Honour Killing: বাড়ি অমতে বিয়ে, গর্ভবতী বোনের কাটা মুণ্ডু নিয়ে বারান্দায় যুবক, তুলল সেলফিও

Teen beheaded his sister: কীর্তি মা ও ভাইয়ের জন্য চা বানাচ্ছিলেন। আর ঠিক সেই সময়েই পিছন থেকে আঘাত করা হয় তাঁকে। দুজন মিলে একসঙ্গে আক্রমণ করে।

Honour Killing: বাড়ি অমতে বিয়ে, গর্ভবতী বোনের কাটা মুণ্ডু নিয়ে বারান্দায় যুবক, তুলল সেলফিও
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2021 | 9:55 PM

মুম্বই: বোন পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল। আর সেই রাগে আজ গর্ভবতী বোনকে মুণ্ডু কেটে হত্যা (Dishonour Killing) করল ভাই। তারপর সেই কাটা মুণ্ডু নিয়ে সোজা বাড়ির বারান্দায়। হাত উঁচু করে বোনের কাটা মাথা শূন্য়ে দুলিয়ে আশেপাশের প্রতিবেশীদেরও দেখিয়েছে। আর এই গোটা ঘটনায় যুবককে সাহায্য় করেছে তার মা। মা আর ছেলে নাকি সেই কাটা মুণ্ডুর সঙ্গে সেলফিও তুলেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে (Aurangabad)।

মৃতার নাম কীর্তি থোর। বয়স ১৯। চলতি বছরের জুন মাসেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন কীর্তি। বাড়ির অমতেই বিয়ে করেন নিজের পছন্দের মানুষের সঙ্গে। তার পর থেকে স্বামীর সঙ্গেই থাকছিলেন কীর্তি। মাঝে মায়ের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ ছিল না। জানা গিয়েছে, গতমাসেই কীর্তির মা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। কীর্তি ভেবেছিলেন, মায়ের হয়ত রাগ ভেঙেছে। হয়ত মা দেখা করতে চাইছেন, হয়ত তাঁদের বিয়েটা এবার মেনে নেবেন। কোনও দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি এমন কিছু হতে চলেছে তাঁর সঙ্গে।

রবিবার ছেলেকে সঙ্গে কীর্তির বাড়িতে দেখা করতে আসেন তাঁর মা। কীর্তির স্বামীও তখন বাড়িতেই ছিল। অন্য ঘরে ছিলেন তাঁর স্বামী। কীর্তি মা ও ভাইয়ের জন্য চা বানাচ্ছিলেন। আর ঠিক সেই সময়েই পিছন থেকে আঘাত করা হয় তাঁকে। দুজন মিলে একসঙ্গে আক্রমণ করে। কীর্তির মা তাঁর দুই পা জাপটে ধরে রেখেছিল। আর তার ভাই, একটি কাস্তে জাতীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসেছিল, সেটি দিয়েই তাঁর মাথা কেটে ফেলে ধড় থেকে আলাদা করে দিয়েছিল।

কীর্তির বাড়ির আশেপাশে যে প্রতিবেশীরা থাকেন, তাদের এই দৃশ্য দেখানোর জন্য বোনের কাটা মুণ্ডু নিয়ে বারান্দাতেও চলে গিয়েছিল যুবক। অনেক প্রতিবেশীই সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখেছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছে। বোনকে হত্যা করার পর তাঁর স্বামীকে হত্যা করতেও উদ্যত হয়েছিল তারা। কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচেন কীর্তির স্বামী। পরে অভিযুক্তরা ভীরগাঁও থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে।

বৈজাপুরের এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক কৈলাস প্রজাপতি জানিয়েছেন, “মা এক সপ্তাহ আগে মেয়েকে দেখতে গিয়েছিল। ৫ ডিসেম্বর আবার ছেলেকে নিয়ে আসে। মৃতার বাড়ি একটি মাঠের মধ্যে। সে তার শাশুড়ির সঙ্গে মাঠে কাজ করছিল। মা ও ভাইকে দেখে সে, ক্ষেতে তার কাজ ছেড়ে দিয়ে তাদের অভ্যর্থনা জানাতে ছুটে যায়। তাদের দুজনকে জল দিয়ে এবং চা বানাতে রান্নাঘরে যায়। সেই সময় তার ভাই পেছন থেকে এসে তার শিরশ্ছেদ করে।”

আরও পড়ুন : NHRC on Nagaland Firing: নাগাল্যান্ডের ঘটনায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব মানবাধিকার কমিশনের