Lal Bahadur Sastri: লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্ম বার্ষিকী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু ঘিরে ছিল বেশ কিছু রহস্য

Indian Prime Minister, এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক গ্রেগরি ডগলাস, রবার্ট ক্রোলে এবং এক সিআইএ এজেন্ট জানিয়েছিলেন, লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পিছনে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ- র (CIA) হাত রয়েছে। তারা এটাও দাবি করেন যে ভারতীয় পরমাণু বিজ্ঞানী হোমি ভাবার মৃত্যুর পিছনেও সিআইএ দায়ী

Lal Bahadur Sastri: লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্ম বার্ষিকী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু ঘিরে ছিল বেশ কিছু রহস্য
ছবি-ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2021 | 4:31 PM

নয়া দিল্লি: দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী (Lal Bahadur Shastri) মৃত্যুর প্রায় পঞ্চাশ বছর অতিক্রান্ত, কিন্তু তাঁর মৃত্যু ঘিরে যাবতীয় রহস্যের সমাধান এখনও হয়নি। ১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারী, ১৯৬৫তে হওয়া ভারত – পাকিস্তান যুদ্ধ (Indo-Pak war in 1965,) শেষের পরে, শাস্ত্রী পাকিস্তানি (Pakistan) রাষ্ট্রপতি আয়ুব খানের (Ayub Khan) সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি সই করার জন্য তাসকান্ত (Tashkent) সফরে গিয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষের পর খুব রহস্যজভাবে শাস্ত্রীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। জানা গিয়েছিল যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু তাঁর মৃ্ত্যুর কারণ নিয়েছে যথেষ্ট ধোঁয়াশা ছিল।

  • লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা তাঁর মৃত দেহে বেশ কিছু সন্দেহজনক কিছু চিহ্ন পেয়েছিলেন। শাস্ত্রীর দেহে বেশ কিছু নীল দাগ ছিল এবং তাঁর দেহের বিভিন্ন যায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। শাস্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে গঠিত রাজ নারাইন কমিশন (The Raj Narain Inquiry), তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌছাঁতে পারেনি। সংসদের গ্রন্থাগারে তাঁর মৃত্যুর তদন্তের কোনও রিপোর্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে যা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুকে আরও রহস্যজনক করে তুলেছে।

আরও পড়ুন Samantha Akkineni: হতাশায় ভুগছেন সামান্থা? বিচ্ছেদের জল্পনার জন্যই এই পরিস্থিতি?

  • লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর দেহে মৃ্ত্য়ুর সময় বেশ কিছু সাদা ও নীল দাগ ছিল। তাঁর পরিবারে দাবি ছিল তাঁকে বিষ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর দেহে বেশ কিছু কাটা দাগের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল, যা থেকে মনে করা হয়েছে মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত (post-mortem) করা হয়েছিল। শাস্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক আর এন চুঘ জানিয়েছিলেন, হৃদ যন্ত্র সংক্রান্ত কোনও সমস্যার উপসর্গ তাঁর দেহে ছিল না। ১৯৭৭ সালে সংসদীয় তদন্ত কমিটর কাছে সাক্ষ্য দিতে আসার সময় শাস্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক আর এন চুঘের গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল এমনকি লালা বাহাদুরের দেখভালের দায়িত্বে থাকা রাম নাথ ও একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় নিজের স্মৃতিশক্তি হারান।
  • এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক গ্রেগরি ডগলাস, রবার্ট ক্রোলে এবং এক সিআইএ এজেন্ট জানিয়েছিলেন, লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পিছনে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ- র (CIA) হাত রয়েছে। তারা এটাও দাবি করেন যে ভারতীয় পরমাণু বিজ্ঞানী হোমি ভাবার মৃত্যুর পিছনেও সিআইএ দায়ী। কারণ ভারত পরমাণু শক্তি হিসেবে উঠে আসায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল আমেরিকা।
  • ‘সিআইএস্ আই অন সাউথ এশিয়া’ (CIA’s Eye on South Asia) বইয়ের লেখক অনুজ ধর লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানতে আরটিআই (RTI) করেছিলেন। সেই আরটিআই-র উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানায় শাস্ত্রীর মৃত্যুর একটি মাত্রই নথি রয়েছে। কিন্তু তাঁরা তা প্রকাশ করতে পারবেনা। সেই নথি প্রকাশ্যে এলে বিদেশী সম্পর্কেইর ওপর প্রভাব পড়বে।