কলকাতা: প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছিল। তাঁর দেহরক্ষী, সহকারী দল সকলেই পৌঁছে গিয়েছিল আগরতলা। কথা ছিল, আগামিকাল সকালেই প্রথম বিমানটি ধরে ত্রিপুরা (Tripura) উড়ে যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিন্তু সফরের আগের রাতেই ত্রিপুরা যাত্রার পরিকল্পনা পিছিয়ে দিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। প্রাথমিকভাবে কেন এই সফর স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তা নিয়ে সংশয় থাকলেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি টুইট করে এর আসল কারণ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনা হচ্ছে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে কয়েক দফায় ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু যতবারই কর্মসূচির আবেদন জানানো হয়, পুলিশ নাকচ করে দেয়। সেই প্রেক্ষিতে যথারীতি ত্রিপুরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। মঙ্গলবারই মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই করোনার কারণ দেখিয়ে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের সভা-সমিতি উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিপ্লব দেব সরকার। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এর পিছনে কারণটা ছিল নেহাতই রাজনৈতিক।
হাইকোর্টও বেশি তর্কাতর্কিতে যায়নি। আদালত জানিয়ে দেয়, করোনা পরিস্থিতিতে ত্রিপুরা সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে কোনওভাবে আদালত হস্তক্ষেপ করতে চায় না। ফলত বুধবারের পদযাত্রা বাতিল হয়ে গিয়েছিল দুপুরেই। তবে জানা যায় অভিষেক নিজে ত্রিপুরা গিয়ে সেখানে একটি সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন। তাঁর দলবল এবং নিরাপত্তারক্ষীরাও আগেভাগেই পৌঁছে যায় সেখানে। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে আচমকাই সেই সফর স্থগিত করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
As per due process of law we have sought permission from the @BJP4Tripura Govt for all our events, only for them to be denied repeatedly.
This time they did not even respond to our applications and we had to approach the HC to know that S.144 was being imposed in the state (1/2)
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) September 21, 2021
In line with the HC’s decision not to interfere in policy decisions, we are postponing our scheduled events in Tripura.
We will seek further clarity from the court on the limits to such arbitrary use of executive power. (2/2)
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) September 21, 2021
রাতে জোড়া টুইট করে তৃণমূলের তরফে বলা হয়, যেহেতু আদালত সরকারি নীতির উপর হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই কারণে এই সফর পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ‘প্রশাসনিক ক্ষমতার এরূপ অপব্যবহার কতদিন পর্যন্ত করা যায়’, আদালতের কাছে সেই ব্যাখ্যাও তৃণমূল চাইবে বলে জানায়। এর পাশাপাশি টুইটে দাবি করা হয়, যতবারই তৃণমূল কোনও কর্মসূচির আবেদন জানিয়েছে, সেই আবেদন বাতিল করা হয়েছে।