Militant Organizations: তেহরিক-এ-তালিবানের নেতৃত্বে জঙ্গিদের মহাজোট? ভারতে বাড়ছে ভয়?

Militant Organizations: সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ইন্টারনাল সিকিউরিটি কমিটি এ নিয়ে একটা বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছে। তারপর থেকেই বাড়ছে উদ্বেগ।

Militant Organizations: তেহরিক-এ-তালিবানের নেতৃত্বে জঙ্গিদের মহাজোট? ভারতে বাড়ছে ভয়?
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 12, 2023 | 1:48 AM

নয়া দিল্লি: রাজনীতিতে জোট, মহাজোট, মহাগটবন্ধন, এসব আমরা শুনেই থাকি। এখন তো ইন্ডিয়া জোট বনাম এনডিএ নিয়ে চলছে জোর চর্চা। কিন্তু জঙ্গিদের জোটের কথা শুনেছেন কখনও? অবাক লাগলেও হচ্ছে এমনটাই। তবে সেটাকে জোট না বলে মহাজোট বলাই ভাল। জঙ্গিদের (Pakistani Militants) মহাজোট। এই মুহূর্তে পাকিস্তানের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ জঙ্গি সংগঠনের নাম তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপি। গত আড়াই বছর ধরে পাক প্রশাসনের ঘুম ছুটিয়ে রেখে টিটিপি। গোটা খাইবার পাখতুনখোয়াই এখন টিটিপির দখলে। তো সেই টিটিপিই আল কায়দা সহ আরও ৮ জঙ্গি সংগঠনকে এক ছাতার তলায় আনতে চাইছে বলে খবর। 

সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ইন্টারনাল সিকিউরিটি কমিটি এ নিয়ে একটা বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছে। এটা যদি হয় তবে তা ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড়সড় চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই আমাদের দেশের গোয়েন্দা এজেন্সিগুলি উঠেপড়ে লেগেছে এই সংক্রান্ত আপডেট পেতে। সত্যিই যদি উপ-মহাদেশে জঙ্গিদের মহাজোট হয় তাহলে কতটা বিপদ বাড়তে পারে? 

৩৭০ ধারা রদের পর উপত্যকায় জঙ্গিদের ল্যাজটাও ছেঁটে ফেলা গিয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকেও অনুপ্রবেশ কমেছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা কাশ্মীরের খোয়াব ভুলে এখন অপহরণ, ডাকাতির পথ বেছে নিচ্ছে। কারণ পাক সরকারের ফান্ডিং বন্ধ। পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা খারাপ।একইসঙ্গে আইএমএফ ও ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফের রক্ষচক্ষু। কোনওরকম টেরর ফান্ডিং ধরা পড়লেই আবারও কালো তালিকায় চলে যাবে পাকিস্তান। তাই জঙ্গিদের টাকার জোগান বন্ধ রেখেছে পাক প্রশাসন। এবার যদি টিটিপির নেতৃত্বে লস্কর, হিজবুল, আল কায়েদার মতো সংগঠনের জোট হয়, তা হলে এরা আবার ভারতের দিকে নজর ফেরাবে। অন্তত হিজবুল বা লস্করের মতো সংগঠন তো সেটাই চাইবে। এই সংগঠনগুলো স্রেফ টাকা আর লজিস্টিকাল সাপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে। মহাজোটের শরিক হলে তাঁদের হাতে টাকা ও অস্ত্র, দুইই আসবে। সে ক্ষেত্রে কিন্তু উপত্যকায় নতুন করে জঙ্গি তত্‍পরতা মাথাচাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। লোকসভা ভোটের আগে এটা মোটেও ভাল খবর নয়, তা মানছে শাসক থেকে বিরোধী সবদলই।