Vijay Mallya-Nirav Modi: ‘সুখের দিন’ শেষ! পলাতকদের ‘দেশে ফেরাতে’ তোড়জোড়, তিহাড় ঘুরে গেল ব্রিটেনের প্রতিনিধি দল
Vijay Mallya-Nirav Modi Extradition: আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত, দেশছাড়া বিজয় মালেয়া, নীরব মোদীদের প্রত্যর্পণের। অবশ্য, আর্থিক এবং ফৌজদারি অভিযোগে পলাতক অভিযুক্তদের ভারতে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অনেক দিন ধরেই ইংল্য়ান্ডের সরকারের সঙ্গে কথা বার্তা চলছে নয়াদিল্লির। আর সেই আবহে পরিদর্শনের কাজে বিদেশ থেকে এল প্রতিনিধি দল।

নয়াদিল্লি: ব্রিটেন থেকে এল ক্রাউন প্রসেকিউশন সার্ভিসের প্রতিনিধি দল। দেখে গেল তিহাড় জেলের দশা। জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্র দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই জুলাই মাসে ব্রিটেন থেকে সিপিসি-র এই দল এসে ঘুরে গিয়েছে। তিহাড় জেল ও তার সেলগুলির কী অবস্থা তাও তাঁরা দেখে গিয়েছে। কিন্তু বিদেশি তদন্তকারী দলের ভারতের হঠাৎ আগমনের কারণ কী? তিহাড় জেলে কি কোনও বিদেশি বন্দিকে রাখতে চলেছেন তারা?
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদেশি বন্দি নয়, পলাতক বন্দিকে ঘরে ফেরাতেই এই উদ্যোগ। সম্প্রতি, আমেরিকা থেকে ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রী তাহাউর রানাকে নয়াদিল্লি টেনে নিয়ে আসতেই গুঞ্জন ছড়ায় আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত, দেশছাড়া বিজয় মালেয়া, নীরব মোদীদের প্রত্যর্পণের। অবশ্য, আর্থিক এবং ফৌজদারি অভিযোগে পলাতক অভিযুক্তদের ভারতে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অনেক দিন ধরেই ইংল্য়ান্ডের সরকারের সঙ্গে কথা বার্তা চলছে নয়াদিল্লির। আর সেই আবহে পরিদর্শনের কাজে বিদেশ থেকে এল প্রতিনিধি দল।
জানা গিয়েছে, দু’জন সিপিসি তদন্তকারী এবং দু’জন ব্রিটিশ হাই কমিশনের আধিকারিক গত জুলাই মাসে তিহাড় জেলে যান। সেখানে সেলগুলির কী দশা, কতটা নিরাপত্তা রয়েছে, তা পরিদর্শন করে দেখেন তারা। জেলের উচ্চ-নিরাপত্তা সেলগুলিও পর্যবেক্ষণ করেছে। কথা বলেছে বন্দিদের সঙ্গেও।
সূত্রের খবর, ব্রিটেনের ওই দল জেলের ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট। তিহাড় জেল সমস্ত আন্তর্জাতিক মাপকাঠি মেনে কাজ করছে বলেও দাবি করেন পরিদর্শকরা। পাশাপাশি, নয়াদিল্লি তাদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছে যে পলাতক অভিযুক্তদের প্রত্যর্পণের জন্য যদি বিশেষ কোনও ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়, তাও তারা করতে রাজি রয়েছে। তাদের নিরাপত্তায় কোনও রকম ত্রুটি থাকবে না বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে ব্রিটিশ প্রতিনিধিদের। সম্প্রতি, ব্রিটেনের আদালত অভিযুক্ত সঞ্জয় ভান্ডারিকে ভারতে প্রত্যর্পণের জন্য অনুমতি দিয়েছে। আর তারপরেই অভিযুক্ত প্রত্যর্পণের বিরোধীতা করে আদালতকে জানিয়েছে, তিহাড় জেলে তাকে রাখা হলে, তিনি নাকি খুন পর্যন্ত হয়ে যেতে পারেন। এরপরেই তিহাড় জেলের হাল পরিদর্শনে ভারতে আসেন ব্রিটিশ প্রতিনিধিরা।
