Tehreek-e-Hurriyat: বর্ষশেষের দিনেই নেমে এল মোদী সরকারের কোপ, ‘নিষিদ্ধ’ এই ইসলামি সংগঠন

Tehreek-e-Hurriyat: ভারতকে টুকরো টুকরো করতে চেয়েছিল এই সংগঠন। ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। সেই সঙ্গে এই সংগঠন বিভিন্ন নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে জানিয়েছেন অমিত শাহ। আর সেই কারণেই এই কঠোর পদক্ষেপ করা হল।

Tehreek-e-Hurriyat: বর্ষশেষের দিনেই নেমে এল মোদী সরকারের কোপ, 'নিষিদ্ধ' এই ইসলামি সংগঠন
গিলানি-সহ অন্যান্য হুরিয়ত নেতারা (ফাইল ছবি) Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Dec 31, 2023 | 6:49 PM

শ্রীনগর: বছরের শেষ দিনেও জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদকে দূর করতে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করল মোদী সরকার। রবিবার (৩১ ডিসেম্বর), জম্মু ও কাশ্মীরের আরও এক বিচ্ছিন্নতাবাদী দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল মোদী সরকার। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন বা ইউএপিএ-র অধীনে ‘বেআইনি সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে তেহরিক-ই-হুরিয়ত-কে। ভারত থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করার কাজে নিযুক্ত তারা। সেই সঙ্গে সেখানে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে এই সংগঠন বিভিন্ন নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে জানিয়েছেন অমিত শাহ। আর সেই কারণেই এই কঠোর পদক্ষেপ করা হল।

এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “এই সংগঠনটি জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিষিদ্ধ কার্যকলাপে জড়িত। এই গোষ্ঠীটি ভারত-বিরোধী প্রচার করছে এবং জম্মু ও কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদকে উস্কে দেওয়ার জন্য সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি-এর শূন্য সহনশীলতা নীতির অধীনে, ভারতবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত পাওয়া গেলে যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বস্তুত, দীর্ঘদিন ধরেই জম্মু ও কাশ্মীরের সংবেদনশীল অঞ্চলগুলিতে বিচ্ছিন্নতাবাদকে উস্কানি দেওয়া, ভারত-বিরোধী প্রচার এবং কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে তেহরিক-ই-হুরিয়তের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় তারা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখে এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত বলেও অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে, এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটির বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছিল কেন্দ্রীয় সংগঠনগুলি। এরপরই, এদিন তেহরিক-ই-হুরিয়তকে পাঁচ বছরের জন্য একটি ‘বেআইনি সংগঠন’ হিসাবে ঘোষণা করল কেন্দ্র।

এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। প্রথমে তিনি ছিলেন জামাতে ইসলামি কাশ্মীরের সদস্য। পরে তিনি তেহরিক-ই-হুরিয়ত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরে অল পার্টিস হুরিয়াত কনফারেন্স নামে জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলোর একটি ছাতা সংগঠন চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি। ২০২১ সালে তার মৃত্যু হয়। ২০২০ সালে তাঁকে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান নিশান-এ-পাকিস্তান পুরস্কারে ভূষিত করেছিল পাক সরকার।