দেশের বৃহত্তম নিউজ নেটওয়ার্ক TV9 আয়োজন করেছে ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’ কনক্লেভের। এটি কনক্লেভের দ্বিতীয় সংস্করণ। ২৭ ফেব্রুয়ারি অবধি অনুষ্ঠিত এই কনক্লেভে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বরা। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও অংশ নেবেন এই কনক্লেভে। শিল্প থেকে বিনোদন, ক্রীড়া জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরাও উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে।
আগামী দশকের জন্যও আজই প্রস্তুতি নিতে হবে। স্পেস থেকে সেমিকন্ডাক্টর, ডিজিটাল থেকে ড্রোন, এআই থেকে ক্লিন এনার্জি, ভারত আজ বিশ্বের পরবর্তী ধাপে পৌঁছে গিয়েছে। ভারত আজ ডিজিটাল পেমেন্টে অন্যতম সেরা। ভারত আজ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম দেশ, সোলার ইন্সটলে এগ্রণী দেশ। ৫জিতে ইউরোপকে পিছনে ফেলে দিচ্ছে। আজ ভারত উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছে। এই কারণে বলা হচ্ছে, ভারত ভবিষ্যৎ। আগামী ৫ বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে ভারতের সামর্থ্যকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে। বিকশিত ভারতের সংকল্প যাত্রায় আগামী ৫ বছর প্রগতি ও প্রশস্তির পথ হবে। আপনারা বিগ লিপের আয়োজন করলেন বলে আমিও মুখ খোলার সুযোগ পেলাম। সকলকে অনেক ধন্যবাদ।
আজ সরকার ঘরে ঘরে গিয়ে পরিষেবা দিচ্ছে। মোদীর গ্যারান্টির গাড়ি সম্পর্কে নিশ্চয়ই শুনেছেন। সরকারি আধিকারিকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জানতে চান, আপনারা পরিষেবা পাচ্ছেন কি না। এমন আগে কখনও হয়নি। এই জন্য আমি বলি, আমরা রাজনীতি নয়, রাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী। সরকার নেশন ফার্স্ট নীতিতে চলে। আমরা দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তি থেকে শুরু করে রাম মন্দির নির্মাণ, তিন তালাকে ইতি, মহিলা সংরক্ষণ, ওয়ান র্যাঙ্ক, ওয়ান পেনশন-সরকার নেশন ফার্স্টের চিন্তাধারা নিয়েই এই সব কাজ করেছে।
আগের সরকার মানুষকে অভাবে রাখতে ভালবাসত। নির্বাচনের সময় কিছু ঘোষণা, ভাতা দিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করত। সরকার শুধু তাদের জন্যই কাজ করত, যারা তাদের ভোট দিত। আমরা এই চিন্তাধারা বদলেছি। দুর্নীতিতে লাগাম টেনে সর্বত্র বিকাশ করা হয়েছে। এখন অভাবের রাজনীতি করা হয় না, গভর্নেন্স অব স্যাচুরেশনে বিশ্বাস করা হয়। আমরা তুষ্টিকরণ না করে, জনগণকে সন্তুষ্ট করেছি। আমরা ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতিকে পারফরম্যান্সের রাজনীতিতে পরিণত করেছি। যখন অভাব থাকে, তখন দুর্নীতি হয়, ভেদাভেদ হয়।
এতদিন আমরা শুধু গরিবি হটাও স্লোগান শুনেছিলাম, বিগত ১০ বছরে আমরা ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্রসীমা থেকে বের করে এনেছি। আমাদের সরকারই এই কাজ করেছে। ভারতে গরিবি সিঙ্গল ডিজিটে পৌছে গিয়েছে। বিগত এক দশকে কনজামশন দেড়ু গুণ বেড়েছে অর্থাৎ মানুষের বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা গ্রহণের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। গ্রামের মানুষের আর্থিক সামর্থ্য বাড়ছে। ২০১৪ সালের পর থেকে আমাদের সরকার গ্রামকে নজরে রেখে পরিকাঠামো তৈরি করেছে। গ্রাম ও শহরের মধ্যে সংযোগ তৈরি করা হয়েছে। মহিলাদের আয় বাড়ানো হয়েছে। ভারতে প্রথমবার খাবারের উপরে খরচ ৫০শতাংশের কম হয়েছে।
আমাদের বিশ্বের নেতৃত্ব দিতে হবে। প্রতিদিন দেশে হওয়া উন্নয়নরকাজ এই শক্তি জোগাচ্ছেে। ভারতে প্রতিদিন ২টো কলেজ খুলেছে। প্রতি সপ্তাহে একটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে। প্রতিদিন ৫৫ পেটেন্ট, ৬০০ ট্রেডবার রেজিস্টার করা হয়েছে। প্রতিদিন দেড় লক্ষ মুদ্রা লোন দেওয়া হয়েছে, ৩৭টি নতুন স্টার্টআপ শুরু হয়েছে। ভারতে প্রতিদিন ১৪ কিমি রেলওয়ে ট্রাক তৈরি করা হচ্ছে, ৫০ হাজার এলপিজি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রতি সেকেন্ডে একটি বাড়িতে জলের লাইনের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ৭৫ হাজার মানুষকে গরিবি থেকে বের করে আনা হয়েছে।
ভারত আজ যে মাত্রায় কাজ করছে, তা অভাবনীয়। আমি এক সপ্তাহের কাজের খতিয়ান দিই। ২০ ফেব্রুয়ারি জম্মু থেকে একাধিক আইআইটি, আইআইএমের শিলান্যাস করেছি। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজকোট থেকে একসঙ্গে ৫টি এইমসের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেছি। আজ সকালে দেশের ২৭ রাজ্যে ৫০০ রেলস্টেশনের সংস্কারের শিলান্যাস করেছি। দেশে ১৫০০ অভারব্রিজের কাজ হবে। এখানে আসার আগেও আগামী দুই দিনের কর্মসূচি জানিয়েছি। আগামিকাল সকালেই আমি কেরল, তামিলনাডু ও মহারাষ্ট্রে যাব। ওখানে এমএসএমই, স্পেসের কর্মসূচি আছে। কৃষকদের জন্য কর্মসূচি রয়েছে।
আমাদের সরকারের কাজের উদাহরণ দিই এবার। মুম্বইয়ের অটল সেতু, দেশের সবথেকে বড় সি-ব্রিজ। ২০১৬ সালে এই সেতুর শিলান্যাস হয়েছিল, কয়েক সপ্তাহ আগেই আমরা তার উদ্বোধন করেছি। নতুন সংসদ ভবনের শিল্যানাস ২০২০-তে করেছিলাম, গত বছরই এর উদ্বোধন করেছি। জম্মু এইমসের শিল্যানাস ২০১৯ সালে হয়েছিল, গত সপ্তাহে এর উদ্বোধন করেছি। এইমস রাজকোটের উদ্বোধন গতকাল করেছি। এইমস সম্বলপুরের শিলান্যাস ২০২১ সালে হয়েছিল, ২০২৪ সালে উদ্বোধন হয়ে গেল। ত্রীচি বিমানবন্দর, গোয়া বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেছি। লাক্ষাদ্বীপে সমুদ্রের নীচে অপটিক্যাল ফাইবার বসানো অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করা হত। ২০২০ সালে এই কাজ শুরু করে, কিছু সপ্তাহ আগে কাজও শেষ করেছি। কালই আপনারা দ্বারকায় সুদর্শন সেতু দেখেছেন। বিশ্বের সবথেকে দীর্ঘতম কেবল সেতু এটা। এই ব্রিজও ২০১৭ সালে শুরু করে, এর মধ্যে কাজ শেষ করেছি। যখন ইচ্ছাশক্তি থাকে, করদাতাদের সম্মান করা হয়, তখন দেশ এগিয়ে যায়।
প্রতি মাসে আমি প্রত্যেকটা ফাইল নিয়ে বসি। সব তথ্য খতিয়ে দেখি, কোন প্রকল্প আটকে রয়েছে, তা খুটিয়ে দেখি। আমার সামনে ভিডিয়ো কনফারেন্সে প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যসচিব ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিরা থাকেন। প্রত্যেকটা বিষয়ের বিশ্লেষণ হয়। আমি গত ১০ বছরে ১৭ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের সমীক্ষা করেছি। তারপরে এই প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ হয়েছে। আপনারাই বলুন, আগের সরকারের গতিতে যদি কাজ হত, দেশ কীভাবে বিগ লিপ নিত?
আগে দেশ কীভাবে রিভার্স গিয়ারে চলছিল, তার উদাহরণ দিই। ১৯৮০ দশকে উত্তর প্রদেশে সরযূ নগরর সূচনা করা হয়েছিল। এই পরিকল্পনা চার দশক আটকে ছিল। ২০১৪ সালে আমরা সরকার গঠনের পর দ্রুত কাজ করেছি। সর্দার সরোবর যোজনা পন্ডিত নেহরু ৬০-র দশকে করেছিলেন। ৬০ বছর ওই প্রকল্প এভাবেই আটকে ছিল। আমরা ক্ষমতায় এসে ২০১৭ সালে এই ড্যামের কাজ শেষ করে ফেলি। মহারাষ্ট্রেও কৃষ্ণা ড্যাম ৮০-র দশকে শুরু হয়েছিল। আমরা সেই কাজ শেষ করেছি। অটল টানেলের শিলান্যাস ২০০২ সালে হয়েছিল। ২০১৪ সাল অবধি এই টানেল অসম্পূর্ণই ছিল। এই টানেলও আমরা শেষ করেছি। ২০২২ সালে উদ্বোধন করেছি। ইস্টান ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর ২০০৮ সালে তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ১৫ বছর পর, ২০২৩-এ আমরা সেই কাজ শেষ করেছি। আমি এমন ৫০০টি উদাহরণ দিতে পারি।
এই পরিবর্তনের কারণ হল আমাদের কর্ম সংস্কৃতিতে পরিবর্তন। অফিস, ফাইল, কর্মী একই রয়েছে। সরকারি দফতর আজ দেশবাসীর সমস্যা নয়, সমাধান হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে যে গিয়ারে ভারত চলছিল, তা বদলানো দরকার ছিল।
অনেকেই এখানে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন। ২০১৪ সালে ৯ লক্ষ কোটি বিনিয়োগ করেছিলেন। আজ ৫২ লক্ষ কোটি টাকা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন। এর কারণ সকলের বিশ্বাস রয়েছে যে দেশ এগোচ্ছে। এই বিশ্বাস তাদের নিজেদের উপরেও রয়েছে। সকল ভারতীয়রা ভাবছেন, আজ আমি সব কিছু করতে পারি। আমার জন্য কিছু অসম্ভব নয়। টিভি৯-র দর্শকরাও জানেন, যেখানে অনেকের কল্পনা আটকে যায়, তার থেকেও ভাল পারফর্ম করেছি আমরা।
১০ বছরের এফডিআই দেখুন। গত সরকারের আমলে ১০ বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের এফডিআই এসেছিল। আমাদের সরকারের ১০ বছরে ৬৪০ বিলিয়ন ডলারের এফডিআই এসেছে। ১০ বছরে ডিজিটাল ক্রান্তি এসেছে। ভ্যাকসিনে বিপ্লব এসেছে। করোনাকালে করদাতার পরিমাণ দেখে বোঝা গিয়েছে, ভারতের জনগণের সরকারের উপরে ভরসা বাড়ছে।
আজ দুনিয়া অবাক ভারতকে দেখে। গোটা বিশ্ব ভারতের সঙ্গে চলায় নিজের সুবিধা দেখছে। সবাই ভাবছে, ভারত এটাও করে ফেলল? এটাই বিশ্বের নিউ নর্মাল।
মানসিকতায় পরিবর্তন কামাল করেছে। একবিংশ শতাব্দীর ভারত ছোট চিন্তাভাবনা ছেড়ে দিয়েছে। আজ আমরা বেস্ট ও বিগেস্ট কাজ করি।
এই জন্য দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করেছিলেন যে দেশ এভাবেই চলবে। এর উপরে দুর্নীতি, ভুল নীতি, পরিবারবাদ ছিল। এরা দেশের ভিত নষ্ট করে দিয়েছিল। গত ১০ বছরে আমরা দেশকে সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বের করে এনেছি। মাত্র ১০ বছরেই ভারত বিশ্বের সেরা পাঁচ অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। আজ নীতিও আগে তৈরি হয়, নির্ণয়ও দ্রুত নেওয়া হয়।
অনেকে এসেছে, চলে গেছে, দেশ অমর রয়েছে। হেরে যাওয়া মানসিকতা নিয়ে জয় অর্জন কঠিন। এই কারণে গত ১০ বছরে মানসিকতায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে যারা সরকার চালিয়েছিল, তাদের ভারতীয়তার উপরই বিশ্বাস ছিল না। তখন লালকেল্লা থেকে বলা হত, আমরা ভারতীয়রা নিরাশাবাদী। পরাজয়বাদী। লালকেল্লা থেকেই ভারতীয়দের অলস বলা হয়েছিল। যখন দেশের নেতৃত্বই নিরাশাবাদী, তখন দেশে কীভাবে আশার সঞ্চার হত?
আজ টিভি৯-র টিম খুবই আকর্ষণীয় বিষয় বেছেছে। ইন্ডিয়া পয়েজড ফর দ্য নেক্সট বিগ লিপ। বড় পদক্ষেপ আমরা তখনই নিতে পারি যখন আমাদের মধ্যে উৎসাহ ভরপুর থাকে। এই থিমই বোঝাচ্ছে আজ ভারতের আত্মবিশ্বাস কোন উচ্চতায় পৌছেছে। আজ যদি বিশ্ব মনে করে ভারত পরবর্তী পদক্ষেপ করার জন্য প্রস্তুত, তার জন্য বিগত ১০ বছরের লঞ্চপ্যাড রয়েছে।
পুরনো যুগে যুদ্ধে যাওয়ার আগে বিউগল বাজানো হত, যাতে যুদ্ধে অনুপ্রেরণা পায়। টিভি৯-র সকল দর্শককে নমস্কার। আমি অনেক সময়ই ভারতের বৈচিত্র নিয়ে কথা বলি। টিভি৯-র নিউজরুম, রিপোর্টিংয়ে এই বৈচিত্র্য দেখা যায়। আপনারা ভারতের বৈচিত্র্যের প্রতিনিধি। বিভিন্ন রাজ্যে টিভি৯-র সঙ্গে যুক্ত সকলকে অভিনন্দন জানাই।
আমার তিন মোদী মন্ত্র হল- ক্ষমতায় ফেরা, দিবিতীয়- মোদী মাল্টিপ্লেয়ার, তৃতীয় সিটিজেন ডিএনএ রিসেট।
টিভি৯ নেটওয়ার্কের এমডি-সিইও বরুণ দাস প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এবারের থিম ইন্ডিয়া পয়েজড ফর নেক্সট বিগ লিপ। আমাদের সৌভাগ্য, যে ব্যক্তি ১৪০ কোটি ভারতীয়কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তিনি আমাদের মধ্যে সামিল।
In a short while from now, at around 8 PM, will be addressing the #News9GlobalSummit. My address will focus on the theme, ‘India: Poised for the Next Big Leap.’ Do watch…
— Narendra Modi (@narendramodi) February 26, 2024
মলদ্বীপ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, গোটা দুনিয়া সবসময় কৃতজ্ঞতা ও দয়ায় চলে না। অনেক সময় মনে হয়, কূটনীতিই সমস্যার সমাধান করতে পারে। মলদ্বীপে আমাদের ২টো হেলিকপ্টার রয়েছে, মেডিক্যাল পরিষেবার জন্য এটা ব্যবহার হয়। এতে কারা উপকৃত হয়? মলদ্বীপই। ওদেরই এই বিমান চালানোর কথা। আমরা বললাম, ঠিক আছে, আলোচনায় বসুন, সমস্যার সমাধান করা হবে। অনেক সময় উদ্দেশ্য ভাল হলেও, সমস্যা তৈরি হয়।
সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকের সময় আমি বিমানে ছিলাম, যখন জানতে পারি যে রাশিয়া আক্রমণ করেছে। প্রাথমিক স্তর থেকে যখন যুদ্ধের পর্যায়ে পৌঁছয়, তখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। তখন অন্য দেশ কী বলছে, সমস্যা কোথায়-বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করতে হয়। রাশিয়ার সাপ্লাই কমিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। আমাদের কাছে অতিরিক্ত আশা করা হচ্ছিল।
গ্লোবাল সাউথ অনেক বড়। নিজের ভাল বোঝাটা কোনও খারাপ নয়। আমাদের ঘাড়ে ঋণের বোঝা না থাকলেও, অন্য দেশ যাদের ঘাড়ে এই বোঝা রয়েছে, তাদের জন্য কিছু করা উচিত বলেই মনে করি আমরা।
জি-২০ র সময় একাধিক প্রধানমন্ত্রীকেই বলতে শুনেছি যে আমাদের সমস্যার কথা বলুন। প্রধানমন্ত্রী মোদী সকলকে একজোট করে , সকলের সমস্যা শিুনেছেন। জি-২০ তে শুধুমাত্র আমরা বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে বলিনি, ১২৫টি দেশের হয়ে বলেছি।
বিগত কয়েক বছরে একাধিক ধাক্কা সামলাতে হয়েছে। কোভিড সরকারের পরিকাঠামোয় ক্ষতি করেছে। বিশ্ব অর্থনীতির ওঠানামা, বাণিজ্যে বাধা সৃষ্টি হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি, মধ্য প্রাচ্যের সমস্যার মতো নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ত হয়েছে।
রাজনীতিতে কী অংশ নেবেন কঙ্গনা? এই প্রশ্নের উত্তরে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী বলেন, এটা ঘোষণা করার জায়গা নয়। যে কেউ দেশের উন্নয়নের জন্য রাজনীতিতে অংশ নিতে পারেন। আমি সিনেমার সেট থেকেও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লড়েছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি দেশের জন্য কিছু করতে চাই। আমার মতে, রাজনীতিতে প্রবেশের এটাই সঠিক সময়।
শিল্পী হিসাবে আমি নিজের সীমানা পার করতে চাই, কতটা পারফেক্ট কাজ করতে পারি, তা দেখতে চাই আমি। একইসঙ্গে পরিবর্তনেরও অংশ হতে চাই আমি।
বিনোদন মাধ্যমের পরিবর্তন নিয়ে কথা বলছেন কঙ্গনা রানাউত। তিনি বলেন, “আজকের দিনে দাঁড়িয়ে নাটকের মঞ্চে কুইন সফল হওয়ার কথা কল্পনাই করা যায় না। বড় বড় ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলিও আজ ক্ষতির মুখে পড়ছে। থিয়েটার ব্যবসা ভেন্টিলেটরে চলে গিয়েছে। আমার বাবা আগে টিভি, সিনেমা দেখতেন, এখন ইউটিউব দেখেন। “
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ দেশের বৃহত্তম নিউজ নেটওয়ার্ক TV9-এর বার্ষিক অনুষ্ঠান “হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে” গ্লোবাল সামিট-এ গ্লোবাল ন্যারেটিভ নিয়ে কথা বলেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন যে যখন জার্মানি চিনে বিনিয়োগ করে বা ইউরোপ রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনে, কিন্তু ভারত যখন রাশিয়ার কাছাকাছি আসে, তখন কীভাবে কোনও দেশের আখ্যান বিশ্বব্যাপী সেট করা শুরু হয়। এ বিষয়ে খুরশিদ বলেন, অধিকাংশ সম্পর্কই রাজনীতি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়, তবে এর মানে এই নয় যে এটি ভুল। এটি একটি ভাল জিনিস।
“দ্য রেকর্ড স্ট্রেইট: কারেক্টিং দ্য ইন্ডিয়া ন্যারেটিভ” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ বলেন, “যদি স্বাধীন সমাজ হয়, তবে সেখানে সকলকে স্থান দেওয়া উচিত। এটা নিয়ে ভারত গর্বিত।”
সুগার কসমেটিক্সের সিইও বিনীতা সিং মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে শীর্ষস্থান দখল করতে না পারার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “প্রতিষ্ঠানগুলি মহিলাদের কর্মক্ষমতা প্রচার করতে জানে না”। মহিলা উদ্যোগপতিদের উদ্দেশে বলেন, “এটাই সঠিক সময় ও সঠিক জায়গা, নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার।”
নিউজ৯ গ্লোবাল সামিটে সুগার কসমেটিক্সের সিইও তথা সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিনীতা সিং বললেন, “নয়া উদ্যোগপতিদের প্রথম ও সবথেকে বড় দায়িত্বই হল টিকে থাকা। তহবিল পাওয়ার পরও ৯০ শতাংশ স্টার্টআপ ব্যর্থ হয়। এই জন্য স্টার্টআপের প্রথম দুই বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
আমি আমার অভিনয় জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট। TV9-এর মঞ্চে উপস্থিত হয়ে বললেন অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা। তিনি বলেন, আগামিদিনেও একজন সাধারণ মানুষের চরিত্রে অভিনয় করে যাব।
ভারত হয়ে উঠছে সেমিকনডাকটার ক্যাপিটাল অব দ্য ওয়ার্ল্ড। কেউ আটকাতে পারবে না। WITT-র মঞ্চে এমনটাই বললেন অশ্বিনী বৈষ্ণব।
১০ বছর আগে নাক বন্ধ করে রেল স্টেশনে যেতে হত। এখন সব পরিস্কার। বিশ্বের সবথেকে বড় স্টেশন রি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম শুরু করেছে ভারত। কোনও দেশ এটা করেনি: অশ্বিনী বৈষ্ণব।
হোয়াটস ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে-র মঞ্চে বক্তব্য পেশ করছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
স্টার্ট আপ নিয়ে আলোচনা করলেন বিশিষ্ট অতিথিরা। TV9 নেটওয়ার্কের কনক্লেভে এদিন এই বিষয়ে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন 108 Capital-এর প্রতিষ্ঠাতা সুষমা কৌশিক, মামাআর্থের কো ফাউন্ডার গজল আলগ, নো ব্রোকারের প্রতিষ্ঠাতা অখিল গুপ্তা ও আমুলের এমডি জয়েন মেহতা।
TV9 কনক্লেভের মঞ্চে ভারত পে-র চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন এসবিআই চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার। ব্যাঙ্কিং-এর ক্ষেত্রে কী কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেছেন তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন, টাইপরাইটার দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি আর আজ মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের যুগ এসেছে। সেই পরিবর্তনের কথা বলেন তিনি। রজনীশ কুমার আরও বলেন, ২০১৪ সালের অগস্টে ‘জন ধন যোজনা’ চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কিং সেক্টরে বড় পরিবর্তন হয়েছিল।
মন্ত্রী বললেন, ‘সন্দেশখালিতে যা হয়েছে তা যে কোনও মানুষের চিন্তার বাইরে।’ তাঁর দাবি, এক সময় বাংলায় বিজেপিকে আক্রান্ত হতে হত আর এখন শাসক দলে সমর্থকেরাই আক্রান্ত হচ্ছেন। ভোট পরবর্তী হিংসার কথাও এদিন উল্লেখ করেন তিনি।
আর কী বললেন, একনজরে…
‘যে মহিলারা মমতাকে সমর্থন করেছেন, তাঁদেরকেই…’, সন্দেশখালি নিয়ে মুখ খুললেন স্মৃতি ইরানি
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি উল্লেখ করেন, অর্থনীতিতে নারীদের সমান অংশীদার হিসেবে দেখেন মোদী, মহিলাদের সমস্যাকে আলাদা করে দেখেন না। মহিলাদের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা সহ বিভিন্ন বিষয়ে কীভাবে প্রধানমন্ত্রী নজর দিয়েছেন, সে কথাও উল্লেখ করেছেন স্মৃতি ইরানি।
সম্প্রতি মদিনায় গিয়েছিলেন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। কনক্লেভের আলোচনায় ছিল তাঁর এই সফরের প্রসঙ্গ। এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নে স্মৃতি ইরানি বলেন, আমার মদিনা সফর আসলে প্রমাণ করে ইসলামিক দেশগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর গ্রহণযোগ্যতা কতটা।
ভারতের বিকাশে নারী শক্তির ভূমিকা কী, কেন্দ্রীয় সরকার মহিলাদের কথা ভেবে কী পদক্ষেপ করেছেন, এ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
এআই নিয়ে আলোচনায় উপস্থিত হয়েছেন স্যামসাং রিসার্চের এআই ভিশন ডিরেক্টর অশোক শুক্লা, এআই বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অনুরাগ মারিয়েল, রিলায়েন্স জিও-র চিফ ডেটা সায়েন্টিস্ট শৈলেশ কুমার, মাইক্রোসফ্ট ইন্ডিয়া-র ইডি শমিক রায় এবং মার্জ সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ব্রনফম্যান।
ভারতীয় কূটনীতিক সৈয়দ আকবরুদ্দিন বলেন, ‘১০ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। বিদেশনীতি সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারনা ছিল না। অথচ তিনি আজ নিজেকে বিশ্বনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি ঝুঁকি নিয়েছেন।’ যুদ্ধ হলে তাঁর সমাধান কোথায়, সেটাও মোদী জানেন বলে মন্তব্য করেছেন আকবরুদ্দিন।
সম্প্রতি ভারত সম্পর্কে মলদ্বীপ সরকারের কিছু মন্তব্যে বিতর্ক বাড়ে। সেই প্রসঙ্গে TV9 নেটওয়ার্কের কনক্লেভে কথা বললেন মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমেদ মারিয়া দিদি। তিনি বলেন, “আমরা সবসময় ভাল সম্পর্ক রেখে চলেছি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে। আমরা চাই না, আমাদের এলাকায় প্রক্সি ওয়ার হোক।”
বিশ্বে শান্তি বজায় রাখতে ভারতের কী ভূমিকা, তা নিয়ে নিয়ে আলোচনায় অশ নিয়েছেন ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ভেলিনা চাকারোভা, মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারিয়া আহমেদ দিদি, রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রাক্তন দূত সৈয়দ আকবরউদ্দিন।
সোমবার সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত থাকছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট, মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারিয়া আহমেদ দিদি, ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত নাওর গিলন প্রমুখ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অতিথিরা যোগ দিয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেককে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন বরুণ দাস। সেই সঙ্গে সম্মেলনের থিম সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন তিনি।
কী বললেন তিনি…
‘তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হওয়ার পথে এগোচ্ছে ভারত’, বললেন TV9 নেটওয়ার্কের MD-CEO বরুণ দাস
TV9 নেটওয়ার্কের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট। তিনি বলেন, “মোদী একজন সাধারণ নেতা নন। মোদীর অ্যাজেন্ডা সাধারণ মানুষের জীবনকে স্পর্শ করেছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। তিনি ভারতকে শক্তিশালী করেছেন। তাঁর নেতৃত্ব সারা বিশ্বে প্রশংসিত।”
কনক্লেভের মঞ্চে চিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন টনি অ্যাবট। তিনি বলেন, চিন “কোনও যুদ্ধ ছাড়াই জিততে চাইছে। এটা বিশ্বের পরিস্থিতির জন্য ভাল নয়।”
‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বক্তব্য রাখছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট। ভারতকে ‘আঞ্চলিক সুপার পাওয়ার’ হিসেবে উল্লেখ করলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘মোদী একজন প্রকৃত দেশভক্ত।’
সম্মেলনের থিম সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে TV9 নেটওয়ার্কের MD-CEO বরুণ দাস বলেন, “একদিকে বিশ্বশান্তির ক্ষেত্রে রয়েছে ভারতের ভূমিকা। অন্যদিকে, আইএমএফ ভারতকে বিশ্ব অর্থনীতির মানচিত্রে উজ্জ্বল ক্ষেত্র বলে চিহ্নিত করেছে। তবে বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ হিসেবে ভারতের নিজস্ব কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।”
দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিশিষ্ট অতিথিদের স্বাগত জানালেন TV9 নেটওয়ার্কের MD-CEO বরুণ দাস। তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করলেন এই সম্মেলনের থিমের কথা। তিনি জানালেন ভারতের অগ্রগতি, বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে সম্মেলনেন আলোচনা করবেন দেশ-বিদেশের অতিথিরা।
কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হচ্ছে হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে কনক্লেভের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান। শুরুতেই বক্তব্য রাখবেন TV9 নেটওয়ার্কের এমডি-সিইও বরুণ দাস।
আর মাত্র কয়েক মিনিটের অপেক্ষা। তার পরই শুরু হবে হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে-র দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
TV9 নেটওয়ার্কের “হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে” কনক্লেভে নক্ষত্র সম্মান পেলেন আল্লু অর্জুন।
বলিউডে স্বজনপ্রীতি ও নেপোটিজমের প্রশ্নে রবিনা টন্ডন বলেন, “আপনি যদি নেপো কিড-দের কথা বলেন, তাহলে আমাদের অর্ধেক ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হয়ে যাবে।” রবিনা তাঁর ফিল্ম কেরিয়ারের শুরুর গল্পও শোনান। তিনি বলেন, “আমি প্রহ্লাদ কক্করকে অ্যাসিস্ট করছিলাম, সবাই আমাকে বলছিল যে তুমি পর্দার সামনে আসো, পর্দার আড়ালে নয়। একদিন আমাকে সলমন খানের সঙ্গে একটি ছবির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, আমি আমার বন্ধুদের জিজ্ঞেস করলাম এবং তাঁরা আমায় বলেছিল যে আমি যেন না করি, কারণ ওরা সলমন খানের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল…সুতরাং এভাবেই আমার চলচ্চিত্র কেরিয়ার শুরু হয়েছিল।”
বলিউড অভিনেত্রী রবিনা টন্ডন বলেন, “প্রতিটি সন্তানের লালনপালনে মায়ের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি থাকে, আমার লালন-পালনেও আমার মা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তবে তিনি কম কথা বলেন… আমার মা ১৫ বছর বয়সে বিরজু মহারাজের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে কত্থক করেছেন, তার ভিতরে সবসময় একজন শিল্পী আছেন এবং কোথাও না কোথাও আমাদের রক্তেও একই কথা রয়েছে। তবে আমি বলব, আমার সাফল্য বাবার পাশাপাশি মায়ের ভূমিকাও রয়েছে।”
জি২০ হল সফট এবং হার্ড পাওয়ারের মিশ্রণ। বললেন নীতি আয়োগের প্রাক্তন সিইও অমিতাভ কান্ত। ভারত যে সমস্ত দেশের সঙ্গে কাজ করতে পারে এবং ঐকমত আনতে পারে, সেই ক্ষমতা জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে দেখিয়ে দিয়েছে ভারত।
নক্ষত্র সম্মান পেলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের প্যারালিম্পিক ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আমির লোন এবং তরুণ ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় আনমোল খারব।
জাতীয় ব্যাডমিন্টন কোচ পুল্লেলা গোপীচাঁদ বললেন, বহু ক্রীড়াবিদ আছেন, যাঁরা হয়ত জীবনে খুব বড় কিছু করতে পারেন না। কিন্তু, তাঁদেরও নিরাপদ জীবন পাওয়া উচিত। পেশাদারদেরই হাতেই খেলাধূলা পরিচালিত হওয়া উচিত।
রাজ্য সরকার যদি সাহায্য করে, ৩৬ টি রাজ্যের মধ্যে ২০টি রাজ্যও যদি ভাল কাজ করে, তবে ২০৩৬ সালের মধ্য়ে বিশ্বের সেরা ১০ এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে বিশ্বের সেরা ৫ পদকজয়ী দেশ হয়ে উঠবে।
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “সরকার আজ খেলো ইন্ডিয়া সহ বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নিয়েছে যেখানে খেলোয়াড়দের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং আমরা তার ফলাফলও দেখছি। এই প্রথম ভারত এশিয়ান গেমসে ১০০টির বেশি পদক জিতেছে। আজকের ভারত তার নিজের লক্ষ্যে কাজ করছে এবং তার ফলাফলও পাচ্ছে, আগে খেলোয়াড়রা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হত, কিন্তু আজ খেলো ইন্ডিয়া, টপস স্কিমের অধীনে, সরকার খেলোয়াড়দের সম্পূর্ণ খরচ বহন করে।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন “বিজেপির স্লোগান ‘আব কি বার, ৪০০ পার’। শূন্য যখন শূন্যের সঙ্গে জোড়ে, তখন তার ফল শূন্যই হয়। আজ রাহুল গান্ধী এবং সনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, ইডি অরবিন্দ কেজরীবালকে সাতবার সমন পাঠিয়েছে, উনি (কেজরীবাল) নিজেকে সততার সার্টিফিকেট দিয়েছেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত একবারও হাজিরা দেননি… আমরা দুর্নীতিমুক্ত সরকার চালাচ্ছি… এই লোকেরা ৭০ বছর ধরে দুর্নীতি করেছে, এর অবসান হওয়া দরকার সময় লাগবে।”
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “মিডিয়া খেলোয়াড়দের এমন স্বীকৃতি দিতে পারে, যা অর্থের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। আমি ক্রিকেট ছাড়তে চাইনি, কিন্তু পারিবারিক পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে আমাকে খেলা ছেড়ে দিতে হয়। আমি ২৫ বছর বয়সে হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হয়েছিলাম এবং ২৬ বছর বয়সে আমরা ধর্মশালায় একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করি। তারপরে আমার সামনে রাজনীতির দরজা খুলে যায়। ওই স্টেডিয়ামটি তৈরি না হলে, সম্ভবত আমি চারবারের লোকসভা সাংসদ হতে পারতাম না।”
ভারতের সামনে প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আমরা যদি দেশ হিসাবে বিজয়ীদের প্রস্তুত করি, তবে আমরা বিশ্বশক্তি হিসাবে উঠে আসব। ক্রীড়া, বিনোদনে প্রচুর সুযোগ রয়েছে আমাদের সামনে। বাণিজ্যেও বিপুল উন্নতির সুযোগ রয়েছে।
আজ আমরা আলোচনা করব ভারতের সফট পাওয়ার হয়ে ওঠা নিয়ে। কী এই সফট পাওয়ার। জোসেফ নাইর বলেছেন, এটি হল একটি দেশের বৈশিষ্ট্য অন্য দেশকে আকর্ষণ করার। যেমন আমেরিকান ড্রিম বিক্রি হয় হলিউডের মাধ্যমে, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা পরিচিত ফুটবলের মাধ্যমে, ভারতও পরিচিত যোগাসন, বেদ ও আর্যুবেদ। সম্প্রতিই তা অসাধারণ সিনেমার মাধ্যমে পরিচিতি অর্জন করেছে। গোটা বিশ্ব নাটু নাটুতে নেচে উঠেছে। ক্রীড়াজগতেও ভারত বিশেষ নাম অর্জন করেছে।
টিভি৯ নেটওয়ার্কের সিইও তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর বরুণ দাস বলেন, সকলকে স্বাগত। ভারতের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। আগামিকাল বক্তব্য রাখবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শুরু হচ্ছে টিভি৯ নেটওয়ার্কের কনক্লেভ হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে। অনুষ্ঠানের থিম ‘ইন্ডিয়া: পয়েজ় ফর দ্য নেক্সট বিগ লিপ’ ।
অপেক্ষার অবসান। শুরু হচ্ছে TV9 নেটওয়ার্কের সবথেকে বড় কনক্লেভ হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে। উপস্থিত রয়েছেন সমস্ত গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টু়ডে কনক্লেভের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই বক্তব্য রাখবেন TV9 নেটওয়ার্কর CEO তথা MD বরুণ দাস।
দেশের বৃহত্তম নিউজ নেটওয়ার্ক আয়োজন করেছে হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে কনক্লেভের। বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে শুরু হবে কনক্লেভ।
দেশের বৃহত্তম নিউজ নেটওয়ার্ক TV9 আয়োজন করেছে ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’ কনক্লেভের। এটি কনক্লেভের দ্বিতীয় সংস্করণ। ২৭ ফেব্রুয়ারি অবধি অনুষ্ঠিত এই কনক্লেভে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বরা। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও অংশ নেবেন এই কনক্লেভে। শিল্প থেকে বিনোদন, ক্রীড়া জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরাও উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে।
আগামী দশকের জন্যও আজই প্রস্তুতি নিতে হবে। স্পেস থেকে সেমিকন্ডাক্টর, ডিজিটাল থেকে ড্রোন, এআই থেকে ক্লিন এনার্জি, ভারত আজ বিশ্বের পরবর্তী ধাপে পৌঁছে গিয়েছে। ভারত আজ ডিজিটাল পেমেন্টে অন্যতম সেরা। ভারত আজ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম দেশ, সোলার ইন্সটলে এগ্রণী দেশ। ৫জিতে ইউরোপকে পিছনে ফেলে দিচ্ছে। আজ ভারত উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছে। এই কারণে বলা হচ্ছে, ভারত ভবিষ্যৎ। আগামী ৫ বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে ভারতের সামর্থ্যকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে। বিকশিত ভারতের সংকল্প যাত্রায় আগামী ৫ বছর প্রগতি ও প্রশস্তির পথ হবে। আপনারা বিগ লিপের আয়োজন করলেন বলে আমিও মুখ খোলার সুযোগ পেলাম। সকলকে অনেক ধন্যবাদ।
আজ সরকার ঘরে ঘরে গিয়ে পরিষেবা দিচ্ছে। মোদীর গ্যারান্টির গাড়ি সম্পর্কে নিশ্চয়ই শুনেছেন। সরকারি আধিকারিকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জানতে চান, আপনারা পরিষেবা পাচ্ছেন কি না। এমন আগে কখনও হয়নি। এই জন্য আমি বলি, আমরা রাজনীতি নয়, রাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী। সরকার নেশন ফার্স্ট নীতিতে চলে। আমরা দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তি থেকে শুরু করে রাম মন্দির নির্মাণ, তিন তালাকে ইতি, মহিলা সংরক্ষণ, ওয়ান র্যাঙ্ক, ওয়ান পেনশন-সরকার নেশন ফার্স্টের চিন্তাধারা নিয়েই এই সব কাজ করেছে।
আগের সরকার মানুষকে অভাবে রাখতে ভালবাসত। নির্বাচনের সময় কিছু ঘোষণা, ভাতা দিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করত। সরকার শুধু তাদের জন্যই কাজ করত, যারা তাদের ভোট দিত। আমরা এই চিন্তাধারা বদলেছি। দুর্নীতিতে লাগাম টেনে সর্বত্র বিকাশ করা হয়েছে। এখন অভাবের রাজনীতি করা হয় না, গভর্নেন্স অব স্যাচুরেশনে বিশ্বাস করা হয়। আমরা তুষ্টিকরণ না করে, জনগণকে সন্তুষ্ট করেছি। আমরা ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতিকে পারফরম্যান্সের রাজনীতিতে পরিণত করেছি। যখন অভাব থাকে, তখন দুর্নীতি হয়, ভেদাভেদ হয়।
এতদিন আমরা শুধু গরিবি হটাও স্লোগান শুনেছিলাম, বিগত ১০ বছরে আমরা ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্রসীমা থেকে বের করে এনেছি। আমাদের সরকারই এই কাজ করেছে। ভারতে গরিবি সিঙ্গল ডিজিটে পৌছে গিয়েছে। বিগত এক দশকে কনজামশন দেড়ু গুণ বেড়েছে অর্থাৎ মানুষের বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা গ্রহণের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। গ্রামের মানুষের আর্থিক সামর্থ্য বাড়ছে। ২০১৪ সালের পর থেকে আমাদের সরকার গ্রামকে নজরে রেখে পরিকাঠামো তৈরি করেছে। গ্রাম ও শহরের মধ্যে সংযোগ তৈরি করা হয়েছে। মহিলাদের আয় বাড়ানো হয়েছে। ভারতে প্রথমবার খাবারের উপরে খরচ ৫০শতাংশের কম হয়েছে।
আমাদের বিশ্বের নেতৃত্ব দিতে হবে। প্রতিদিন দেশে হওয়া উন্নয়নরকাজ এই শক্তি জোগাচ্ছেে। ভারতে প্রতিদিন ২টো কলেজ খুলেছে। প্রতি সপ্তাহে একটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে। প্রতিদিন ৫৫ পেটেন্ট, ৬০০ ট্রেডবার রেজিস্টার করা হয়েছে। প্রতিদিন দেড় লক্ষ মুদ্রা লোন দেওয়া হয়েছে, ৩৭টি নতুন স্টার্টআপ শুরু হয়েছে। ভারতে প্রতিদিন ১৪ কিমি রেলওয়ে ট্রাক তৈরি করা হচ্ছে, ৫০ হাজার এলপিজি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রতি সেকেন্ডে একটি বাড়িতে জলের লাইনের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ৭৫ হাজার মানুষকে গরিবি থেকে বের করে আনা হয়েছে।
ভারত আজ যে মাত্রায় কাজ করছে, তা অভাবনীয়। আমি এক সপ্তাহের কাজের খতিয়ান দিই। ২০ ফেব্রুয়ারি জম্মু থেকে একাধিক আইআইটি, আইআইএমের শিলান্যাস করেছি। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজকোট থেকে একসঙ্গে ৫টি এইমসের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেছি। আজ সকালে দেশের ২৭ রাজ্যে ৫০০ রেলস্টেশনের সংস্কারের শিলান্যাস করেছি। দেশে ১৫০০ অভারব্রিজের কাজ হবে। এখানে আসার আগেও আগামী দুই দিনের কর্মসূচি জানিয়েছি। আগামিকাল সকালেই আমি কেরল, তামিলনাডু ও মহারাষ্ট্রে যাব। ওখানে এমএসএমই, স্পেসের কর্মসূচি আছে। কৃষকদের জন্য কর্মসূচি রয়েছে।
আমাদের সরকারের কাজের উদাহরণ দিই এবার। মুম্বইয়ের অটল সেতু, দেশের সবথেকে বড় সি-ব্রিজ। ২০১৬ সালে এই সেতুর শিলান্যাস হয়েছিল, কয়েক সপ্তাহ আগেই আমরা তার উদ্বোধন করেছি। নতুন সংসদ ভবনের শিল্যানাস ২০২০-তে করেছিলাম, গত বছরই এর উদ্বোধন করেছি। জম্মু এইমসের শিল্যানাস ২০১৯ সালে হয়েছিল, গত সপ্তাহে এর উদ্বোধন করেছি। এইমস রাজকোটের উদ্বোধন গতকাল করেছি। এইমস সম্বলপুরের শিলান্যাস ২০২১ সালে হয়েছিল, ২০২৪ সালে উদ্বোধন হয়ে গেল। ত্রীচি বিমানবন্দর, গোয়া বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেছি। লাক্ষাদ্বীপে সমুদ্রের নীচে অপটিক্যাল ফাইবার বসানো অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করা হত। ২০২০ সালে এই কাজ শুরু করে, কিছু সপ্তাহ আগে কাজও শেষ করেছি। কালই আপনারা দ্বারকায় সুদর্শন সেতু দেখেছেন। বিশ্বের সবথেকে দীর্ঘতম কেবল সেতু এটা। এই ব্রিজও ২০১৭ সালে শুরু করে, এর মধ্যে কাজ শেষ করেছি। যখন ইচ্ছাশক্তি থাকে, করদাতাদের সম্মান করা হয়, তখন দেশ এগিয়ে যায়।
প্রতি মাসে আমি প্রত্যেকটা ফাইল নিয়ে বসি। সব তথ্য খতিয়ে দেখি, কোন প্রকল্প আটকে রয়েছে, তা খুটিয়ে দেখি। আমার সামনে ভিডিয়ো কনফারেন্সে প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যসচিব ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিরা থাকেন। প্রত্যেকটা বিষয়ের বিশ্লেষণ হয়। আমি গত ১০ বছরে ১৭ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের সমীক্ষা করেছি। তারপরে এই প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ হয়েছে। আপনারাই বলুন, আগের সরকারের গতিতে যদি কাজ হত, দেশ কীভাবে বিগ লিপ নিত?
আগে দেশ কীভাবে রিভার্স গিয়ারে চলছিল, তার উদাহরণ দিই। ১৯৮০ দশকে উত্তর প্রদেশে সরযূ নগরর সূচনা করা হয়েছিল। এই পরিকল্পনা চার দশক আটকে ছিল। ২০১৪ সালে আমরা সরকার গঠনের পর দ্রুত কাজ করেছি। সর্দার সরোবর যোজনা পন্ডিত নেহরু ৬০-র দশকে করেছিলেন। ৬০ বছর ওই প্রকল্প এভাবেই আটকে ছিল। আমরা ক্ষমতায় এসে ২০১৭ সালে এই ড্যামের কাজ শেষ করে ফেলি। মহারাষ্ট্রেও কৃষ্ণা ড্যাম ৮০-র দশকে শুরু হয়েছিল। আমরা সেই কাজ শেষ করেছি। অটল টানেলের শিলান্যাস ২০০২ সালে হয়েছিল। ২০১৪ সাল অবধি এই টানেল অসম্পূর্ণই ছিল। এই টানেলও আমরা শেষ করেছি। ২০২২ সালে উদ্বোধন করেছি। ইস্টান ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর ২০০৮ সালে তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ১৫ বছর পর, ২০২৩-এ আমরা সেই কাজ শেষ করেছি। আমি এমন ৫০০টি উদাহরণ দিতে পারি।
এই পরিবর্তনের কারণ হল আমাদের কর্ম সংস্কৃতিতে পরিবর্তন। অফিস, ফাইল, কর্মী একই রয়েছে। সরকারি দফতর আজ দেশবাসীর সমস্যা নয়, সমাধান হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে যে গিয়ারে ভারত চলছিল, তা বদলানো দরকার ছিল।
অনেকেই এখানে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন। ২০১৪ সালে ৯ লক্ষ কোটি বিনিয়োগ করেছিলেন। আজ ৫২ লক্ষ কোটি টাকা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন। এর কারণ সকলের বিশ্বাস রয়েছে যে দেশ এগোচ্ছে। এই বিশ্বাস তাদের নিজেদের উপরেও রয়েছে। সকল ভারতীয়রা ভাবছেন, আজ আমি সব কিছু করতে পারি। আমার জন্য কিছু অসম্ভব নয়। টিভি৯-র দর্শকরাও জানেন, যেখানে অনেকের কল্পনা আটকে যায়, তার থেকেও ভাল পারফর্ম করেছি আমরা।
১০ বছরের এফডিআই দেখুন। গত সরকারের আমলে ১০ বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের এফডিআই এসেছিল। আমাদের সরকারের ১০ বছরে ৬৪০ বিলিয়ন ডলারের এফডিআই এসেছে। ১০ বছরে ডিজিটাল ক্রান্তি এসেছে। ভ্যাকসিনে বিপ্লব এসেছে। করোনাকালে করদাতার পরিমাণ দেখে বোঝা গিয়েছে, ভারতের জনগণের সরকারের উপরে ভরসা বাড়ছে।
আজ দুনিয়া অবাক ভারতকে দেখে। গোটা বিশ্ব ভারতের সঙ্গে চলায় নিজের সুবিধা দেখছে। সবাই ভাবছে, ভারত এটাও করে ফেলল? এটাই বিশ্বের নিউ নর্মাল।
মানসিকতায় পরিবর্তন কামাল করেছে। একবিংশ শতাব্দীর ভারত ছোট চিন্তাভাবনা ছেড়ে দিয়েছে। আজ আমরা বেস্ট ও বিগেস্ট কাজ করি।
এই জন্য দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করেছিলেন যে দেশ এভাবেই চলবে। এর উপরে দুর্নীতি, ভুল নীতি, পরিবারবাদ ছিল। এরা দেশের ভিত নষ্ট করে দিয়েছিল। গত ১০ বছরে আমরা দেশকে সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বের করে এনেছি। মাত্র ১০ বছরেই ভারত বিশ্বের সেরা পাঁচ অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। আজ নীতিও আগে তৈরি হয়, নির্ণয়ও দ্রুত নেওয়া হয়।
অনেকে এসেছে, চলে গেছে, দেশ অমর রয়েছে। হেরে যাওয়া মানসিকতা নিয়ে জয় অর্জন কঠিন। এই কারণে গত ১০ বছরে মানসিকতায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে যারা সরকার চালিয়েছিল, তাদের ভারতীয়তার উপরই বিশ্বাস ছিল না। তখন লালকেল্লা থেকে বলা হত, আমরা ভারতীয়রা নিরাশাবাদী। পরাজয়বাদী। লালকেল্লা থেকেই ভারতীয়দের অলস বলা হয়েছিল। যখন দেশের নেতৃত্বই নিরাশাবাদী, তখন দেশে কীভাবে আশার সঞ্চার হত?
আজ টিভি৯-র টিম খুবই আকর্ষণীয় বিষয় বেছেছে। ইন্ডিয়া পয়েজড ফর দ্য নেক্সট বিগ লিপ। বড় পদক্ষেপ আমরা তখনই নিতে পারি যখন আমাদের মধ্যে উৎসাহ ভরপুর থাকে। এই থিমই বোঝাচ্ছে আজ ভারতের আত্মবিশ্বাস কোন উচ্চতায় পৌছেছে। আজ যদি বিশ্ব মনে করে ভারত পরবর্তী পদক্ষেপ করার জন্য প্রস্তুত, তার জন্য বিগত ১০ বছরের লঞ্চপ্যাড রয়েছে।
পুরনো যুগে যুদ্ধে যাওয়ার আগে বিউগল বাজানো হত, যাতে যুদ্ধে অনুপ্রেরণা পায়। টিভি৯-র সকল দর্শককে নমস্কার। আমি অনেক সময়ই ভারতের বৈচিত্র নিয়ে কথা বলি। টিভি৯-র নিউজরুম, রিপোর্টিংয়ে এই বৈচিত্র্য দেখা যায়। আপনারা ভারতের বৈচিত্র্যের প্রতিনিধি। বিভিন্ন রাজ্যে টিভি৯-র সঙ্গে যুক্ত সকলকে অভিনন্দন জানাই।
আমার তিন মোদী মন্ত্র হল- ক্ষমতায় ফেরা, দিবিতীয়- মোদী মাল্টিপ্লেয়ার, তৃতীয় সিটিজেন ডিএনএ রিসেট।
টিভি৯ নেটওয়ার্কের এমডি-সিইও বরুণ দাস প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এবারের থিম ইন্ডিয়া পয়েজড ফর নেক্সট বিগ লিপ। আমাদের সৌভাগ্য, যে ব্যক্তি ১৪০ কোটি ভারতীয়কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তিনি আমাদের মধ্যে সামিল।
In a short while from now, at around 8 PM, will be addressing the #News9GlobalSummit. My address will focus on the theme, ‘India: Poised for the Next Big Leap.’ Do watch…
— Narendra Modi (@narendramodi) February 26, 2024
মলদ্বীপ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, গোটা দুনিয়া সবসময় কৃতজ্ঞতা ও দয়ায় চলে না। অনেক সময় মনে হয়, কূটনীতিই সমস্যার সমাধান করতে পারে। মলদ্বীপে আমাদের ২টো হেলিকপ্টার রয়েছে, মেডিক্যাল পরিষেবার জন্য এটা ব্যবহার হয়। এতে কারা উপকৃত হয়? মলদ্বীপই। ওদেরই এই বিমান চালানোর কথা। আমরা বললাম, ঠিক আছে, আলোচনায় বসুন, সমস্যার সমাধান করা হবে। অনেক সময় উদ্দেশ্য ভাল হলেও, সমস্যা তৈরি হয়।
সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকের সময় আমি বিমানে ছিলাম, যখন জানতে পারি যে রাশিয়া আক্রমণ করেছে। প্রাথমিক স্তর থেকে যখন যুদ্ধের পর্যায়ে পৌঁছয়, তখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। তখন অন্য দেশ কী বলছে, সমস্যা কোথায়-বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করতে হয়। রাশিয়ার সাপ্লাই কমিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। আমাদের কাছে অতিরিক্ত আশা করা হচ্ছিল।
গ্লোবাল সাউথ অনেক বড়। নিজের ভাল বোঝাটা কোনও খারাপ নয়। আমাদের ঘাড়ে ঋণের বোঝা না থাকলেও, অন্য দেশ যাদের ঘাড়ে এই বোঝা রয়েছে, তাদের জন্য কিছু করা উচিত বলেই মনে করি আমরা।
জি-২০ র সময় একাধিক প্রধানমন্ত্রীকেই বলতে শুনেছি যে আমাদের সমস্যার কথা বলুন। প্রধানমন্ত্রী মোদী সকলকে একজোট করে , সকলের সমস্যা শিুনেছেন। জি-২০ তে শুধুমাত্র আমরা বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে বলিনি, ১২৫টি দেশের হয়ে বলেছি।
বিগত কয়েক বছরে একাধিক ধাক্কা সামলাতে হয়েছে। কোভিড সরকারের পরিকাঠামোয় ক্ষতি করেছে। বিশ্ব অর্থনীতির ওঠানামা, বাণিজ্যে বাধা সৃষ্টি হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি, মধ্য প্রাচ্যের সমস্যার মতো নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ত হয়েছে।
রাজনীতিতে কী অংশ নেবেন কঙ্গনা? এই প্রশ্নের উত্তরে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী বলেন, এটা ঘোষণা করার জায়গা নয়। যে কেউ দেশের উন্নয়নের জন্য রাজনীতিতে অংশ নিতে পারেন। আমি সিনেমার সেট থেকেও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লড়েছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি দেশের জন্য কিছু করতে চাই। আমার মতে, রাজনীতিতে প্রবেশের এটাই সঠিক সময়।
শিল্পী হিসাবে আমি নিজের সীমানা পার করতে চাই, কতটা পারফেক্ট কাজ করতে পারি, তা দেখতে চাই আমি। একইসঙ্গে পরিবর্তনেরও অংশ হতে চাই আমি।
বিনোদন মাধ্যমের পরিবর্তন নিয়ে কথা বলছেন কঙ্গনা রানাউত। তিনি বলেন, “আজকের দিনে দাঁড়িয়ে নাটকের মঞ্চে কুইন সফল হওয়ার কথা কল্পনাই করা যায় না। বড় বড় ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলিও আজ ক্ষতির মুখে পড়ছে। থিয়েটার ব্যবসা ভেন্টিলেটরে চলে গিয়েছে। আমার বাবা আগে টিভি, সিনেমা দেখতেন, এখন ইউটিউব দেখেন। “
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ দেশের বৃহত্তম নিউজ নেটওয়ার্ক TV9-এর বার্ষিক অনুষ্ঠান “হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে” গ্লোবাল সামিট-এ গ্লোবাল ন্যারেটিভ নিয়ে কথা বলেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন যে যখন জার্মানি চিনে বিনিয়োগ করে বা ইউরোপ রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনে, কিন্তু ভারত যখন রাশিয়ার কাছাকাছি আসে, তখন কীভাবে কোনও দেশের আখ্যান বিশ্বব্যাপী সেট করা শুরু হয়। এ বিষয়ে খুরশিদ বলেন, অধিকাংশ সম্পর্কই রাজনীতি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়, তবে এর মানে এই নয় যে এটি ভুল। এটি একটি ভাল জিনিস।
“দ্য রেকর্ড স্ট্রেইট: কারেক্টিং দ্য ইন্ডিয়া ন্যারেটিভ” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ বলেন, “যদি স্বাধীন সমাজ হয়, তবে সেখানে সকলকে স্থান দেওয়া উচিত। এটা নিয়ে ভারত গর্বিত।”
সুগার কসমেটিক্সের সিইও বিনীতা সিং মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে শীর্ষস্থান দখল করতে না পারার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “প্রতিষ্ঠানগুলি মহিলাদের কর্মক্ষমতা প্রচার করতে জানে না”। মহিলা উদ্যোগপতিদের উদ্দেশে বলেন, “এটাই সঠিক সময় ও সঠিক জায়গা, নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার।”
নিউজ৯ গ্লোবাল সামিটে সুগার কসমেটিক্সের সিইও তথা সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিনীতা সিং বললেন, “নয়া উদ্যোগপতিদের প্রথম ও সবথেকে বড় দায়িত্বই হল টিকে থাকা। তহবিল পাওয়ার পরও ৯০ শতাংশ স্টার্টআপ ব্যর্থ হয়। এই জন্য স্টার্টআপের প্রথম দুই বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
আমি আমার অভিনয় জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট। TV9-এর মঞ্চে উপস্থিত হয়ে বললেন অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা। তিনি বলেন, আগামিদিনেও একজন সাধারণ মানুষের চরিত্রে অভিনয় করে যাব।
ভারত হয়ে উঠছে সেমিকনডাকটার ক্যাপিটাল অব দ্য ওয়ার্ল্ড। কেউ আটকাতে পারবে না। WITT-র মঞ্চে এমনটাই বললেন অশ্বিনী বৈষ্ণব।
১০ বছর আগে নাক বন্ধ করে রেল স্টেশনে যেতে হত। এখন সব পরিস্কার। বিশ্বের সবথেকে বড় স্টেশন রি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম শুরু করেছে ভারত। কোনও দেশ এটা করেনি: অশ্বিনী বৈষ্ণব।
হোয়াটস ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে-র মঞ্চে বক্তব্য পেশ করছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
স্টার্ট আপ নিয়ে আলোচনা করলেন বিশিষ্ট অতিথিরা। TV9 নেটওয়ার্কের কনক্লেভে এদিন এই বিষয়ে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন 108 Capital-এর প্রতিষ্ঠাতা সুষমা কৌশিক, মামাআর্থের কো ফাউন্ডার গজল আলগ, নো ব্রোকারের প্রতিষ্ঠাতা অখিল গুপ্তা ও আমুলের এমডি জয়েন মেহতা।
TV9 কনক্লেভের মঞ্চে ভারত পে-র চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন এসবিআই চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার। ব্যাঙ্কিং-এর ক্ষেত্রে কী কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেছেন তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন, টাইপরাইটার দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি আর আজ মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের যুগ এসেছে। সেই পরিবর্তনের কথা বলেন তিনি। রজনীশ কুমার আরও বলেন, ২০১৪ সালের অগস্টে ‘জন ধন যোজনা’ চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কিং সেক্টরে বড় পরিবর্তন হয়েছিল।
মন্ত্রী বললেন, ‘সন্দেশখালিতে যা হয়েছে তা যে কোনও মানুষের চিন্তার বাইরে।’ তাঁর দাবি, এক সময় বাংলায় বিজেপিকে আক্রান্ত হতে হত আর এখন শাসক দলে সমর্থকেরাই আক্রান্ত হচ্ছেন। ভোট পরবর্তী হিংসার কথাও এদিন উল্লেখ করেন তিনি।
আর কী বললেন, একনজরে…
‘যে মহিলারা মমতাকে সমর্থন করেছেন, তাঁদেরকেই…’, সন্দেশখালি নিয়ে মুখ খুললেন স্মৃতি ইরানি
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি উল্লেখ করেন, অর্থনীতিতে নারীদের সমান অংশীদার হিসেবে দেখেন মোদী, মহিলাদের সমস্যাকে আলাদা করে দেখেন না। মহিলাদের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা সহ বিভিন্ন বিষয়ে কীভাবে প্রধানমন্ত্রী নজর দিয়েছেন, সে কথাও উল্লেখ করেছেন স্মৃতি ইরানি।
সম্প্রতি মদিনায় গিয়েছিলেন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। কনক্লেভের আলোচনায় ছিল তাঁর এই সফরের প্রসঙ্গ। এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নে স্মৃতি ইরানি বলেন, আমার মদিনা সফর আসলে প্রমাণ করে ইসলামিক দেশগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর গ্রহণযোগ্যতা কতটা।
ভারতের বিকাশে নারী শক্তির ভূমিকা কী, কেন্দ্রীয় সরকার মহিলাদের কথা ভেবে কী পদক্ষেপ করেছেন, এ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
এআই নিয়ে আলোচনায় উপস্থিত হয়েছেন স্যামসাং রিসার্চের এআই ভিশন ডিরেক্টর অশোক শুক্লা, এআই বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অনুরাগ মারিয়েল, রিলায়েন্স জিও-র চিফ ডেটা সায়েন্টিস্ট শৈলেশ কুমার, মাইক্রোসফ্ট ইন্ডিয়া-র ইডি শমিক রায় এবং মার্জ সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ব্রনফম্যান।
ভারতীয় কূটনীতিক সৈয়দ আকবরুদ্দিন বলেন, ‘১০ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। বিদেশনীতি সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারনা ছিল না। অথচ তিনি আজ নিজেকে বিশ্বনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি ঝুঁকি নিয়েছেন।’ যুদ্ধ হলে তাঁর সমাধান কোথায়, সেটাও মোদী জানেন বলে মন্তব্য করেছেন আকবরুদ্দিন।
সম্প্রতি ভারত সম্পর্কে মলদ্বীপ সরকারের কিছু মন্তব্যে বিতর্ক বাড়ে। সেই প্রসঙ্গে TV9 নেটওয়ার্কের কনক্লেভে কথা বললেন মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমেদ মারিয়া দিদি। তিনি বলেন, “আমরা সবসময় ভাল সম্পর্ক রেখে চলেছি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে। আমরা চাই না, আমাদের এলাকায় প্রক্সি ওয়ার হোক।”
বিশ্বে শান্তি বজায় রাখতে ভারতের কী ভূমিকা, তা নিয়ে নিয়ে আলোচনায় অশ নিয়েছেন ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ভেলিনা চাকারোভা, মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারিয়া আহমেদ দিদি, রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রাক্তন দূত সৈয়দ আকবরউদ্দিন।
সোমবার সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত থাকছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট, মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারিয়া আহমেদ দিদি, ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত নাওর গিলন প্রমুখ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অতিথিরা যোগ দিয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেককে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন বরুণ দাস। সেই সঙ্গে সম্মেলনের থিম সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন তিনি।
কী বললেন তিনি…
‘তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হওয়ার পথে এগোচ্ছে ভারত’, বললেন TV9 নেটওয়ার্কের MD-CEO বরুণ দাস
TV9 নেটওয়ার্কের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট। তিনি বলেন, “মোদী একজন সাধারণ নেতা নন। মোদীর অ্যাজেন্ডা সাধারণ মানুষের জীবনকে স্পর্শ করেছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। তিনি ভারতকে শক্তিশালী করেছেন। তাঁর নেতৃত্ব সারা বিশ্বে প্রশংসিত।”
কনক্লেভের মঞ্চে চিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন টনি অ্যাবট। তিনি বলেন, চিন “কোনও যুদ্ধ ছাড়াই জিততে চাইছে। এটা বিশ্বের পরিস্থিতির জন্য ভাল নয়।”
‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বক্তব্য রাখছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট। ভারতকে ‘আঞ্চলিক সুপার পাওয়ার’ হিসেবে উল্লেখ করলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘মোদী একজন প্রকৃত দেশভক্ত।’
সম্মেলনের থিম সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে TV9 নেটওয়ার্কের MD-CEO বরুণ দাস বলেন, “একদিকে বিশ্বশান্তির ক্ষেত্রে রয়েছে ভারতের ভূমিকা। অন্যদিকে, আইএমএফ ভারতকে বিশ্ব অর্থনীতির মানচিত্রে উজ্জ্বল ক্ষেত্র বলে চিহ্নিত করেছে। তবে বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ হিসেবে ভারতের নিজস্ব কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।”
দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিশিষ্ট অতিথিদের স্বাগত জানালেন TV9 নেটওয়ার্কের MD-CEO বরুণ দাস। তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করলেন এই সম্মেলনের থিমের কথা। তিনি জানালেন ভারতের অগ্রগতি, বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে সম্মেলনেন আলোচনা করবেন দেশ-বিদেশের অতিথিরা।
কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হচ্ছে হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে কনক্লেভের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান। শুরুতেই বক্তব্য রাখবেন TV9 নেটওয়ার্কের এমডি-সিইও বরুণ দাস।
আর মাত্র কয়েক মিনিটের অপেক্ষা। তার পরই শুরু হবে হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে-র দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
TV9 নেটওয়ার্কের “হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে” কনক্লেভে নক্ষত্র সম্মান পেলেন আল্লু অর্জুন।
বলিউডে স্বজনপ্রীতি ও নেপোটিজমের প্রশ্নে রবিনা টন্ডন বলেন, “আপনি যদি নেপো কিড-দের কথা বলেন, তাহলে আমাদের অর্ধেক ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হয়ে যাবে।” রবিনা তাঁর ফিল্ম কেরিয়ারের শুরুর গল্পও শোনান। তিনি বলেন, “আমি প্রহ্লাদ কক্করকে অ্যাসিস্ট করছিলাম, সবাই আমাকে বলছিল যে তুমি পর্দার সামনে আসো, পর্দার আড়ালে নয়। একদিন আমাকে সলমন খানের সঙ্গে একটি ছবির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, আমি আমার বন্ধুদের জিজ্ঞেস করলাম এবং তাঁরা আমায় বলেছিল যে আমি যেন না করি, কারণ ওরা সলমন খানের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল…সুতরাং এভাবেই আমার চলচ্চিত্র কেরিয়ার শুরু হয়েছিল।”
বলিউড অভিনেত্রী রবিনা টন্ডন বলেন, “প্রতিটি সন্তানের লালনপালনে মায়ের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি থাকে, আমার লালন-পালনেও আমার মা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তবে তিনি কম কথা বলেন… আমার মা ১৫ বছর বয়সে বিরজু মহারাজের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে কত্থক করেছেন, তার ভিতরে সবসময় একজন শিল্পী আছেন এবং কোথাও না কোথাও আমাদের রক্তেও একই কথা রয়েছে। তবে আমি বলব, আমার সাফল্য বাবার পাশাপাশি মায়ের ভূমিকাও রয়েছে।”
জি২০ হল সফট এবং হার্ড পাওয়ারের মিশ্রণ। বললেন নীতি আয়োগের প্রাক্তন সিইও অমিতাভ কান্ত। ভারত যে সমস্ত দেশের সঙ্গে কাজ করতে পারে এবং ঐকমত আনতে পারে, সেই ক্ষমতা জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে দেখিয়ে দিয়েছে ভারত।
নক্ষত্র সম্মান পেলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের প্যারালিম্পিক ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আমির লোন এবং তরুণ ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় আনমোল খারব।
জাতীয় ব্যাডমিন্টন কোচ পুল্লেলা গোপীচাঁদ বললেন, বহু ক্রীড়াবিদ আছেন, যাঁরা হয়ত জীবনে খুব বড় কিছু করতে পারেন না। কিন্তু, তাঁদেরও নিরাপদ জীবন পাওয়া উচিত। পেশাদারদেরই হাতেই খেলাধূলা পরিচালিত হওয়া উচিত।
রাজ্য সরকার যদি সাহায্য করে, ৩৬ টি রাজ্যের মধ্যে ২০টি রাজ্যও যদি ভাল কাজ করে, তবে ২০৩৬ সালের মধ্য়ে বিশ্বের সেরা ১০ এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে বিশ্বের সেরা ৫ পদকজয়ী দেশ হয়ে উঠবে।
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “সরকার আজ খেলো ইন্ডিয়া সহ বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নিয়েছে যেখানে খেলোয়াড়দের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং আমরা তার ফলাফলও দেখছি। এই প্রথম ভারত এশিয়ান গেমসে ১০০টির বেশি পদক জিতেছে। আজকের ভারত তার নিজের লক্ষ্যে কাজ করছে এবং তার ফলাফলও পাচ্ছে, আগে খেলোয়াড়রা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হত, কিন্তু আজ খেলো ইন্ডিয়া, টপস স্কিমের অধীনে, সরকার খেলোয়াড়দের সম্পূর্ণ খরচ বহন করে।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন “বিজেপির স্লোগান ‘আব কি বার, ৪০০ পার’। শূন্য যখন শূন্যের সঙ্গে জোড়ে, তখন তার ফল শূন্যই হয়। আজ রাহুল গান্ধী এবং সনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, ইডি অরবিন্দ কেজরীবালকে সাতবার সমন পাঠিয়েছে, উনি (কেজরীবাল) নিজেকে সততার সার্টিফিকেট দিয়েছেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত একবারও হাজিরা দেননি… আমরা দুর্নীতিমুক্ত সরকার চালাচ্ছি… এই লোকেরা ৭০ বছর ধরে দুর্নীতি করেছে, এর অবসান হওয়া দরকার সময় লাগবে।”
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “মিডিয়া খেলোয়াড়দের এমন স্বীকৃতি দিতে পারে, যা অর্থের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। আমি ক্রিকেট ছাড়তে চাইনি, কিন্তু পারিবারিক পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে আমাকে খেলা ছেড়ে দিতে হয়। আমি ২৫ বছর বয়সে হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হয়েছিলাম এবং ২৬ বছর বয়সে আমরা ধর্মশালায় একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করি। তারপরে আমার সামনে রাজনীতির দরজা খুলে যায়। ওই স্টেডিয়ামটি তৈরি না হলে, সম্ভবত আমি চারবারের লোকসভা সাংসদ হতে পারতাম না।”
ভারতের সামনে প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আমরা যদি দেশ হিসাবে বিজয়ীদের প্রস্তুত করি, তবে আমরা বিশ্বশক্তি হিসাবে উঠে আসব। ক্রীড়া, বিনোদনে প্রচুর সুযোগ রয়েছে আমাদের সামনে। বাণিজ্যেও বিপুল উন্নতির সুযোগ রয়েছে।
আজ আমরা আলোচনা করব ভারতের সফট পাওয়ার হয়ে ওঠা নিয়ে। কী এই সফট পাওয়ার। জোসেফ নাইর বলেছেন, এটি হল একটি দেশের বৈশিষ্ট্য অন্য দেশকে আকর্ষণ করার। যেমন আমেরিকান ড্রিম বিক্রি হয় হলিউডের মাধ্যমে, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা পরিচিত ফুটবলের মাধ্যমে, ভারতও পরিচিত যোগাসন, বেদ ও আর্যুবেদ। সম্প্রতিই তা অসাধারণ সিনেমার মাধ্যমে পরিচিতি অর্জন করেছে। গোটা বিশ্ব নাটু নাটুতে নেচে উঠেছে। ক্রীড়াজগতেও ভারত বিশেষ নাম অর্জন করেছে।
টিভি৯ নেটওয়ার্কের সিইও তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর বরুণ দাস বলেন, সকলকে স্বাগত। ভারতের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। আগামিকাল বক্তব্য রাখবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শুরু হচ্ছে টিভি৯ নেটওয়ার্কের কনক্লেভ হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে। অনুষ্ঠানের থিম ‘ইন্ডিয়া: পয়েজ় ফর দ্য নেক্সট বিগ লিপ’ ।
অপেক্ষার অবসান। শুরু হচ্ছে TV9 নেটওয়ার্কের সবথেকে বড় কনক্লেভ হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে। উপস্থিত রয়েছেন সমস্ত গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টু়ডে কনক্লেভের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই বক্তব্য রাখবেন TV9 নেটওয়ার্কর CEO তথা MD বরুণ দাস।
দেশের বৃহত্তম নিউজ নেটওয়ার্ক আয়োজন করেছে হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে কনক্লেভের। বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে শুরু হবে কনক্লেভ।