লখনউ: ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে হতাশাজনক ফলের পর উত্তর প্রদেশে ক্রমশ ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করেছে বিজেপি। ফলস্বরূপ, এ বার উত্তর প্রদেশ ব্লক পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচনে প্রায় একতরফা জয় ছিনিয়ে আনল গেরুয়া শিবির। ২০২২ সালে দেশের বৃহত্তর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে যা স্বস্তি দিচ্ছে যোগী আদিত্যনাথকে। ব্লক পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান নির্বাচনে রাজ্যের ৪৭৬ টি ব্লকের মধ্যে ৩৪৯ টি ব্লকে কোনও ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা’ হয়নি। এর মধ্যে ৩৩৪ টি ব্লকে জয়লাভ করেছে পদ্মশিবির। সমাজবাদী পার্টি জয়লাভ করেছে কেবল ৭ টি ব্লকে।
শনিবারই ৩৪৯ টি ব্লকের প্রধান বেছে নিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচন চলাকালীন একাধিক এলাকায় অশান্তির ঘটনা ঘটে। মৃদু লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। সমাজবাদী পার্টির পক্ষ থেকে ভোটে এবং গণনায় কারচুপির অভিযোগও তোলা হয়। যদিও তা নস্যাৎ করেই রীতিমতো রেকর্ড ব্যবধানে জেতে বিজেপি। লখনউ এবং কনৌজের ৮ টি, মোরাদাবাদের ৬ টি এবং ভাদোহির ৩ টি আসন বিজেপি জয়লাভ করেছে। এ বাদেও জয় এসেছে সীতাপুরের ১৫ টি এবং হরদইয়ের ১৪ টি আসনে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল আগ্রার ১৪ টি আসনেও। প্রত্যাশিতভাবে সেখানেও বিজেপি জিতেছে।
এমনকী, সমাজবাদী পার্টির গড় হিসেবে পরিচিত আজমগঢ়েও এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। আজমগঢ়ের ২২ টি আসনের মধ্যে ১২ টি বিজেপি জয়লাভ করেছে, সমাজবাদী পার্টি জিতেছে ৩ টি আসনে। ব্লক পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচনে জয়লাভ করার পর উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। এক সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, “এই ফলাফল কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে ভাল কাজ করার আর্শীবাদ।”
আরও পড়ুন: ৯০ শতাংশ কোটিপতি, মোদীর মন্ত্রিসভার ৩৩ সদস্যের বিরুদ্ধেই রয়েছে ফৌজদারি মামলা
যদিও শনিবারের এই নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর ‘ভোট পরবর্তী হিংসার’ অভিযোগ ওঠে। বেশ কয়েকটি জেলায় অল্পবিস্তর লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশও। তবে প্রাণহানীর কোনও ঘটনা ঘটেনি। ইটাওয়ার মতো জেলায় পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষাপাতিত্বের অভিযোগ তুলে এক পুলিশ আধিকারিককে থাপ্পড় মারার ঘটনাও ঘটে। কিন্তু ভোট গণনার প্রক্রিয়ায় কোনও ছেদ পড়েনি।