Tripura: ‘খুলতে দেওয়া হচ্ছে না দলীয় কার্যালয়, নিষ্ক্রিয় পুলিশও’, মুখ্যসচিবের কাছে নিরাপত্তার দাবি বাম কর্মীদের

Tripura CPI(M) Seeks Security: চিঠিতে বলা হয়েছে, সংবাদ মাধ্যমের অফিস ছাড়াও রাজ্য জুড়ে সিপিআই(এম) রাজ্য় কমিটির অফিস মিলিয়ে মোট ৩৯টি দলীয় কার্যালয়ে দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

Tripura: 'খুলতে দেওয়া হচ্ছে না দলীয় কার্যালয়, নিষ্ক্রিয় পুলিশও', মুখ্যসচিবের কাছে নিরাপত্তার দাবি বাম কর্মীদের
চিঠি লুিখে নিরাপত্তার দাবি জানাল সিপিআইএম। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 03, 2021 | 2:21 PM

আগরতলা: বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় আসার পরই বারংবার হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে কর্মীদের, এমনটাই অভিযোগ ত্রিপুরার প্রাক্তন শাসক দলের। পুলিশকে অনুরোধ করেও কাজ হয়নি,  এ বার সরাসরি মুখ্যসচিব(Chief Secretary)-র কাছেই চিঠি লিখে নিরাপত্তার দাবি জানালেন ত্রিপুরার সিপিআই(এম) কর্মীরা (CPIM)।

সিপিআই(এম)-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরি (Jitendra Choudhury) শুক্রবারই রাজ্য়ের মুখ্যসচিব অলোক কুমারের কাছে চিঠি লিখে জানান, দলের একাধিক প্রবীণ নেতা ও বিধায়কদের যেন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। তাদের উপর ক্রমাগত হামলা চালানো হচ্ছে। সিপিআই(এম) নেতার অভিযোগ, গত ৮ সেপ্টেম্বর দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের পর থেকেই বিজেপি কর্মীরা বিরোধী দলগুলিতে কোনও দলীয় কার্যালয়ই খুলতে দিচ্ছে না।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সংবাদ মাধ্যমের অফিস ছাড়াও রাজ্য জুড়ে সিপিআই(এম) রাজ্য় কমিটির অফিস মিলিয়ে মোট ৩৯টি দলীয় কার্যালয়ে দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালিয়েছে। ৪টি জেলা কমিটির অফিস, ৭টি সাব-ডিভিশনাল কমিটি অফিস, ২৭টি স্থানীয় কার্যালয় ও একটি শাখা অফিসে গত ৮ সেপ্টেম্বর ভাঙচুর চালানো হয়। অন্তত ৪টি জায়গায় বুলডোজ়ার ব্যবহার করে পার্টি অফিস ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের গাড়িতে হামলার ঘটনাও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। শাসক দলের উপর অভিযোগ এনে বলা হয়, “হিংসার ঘটনার পরও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। দুষ্কৃতীরা স্বাধীনভাবেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করা হচ্ছে না। মানিক সরকারের একাধিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। বিধায়ক বাদল চৌধুরি, সুধন দাস, রতন ভৌমিক ও শ্যামল চক্রবর্তীর উপরও হামলা চালানো হয়েছে, তাদের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।”

এই ধরনের হামলা পূর্ব পরিকল্পিত বলেই অভিযোগ আনেন সিপিআই(এম) নেতা। এই কাজে পুলিশও শাসক দলকে সাহায্য করেছে বলে তিনি চিঠিতে অভিযোগ করেন। বিরোধী দলের তরফে মুখ্যসচিবকে অনুরোধ জানানো হয়, ত্রিপুরার বিভিন্ন থানায় যে হামলার অভিযোগগুলি দায়ের করা হয়েছে, সেই মামলাগুলির তদন্ত যেন দ্রুত শুরু করা হয়। একইসঙ্গে দলীয় কার্যালয়গুলি খোলার জন্য জন্য পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার দাবিও জানানো হয়। এছাড়াও রাজ্যে কোনও প্রকার কর্মসূচির জন্য দলের সভাপতি ও শীর্ষনেতাদের যেন পুলিশি নিরাপত্তা ও কনভয়ের ব্য়বস্থা করা হয়, তার দাবিও জানানো হয়েছে।

সেপ্টেম্বরের শুরুতেই ত্রিপুরার ধনপুর এলাকায় মানিক সরকার যখন ঢুকতে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর কনভয়ে হামলা চালানো হয়।  অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এরপরই আগ্রাসী মেজাজ ধারণ করে এলাকার সিপিএম কর্মীরা। যা নিয়ে গোটা রাজ্যজুড়ে ধিক্কার মিছিল বের করা হয়। সেই ধিক্কার মিছিল চলাকালীনও ত্রিপুরার বেশ কিছু এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। অগ্নিসংযোগ করা হয় একাধিক সিপিএম কার্যালয় এবং সংবাদ মাধ্যমের গাড়িতে। ঘটনার সমালোচনা করা হয় তৃণমূলের তরফেও।

এ দিকে, রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে চলতি বছরের জুলাই মাস অবধি এই ধরনের রাজনৈতিক হিংসা ও হামলার মোট ২০টি মামলা দায়ের হয়েছে এবং এখনও অবধি ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Pak Drone Activity: প্রথমে ড্রোনের আওয়াজ, তারপরই ভারী কিছু পড়ার শব্দ! হলুদ পলিথিনে মোড়া প্যাকেট খুলে পুলিশ দেখল…