিতা দে, ভূপেন হালদার। এর মধ্যে অরুণ মুখোপাধ্যায় ও দেবযানী হালদার সমাজকর্মী এবং প্রশান্ত দাস কোচবিহারের বাসিন্দা, যিনি ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত বলে দাবি। পারমিতা দে ও ভূপেন হালদার, দু’জনেই পশ্চিমবঙ্গের আইনজীবী। এদের ঘর ও অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: যেখানে গো-পুজো হয়, সেখানে মাংস খাওয়া উচিত নয়, নিদান অসমের মুখ্যমন্ত্রীর