Gay Dating: ডেটিংয়ের নামে গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডারদের সঙ্গে প্রতারণা, গোপনে ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল! গ্রেফতার ৩
Money Extortion: ডেপুটি কমিশনার নীতেশ আগরওয়াল জানিয়েছেন, গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডারদের সঙ্গে প্রতারণা চালানো দলে মোট পাঁচ জন ছিল। তাঁদের মধ্যে তিন জন ধরা পড়েছে। প্রতারণা চক্রের মাথা রাকেশ ওরফে বিদি এবং তাঁর সঙ্গী জয়বীর এখনও পলাতক।
ফরিদাবাদ: গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডারদের ডেটিং অ্যাপে নাম ভাঙিয়ে পরিচয় করতেন। তার পর ওই অ্যাপের সমকামিদের ডেকে পাঠাতেন দেখা করার জন্য। দেখা করে তাঁদের গোপন ভিডিয়ো তুলতেন। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আদায় করতেন টাকা। ভয় দেখিয়ে সমকামিদের দিয়ে অশ্লীল কাজ করাতে বাধ্য করতেন। অনেককে হোটেলের ঘরে ডেকে সর্বস্ব কেড়েও নিতেন। দিনের পর দিন এ রকম চালিয়ে যাচ্ছিল একটি দল। ২৫ এরও বেশি জনের সঙ্গে এ ভাবে প্রতারণা চালিয়েছে ওই দলটি। গে, ট্রান্সজেন্ডারদের থেকে অভিযোগ পেয়ে এ নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। তার পর ওই দলের সদস্য তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই প্রতারণা দলের সদস্য আরও দুই যুবকের খোঁজ চলছে বলে জানানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া তিন যুবক ফরিদাবাদের বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া যুবকদের নাম বিশাল কুমার (২২), করণ সিংহ (১৯), পুনিত আকা পনি (২৩)। এরা তিন জনই ফরিদাবাদের গান্ধী কলোনির বাসিন্দা। ফরিদাবাদের ডেপুটি কমিশনার নীতেশ আগরওয়াল জানিয়েছেন, গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডারদের সঙ্গে প্রতারণা চালানো দলে মোট পাঁচ জন ছিল। তাঁদের মধ্যে তিন জন ধরা পড়েছে। প্রতারণা চক্রের মাথা রাকেশ ওরফে বিদি এবং তাঁর সঙ্গী জয়বীর এখনও পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই দলটি এমনভাবেই সমকামীদের ফাঁসাতেন যাতে তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ করতেও ভয় পেতেন। সমকামীদের সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বানিয়ে অভিযুক্তরা প্রতারণা করত বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ভুয়ো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রতারকরা যোগাযোগ করতেন গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডারদের সঙ্গে। কিছু দিন মেসেজ চালাচালির পর, তাঁদের কোনও হোটেলে বা নির্জন স্থানে ডেকে পাঠাতেন। সেখানে লুকিয়ে থাকতেন প্রতারণা গ্যাঙের অন্য সদস্যরা। তাঁরা লুকিয়ে ছবি-ভিডিয়ো তুলতেন। এবং বন্দুক ঠেকিয়ে লুঠ চালাতেন। এর পর লুকিয়ে তোলা ছবি-ভিডিয়ো ব্যবহার করেও চলত ব্ল্যাকমেলিং।