ত্রিপুরা: প্রয়াত হয়েছেন ত্রিপুরা (Tripura) রাজ্য বামফ্রন্টের আহ্বায়ক বিজন ধর (Bijan Dhar)। তিনি ছিলেন সিপিএম (CPIM) ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক। মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত তিনি ছিলেন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। সোমবার সকালে ইএম বাইপাসে ফর্টিস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিকাল পাঁচটার বিমানে আগরতলা নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। হাসপাতালে উপস্থিত রয়েছেন বিমান বসু, সূর্য মিশ্র, রবীন দেব, সুজন চক্রবর্তী সহ সিপিএমের শীর্ষস্তরের নেতৃবৃন্দ।
দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন বিজন ধর। শেষ কিছুদিন আগে করোনা সংক্রমিত হন তিনি। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সোমবার ভোট ৪টে ৭ মিনিট নাগাদ না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাংলায় এসেছিলেন। সেসময় তিনি হাসপাতালে গিয়ে বিজনবাবুর সঙ্গে দেখা করেন। খোঁজ খবর নেন।
ত্রিপুরার বামপন্থী আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন বিজন ধর। বিজন ধরের চিকিৎসার দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন সিপিএম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি ও কলকাতা জেলা কমিটির সদস্যরা। উত্সবের মাঝেই এই খবরে শোকস্তব্ধ।
উল্লেখ্য মাস খানেক আগেই কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু হয় সিপিএমের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক গৌতম দাসে। তার আগে বিজন ধরই ছিলেন ত্রিপুরার রাজ্য কমিটির সম্পাদক। দুই বর্ষীয়ান নেতার মৃত্যু এত কম দিনের ব্যবধানে, এটা সিপিএমের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ত্রিপুরা রাজ্য বামফ্রন্টের আহ্বায়ক কমরেড বিজন ধরের জীবনাবসানে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। ত্রিপুরা বাম আন্দোলনে অপূরণীয় ক্ষতি হল বলে মনে করছেন নেতৃত্ব। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবও। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন তিনি।