AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Amit Shah: ‘অনুপ্রবেশকারীরা মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে…’, বিস্ফোরক দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

Jharkhand Assembly Election: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, "হেমন্ত সোরেনের সরকারের হাতে ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীরা সুরক্ষিত নয়। সাঁওতাল পরগণায় আদিবাসীদের জনসংখ্যা ক্রমশ কমছে। অনুপ্রবেশকারীরা এখানে আসছে এবং স্থানীয় মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করছে, জমি দখল করে নিচ্ছে।"

Amit Shah: 'অনুপ্রবেশকারীরা মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে...', বিস্ফোরক দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।Image Credit: PTI
| Updated on: Nov 03, 2024 | 12:58 PM
Share

রাঁচী: মাটি, বেটি ও রুটি বাঁচানোর প্রতিশ্রুতি বিজেপির। আজ, রবিবার ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই তিনি ভয়ঙ্কর দাবি কর্ন। বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা ঝাড়খণ্ডের মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করছে।

ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হলে, রাজ্যে অনুপ্রবেশ বন্ধ করা হবে বলেই প্রতিশ্রুতি দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “হেমন্ত সোরেনের সরকারের হাতে ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীরা সুরক্ষিত নয়। সাঁওতাল পরগণায় আদিবাসীদের জনসংখ্যা ক্রমশ কমছে। অনুপ্রবেশকারীরা এখানে আসছে এবং স্থানীয় মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করছে, জমি দখল করে নিচ্ছে। যদি এটা বন্ধ না করা যায়, তবে ঝাড়খণ্ডের সংস্কৃতিও রক্ষা হবে না, কর্মসংস্থানও হবে না। রাজ্যের মেয়েরাও সুরক্ষিত থাকবে না। সেই কারণেই বিজেপি রুটি, বেটি ও মাটিকে সুরক্ষা দেওয়ার স্লোগান দিচ্ছে।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা আজ সংকল্প পত্র প্রকাশ করছি। ভারতীয় জনতা পার্টি বাকি রাজনৈতিক দলের থেকে আলাদা, কারণ রাজনীতি শুধুমাত্র আমাদের দলই যা বলে, তাই করে। যেখানেই বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে, সেখানেই সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। এটাই আমাদের ট্রাক রেকর্ড। সেই কারণেই ঝাড়খণ্ডের মানুষ, বিশেষ করে গরিব, আদিবাসী ও দলিত মানুষেরা আমাদের সংকল্প পত্রের দিকে অনেক আশা নিয়ে তাকিয়ে রয়েছে।”

এদিনের ইস্তেহারে আদিবাসীদের অভিন্ন দেওয়ানি বিধি থেকে ছাড়, বিনামূল্যে ২টি এলপিজি সিলিন্ডার, মহিলাদের মাসে ২১০০ টাকা এবং স্নাতক-স্নাতকোত্তর যুবদের ২০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগেও বিজেপির একাধিক নেতা দাবি করেছেন যে অনুপ্রবেশকারীদের ঠেলায় ঝাড়খণ্ডের জনবৈচিত্র পরিবর্তন হচ্ছে। সম্প্রতিই অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির ঝাড়খণ্ডের ইনচার্জ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন যে ঝাড়খণ্ডে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে এবং আদিবাসীদের সংখ্য়া কমছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও অনুপ্রবেশ এবং আদিবাসী মেয়েদের বিয়ে করার প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন।

আগামী ১৩ নভেম্বর ও ২০ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের ফল প্রকাশ হবে আগামী ২৩ নভেম্বর।