দূরত্ব বাড়ছে! দিল্লিতে থেকেও বিরোধীদের বিক্ষোভে ফের গরহাজির তৃণমূল

রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব বিক্ষোভ বিরোধীদের। দিল্লিতে থাকা সত্ত্বেও গেলেন না কোনও তৃণমূল সাংসদ বা নেতা।

দূরত্ব বাড়ছে! দিল্লিতে থেকেও বিরোধীদের বিক্ষোভে ফের গরহাজির তৃণমূল
বিরোধীদের আন্দোলনের নেতৃত্বে রাহুল গান্ধী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 12, 2021 | 1:19 PM

নয়া দিল্লি: যন্তর মন্তরের পর ফের একবার বিরোধীদের আন্দোলনে অংশ নিল না তৃণমূল। আজ সংসদ চত্বরের বাইরে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কংগ্রেসসহ সব বিরোধী দল। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এই বিক্ষোভে নামে বিরোধীরা। শিব সেনা, আম আদমি পার্টি থেকে ডিএমকে, সব বিরোধী দল সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলেও দেখা যায়নি তৃণমূলের কোনও সংসদ তথা নেতাকে। দিল্লিতে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কেন রাহুলের এই বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিল না তৃণমূল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। নির্ধারিত সময়ের আগেই কেন অধিবেশন বন্ধ করে দেওয়া হলো তা নিয়ে এ দিন প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

আজ এই বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা। রাহুল গান্ধী এ দিন বলেন, ‘সংসদের ভিতরে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না তাই বাইরে এসে কথা বলছি। এতে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। রাহুল গান্ধী উল্লেখ করেন গতকাল প্রথমবার রাজ্যসভায় সাংসদদের হেনস্থা হতে হয়েছে। গতকাল রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডুর চোখে জল এসে গিয়েছিল। বিরোধীদের আচরণে কষ্ট পেয়েছেন বলেই আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন তিনি। রাহুল গান্ধীর দাবি চেয়ারম্যান, অধ্যক্ষদের উচিৎ সংসদ সঠিকভাবে চালানো। তাঁরা কেন তাঁদের কাজ করতে পারছেন না?

তবে এই বিক্ষোভের তৃণমূলের অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো বিষয়। এ দিনই অবশ্য প্রথম নয়, এর আগে যন্তর মন্তরে কৃষক আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিরোধীরা। সেখানেও তৃণমূলের কাউকে দেখা যায়নি। পরে আলাদাভাবে তাঁরা কৃষকদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেন। অর্থাৎ রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল আলাদা করে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে চাইছে কি না সেই প্রশ্ন উঠছে। যন্তর মন্তরে না আসার বিষয়ে তেমন কোনও সদুত্তর দেয়নি তৃণমূল। পরে সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছিলেন ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়েছে বলেই তাঁরা আলাদাভাবে এসেছেন।

আজ রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন এই বৈঠকে কেন যোগ দিল না তৃণমূল তা নিয়ে ঘাসফুল শিবিরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে কংগ্রেস নেতা শক্তি সিংহ জানিয়েছেন, তৃণমূলকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল এবং তৃণমূল বিরোধীদের সঙ্গেই আছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যান বিরোধী জোট শক্ত করতে। দিল্লি গিয়ে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ফিরে আসার পর গত কয়েকদিনে রাহুল গান্ধীকে বারবার সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে। সংসদ চলাকালীন বিরোধীদের নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছেন রাহুল। সেই সব বৈঠকে ডেকেছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরাও। তবে রাহুলের সক্রিয় হয়ে ওঠার কারণেই কি চিনো চুলবুলি দূরত্ব বজায় রাখছে এই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি এখনো।

অন্যদিকে, সোনিয়া গান্ধী একটি ভার্চুয়াল বৈঠক ডেকেছেন আগামী ২০ অগস্ট। সেই বৈঠকে অন্যান্য বিরোধী নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আরও পড়ুন: ‘পাহাড়ে বিমলের জনাধার নেই, রয়েছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই’, কটাক্ষ সায়ন্তনের