School Dropouts: স্কুলছুটদের ফেরাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? শিশু অধিকার কমিশন ও রাজ্যগুলির থেকে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

School Dropouts: এমন অনেক স্কুলছুট পড়ুয়া রয়েছে, যাঁদের অভিভাবকরা জীবিত। কিন্তু এই কোভিড পরিস্থিতিতে ওই পড়ুয়াদের বাবা-মা কিংবা অভিভাবক কাজ হারিয়েছেন। আর তার কোপ গিয়ে পড়েছে ওই পড়ুয়ার শিক্ষার উপর।

School Dropouts: স্কুলছুটদের ফেরাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? শিশু অধিকার কমিশন ও রাজ্যগুলির থেকে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট
কী বলছে সুপ্রিম কোর্ট?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 03, 2022 | 8:17 PM

নয়া দিল্লি : কোভিড ১৯ মহামারীর সময়ে বহু পড়ুয়া স্কুলছুট হয়ে গিয়েছিল। এবার তাদের ফের শিক্ষার মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। এই নিয়ে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন এবং সব রাজ্যগুলির থেকে জবাব চেয়েছে শীর্ষ আদালত। কোভিড পরিস্থিতিতে অনেক পড়়ুয়াদের অভিভাবকরা মারা গিয়েছেন। এছাড়া আরও অনেক পড়ুয়া আছে, যাঁদের বাবা-মা জীবিত, কিন্তু মহামারীকালে বিভিন্ন সঙ্কটের কারণের পড়াশোনা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাঁদের জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, রাজ্যগুলিতে তা জানাতে বলা হয়েছে।

আদালত জানিয়েছে, এর আগে যে পড়ুয়াদের বাবা-মা উভয়েই বা অন্তত একজন এখনও জীবিত রয়েছেন, তাদের পড়াশোনা যাতে কোনওভাবে বিঘ্নিত না হয়, তার জন্য বেশ কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাল স্বরাজ পোর্টালে যে তথ্য দেখা যাচ্ছে, তাতে সেই প্রতিফলন পাওয়া যাচ্ছে না।

এমন অনেক স্কুলছুট পড়ুয়া রয়েছে, যাঁদের অভিভাবকরা জীবিত। কিন্তু এই কোভিড পরিস্থিতিতে ওই পড়ুয়াদের বাবা-মা কিংবা অভিভাবক কাজ হারিয়েছেন। আর তার কোপ গিয়ে পড়েছে ওই পড়ুয়ার শিক্ষার উপর। ঘর সামলানোর কাজে সাহায্য করতে তাদের স্কুল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন অভিভাবকরা। বাল স্বরাজ পোর্টালে এই ধরনের পড়ুয়াদের নাম নেই। সেই কারণে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির শিক্ষা দফতরকে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল। বিশেষ করে ৬ বছর থেকে ১৪ বছর বয়সিদের মুক্ত শিক্ষার অধিকারটি সংবিধানের ২১ (এ) ধারা অনুযায়ী তাদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে একটি।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি বি আর গগৈয়ের একটি বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, একটি বড় অংশের পড়ুয়া বাবা-মায়ের মৃত্যুর কারণে বা অভিভাবকদের কাজ হারানোর কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিচারপতি রাও আরও জানিয়েছেন, “ওই পড়ুয়াদের অভিভাবকরা হয়ত বেঁচে রয়েছেন, কিন্তু বিগত দুই বছরে যা হয়ে গিয়েছে, তাতে তাঁরা আর ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠানোর মতো অবস্থায় নেই। শিক্ষা হল মৌলিক অধিকার। তাহলে কেন পড়ুয়াদের এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করতে উদ্যোগী হবে না সরকার?” জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কে এম নটরাজ। তাঁকে বিচারপতি রাও বলেন, “আপনিই সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করেন। আপনি তাদের বিষয়টি জানান।”