Vande Bharat Express: বন্দে ভারতে চেপেই যাওয়া যাবে সিকিম, চিন সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথের পরিকল্পনা কেন্দ্রের
Vande Bharat Express: সিকিমেও শুরু হবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পরিষেবা। সিকিমে তিনদিনের সফরে এই রেল সংযোগের কাজ তদারকি করে এসেছেন রেলমন্ত্রী।
গ্য়াংটক: তিনদিনের সফরে সিকিমে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। এই সফরকালেই সিকিমে (Sikkim) দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, ভবিষ্যতে নাথুলাতে ভারত-চিন সীমান্ত পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। এর পাশাপাশি সিকিমের জন্য সেমি-হাই স্পিড ট্রেন বন্দে ভারতেরও ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। এর ফলে সিকিম পৌঁছনোর সময়ও কমে যাবে যাত্রীদের জন্য।
অশ্বিনী বৈষ্ণব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বেরর মধ্যেই সিকিম পাবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সেবক-রংপো রেলওয়ে প্রকল্পের অধীনে রংপো পর্যন্ত পৌঁছে যাবে এই সেমি হাই স্পিড ট্রেন। তিনি জানিয়েছেন, শীঘ্রই গ্যাংটক পর্যন্তও রেললাইন সম্প্রসারণ করা হবে। শুধু তাই নয়, রেলমনমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারত-চিন সীমান্তের নাথুলা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। তিনি জানিয়েছেন, সিকিমে এই রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে রাজধানী গ্যাংটক পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ করা হবে।
সোমবার সম্মান ভবন থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে অশ্বিনী বলেন, “উত্তরবঙ্গের সেবক টার্মিনাল থেকে রাংপো পর্যন্ত সিকিম রেলওয়ে প্রকল্পটি হিমালয় অঞ্চলের মধ্যে সুড়ঙ্গ এবং সেতুর কারণে খুব কঠিন প্রকল্প। তবে এর কাজ খুব ভালভাবে এগিয়ে চলেছে। সিকিমবাসীর প্রতি আমাদের অঙ্গীকার হল ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বন্দে ভারত ট্রেন রংপোতে আসবে।” প্রসঙ্গত, সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত এই রেল সংযোগ মোটামুটি ৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এর মধ্যে ১৪ টি সুড়ঙ্গ, ২২ টি সেতু ও পাঁচটি রেলওয়ে স্টেশন পড়বে।
রংপোর পরেও গ্যাংটক পর্যন্ত এই রেললাইন বিস্তারের পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, “রংপোই শেষ স্টেশন হবে আমাদের এরকম ভাবলে চলবে না। গ্য়াংটক পর্যবন্ত এই রেললাইনকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের কাজ করা উচিত। এমনকী সীমান্তের এলাকা পর্যন্ত এই রেল সংযোগ গড়ে তোলা উচিত।” তিনি এ দিন স্পষ্ট করেন যে গ্য়াংটক থেক নাথুলা সীমান্ত পর্যন্তই এই রেল সংযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। প্রসঙ্গত, আগে সিকিম যেতে হলে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত ট্রেনে বা বিমানে করে যেতে হত পর্যটকদের। তারপর সেখান থেকে গাড়িতে করে সড়কপথে পৌঁছতে গত গ্যাংটকে। তবে এই রেল সংযোগ গড়ে উঠলে রেলপথে পৌঁছনো যাবে সিকিম। এর ফলে পর্যটকদের সময়ও বাঁচবে অনেকটা।