Adhir Chowdhury: লোকসভায় অধীর সাসপেন্ড হতেই ফুঁসছে কংগ্রেস, রাজ্যসভায় ‘নীরব মোদীর’ মানে বোঝালেন খাড়গে
Adhir Chowdhury: অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে এদিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয় বহরমপুরে। মিছিলে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় বহরমপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীকে।
নয়া দিল্লি: লোকসভা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড হয়ে গিয়েছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Chowdhury suspended from Lok Sabha)। আর তাতেই ফুঁসছে হাত শিবির। এদিন এই ইস্যুতে রাজ্যসভায় সরব হতে দেখা গেল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। খাড়গের সাফ দাবি, যেভাবে অধীরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তা কোনওভাবেই মানা যায় না। এদিন রাজ্যসভায় তিনি বলেন, অধীর রঞ্জন চৌধুরী শুধু নীরব মোদী বলেছেন। তার এ মন্তব্যের জন্যই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। নীরব কথার অর্থ শান্ত, মৌনব্রত নেওয়া। কিন্তু, এ কথা বলার জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা কোনওভাবেই উচিত নয়। ঘটনাটি অগণতান্ত্রিক ও লজ্জাজনক বলেও মত রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার অনস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কের শেষ দিনে অধীরের বিরুদ্ধে স্পিকারের নালিশ করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তাঁর অভিযোগ, রোজই বিভিন্ন ইস্যুতে হাউসকে বিরক্ত করেন অধীর। তথ্য ছাড়াই এমন কিছু কথা বলেন যাতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। এরপর ক্ষমা পর্যন্ত চান না কখনও। এই কারণেই দেখিয়েই মন্ত্রী অধীরের ‘অসংসদীয় কাজের’ বিষয়টি প্রিভিলেজ কমিটিতে পাঠানোর কথা বলেন। স্পিকার তাঁর প্রস্তাব মেনে নেন। সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় অধীরকে।
তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনেই অসংসদীয় আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি সাংসদ বিরেন্দর মস্তের বিরুদ্ধে। তিনি অধীরের বিরুদ্ধে মারমুখী হয়ে তেড়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু, তাঁর বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না সে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
এদিকে অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে এদিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয় বহরমপুরে। বঙ্গ কংগ্রেসের অভিযোগ, অনৈতিকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে। এদিনে বিকালে বহরমপুর শহর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের কার্যালয় থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় বহরমপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীকে।