কলকাতা ও নয়া দিল্লি : ‘মহামারী এখনও শেষ হয়নি। আমাদের সতর্ক হতে হবে।’ শনিবার পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্বাঞ্চলের পাঁচ রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য (Union Health Minister Mansukh Mandaviya)। শনিবার কোভিড-১৯ (COVID 19)-এর জন্য জনস্বাস্থ্য প্রস্তুতি এবং করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়ার অগ্রগতি প্রসঙ্গে পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বৈঠকে বসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তীসগঢ়ের সঙ্গে। বৈঠকে উপস্থিত ছিল সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এবং তথ্য কমিশনাররা। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে যৌথ প্রচেষ্টা এবং যৌথ দায়িত্ব নিতে পরামর্শ দেন মনসুখ মান্ডব্য। একইসঙ্গে রাজ্যগুলিকে ইসিআরপি-২ তহবিলকে সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজ্যগুলিতে কিশোর কিশোরীদের করোনা টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় আরও গতি আনা, করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর কথা বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে চিকিৎসা পরিকাঠামোকে আরও উন্নত করতে টেলি-মেডিসিন পরিষেবার উপর আরও জোর দিতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রের তরফে বৈঠকে মনসুখ মান্ডব্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী চিকিৎসক ভারতী প্রবীণ পাওয়ার এবং কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান চিকিৎসক ভি কে পল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজ্যগুলিকে তাদের প্রতিদিনের ভিত্তিতে করোনা আক্রান্তদের পজিটিভিটি রেটের উপর নজর রাখার জন্য বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, শনিবার যে রাজ্যগুলি বৈঠকে উপস্থিত ছিল, তাদের মধ্যে বেশিরভাগেই আরটিপিসিআর পরীক্ষার হার কিছুটা কম রয়েছে। সেই কারণ, পরীক্ষার হার আরও নমুনা পরীক্ষা বাড়াতে বলা হয়েছে হয়েছিল।
সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বৈঠকে থাকা বেশিরভাগ রাজ্যগুলিতে অ্যাক্টিভ কেস এবং পজিটিভিটি রেট গত দুই সপ্তাহে হ্রাস পেয়েছে। তবুও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং আমাদের গার্ডকে নামানো উচিত হবে না।” এর পাশাপাশি রাজ্যগুলিকে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা এবং একইসঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যার উপর নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কেস, মৃত্যু এবং ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেন সাপোর্টে থাকা ব্যক্তিদের টিকা ও টিকাবিহীনের অনুপাত রাজ্য স্তরে বিশ্লেষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।”
মনসুখ মান্ডব্য আরও বলেন, কোভিডের যে ভ্যারিয়েন্টই হোক ‘টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট-টিকা এবং কোভিডবিধি মেনে চলা’ – এটি একেবারে পরীক্ষিত কৌশল হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে বর্তমান স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য এবং প্রয়োজন অনুসারে নতুন তৈরি করার জন্য ইসিআরপি-২ তহবিলগুলি সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার করার জন্য তিনি সব রাজ্যকে ফের একবার স্মরণ করিয়ে দেন। উল্লেখ্য ইসিআরপি-২ তহবিল ২০২২ সালের ৩১ মার্চ শেষ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন : Joy Banerjee: ‘তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে আবেদন করেছিলাম, গোয়ার ভোট মিটলে যোগদান’, দাবি বিজেপিত্যাগী জয়ের