নয়া দিল্লি: লোকসভা ভোট প্রায় শেষ পর্বে। বাকি আর এক দফা। শনিবার সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ। তার আগে টিভি নাইন ভারতবর্ষকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বিজেপির নীতি এবং বিভিন্ন নির্বাচনী ইস্যুতে নিজের মতামত তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটকেও তুমুল সমালোচনায় বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সেনাপতি। টিভি নাইন ভারতবর্ষকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বিরোধীদের জোট প্রসঙ্গে শাহ বলেন, ‘এটা কোনও নীতিগত জোট নয়। এখানে সবাই নিজেদের স্বার্থে জোটে সামিল হয়েছে। এটা যদি কোনও নৈতিক জোট হত, তাহলে বিরোধী দলগুলি সবাই একসঙ্গে মিলে গোটা দেশব্যাপী ভোটে নামত।’
বাংলায় প্রাদেশিক সমীকরণে খোঁচা শাহের
বিরোধীদের জোট নিয়ে তাঁর এই মতামতের ব্যাখ্যা দিতে দিয়ে বিভিন্ন রাজ্য প্রাদেশিক সমীকরণের কথা তুলে ধরেন অমিত শাহ। উঠে আসে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একলা লড়ার সিদ্ধান্তের কথাও। বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে শাহ বলেন, ‘জোটের হাল দেখুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় একাই ভোটে লড়ছেন। সেখানে তিনি বামেদের সঙ্গেও নেই, কংগ্রেসের সঙ্গেও নেই। অথচ তিনটি দলই ইন্ডি-জোটের শরিক।’ শুধু বাংলার প্রাদেশিক সমীকরণই নয়, অন্যান্য রাজ্যেও বিরোধীদের আঞ্চলিক সমীকরণের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন অমিত শাহ।
টিভি নাইন ভারতবর্ষকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘কেজরীবাল দিল্লিতে, গুজরাটে ও হরিয়ানায় কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছেন। এদিকে আবার পঞ্জাবে একাই ভোটে লড়ছে তাঁর দল। কেরলে কংগ্রেস ও বামেরা আলাদা আলাদাভাবে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছে, কিন্তু তারা আবার জোটেও আছে। আমি বুঝতে পারছি না, এটা কী ধরনের জোট! কোথাও এরা একসঙ্গে লড়ছে, তো কোথাও আবার একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়ছে।’
দিল্লিতে ক্লিন সুইপ, আত্মবিশ্বাসী শাহ
এবারের লোকসভা ভোটে দিল্লিতে ক্লিন সুইপের বিষয়েও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী মোদীর সেনাপতি। টিভি নাইন ভারতবর্ষকে তিনি বলেন, ‘দিল্লির সাত আসনেই বিজেপি জিতছে।’ সঙ্গে আপ আদমি পার্টিকেও খোঁচা দিয়ে শাহর পরামর্শ, কেজরীবালের সময় এসেছে তাঁর উত্তরসূরিকে বেছে নেওয়ার। আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরীবালের বিরুদ্ধে উঠে আসা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এককালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেই কেজরীবাল সরকার গঠন করেছিলেন। আর এখন তিনি সেই কংগ্রেসের সঙ্গেই হাত মিলিয়ে ভোটে লড়ছেন।’
পঞ্জাবেও বিজেপির ভাল ফলের আশায় শাহ
এবারের লোকসভা নির্বাচনে পঞ্জাবে বিজেপির লড়াই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পঞ্জাবে খুব ভালভাবে ভোটে লড়েছি।’ উল্লেখ্য পঞ্জাবে একটি অন্যতম বড় সমস্যা হল নেশাজাত দ্রব্য। নেশা-মুক্ত পঞ্জাবের প্রশ্নে তাঁর জবাব, ‘মোদি সরকার পঞ্জাব-সহ গোটা দেশে মাদক কারবারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। গত দশ বছরে মাদক কারবারের পায়ে শিকল পরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’