IAS Officer : ‘ও নড়তে পারছে না’, আহত শিশুকে দেখে কেঁদে ফেললেন আইএএস অফিসার, মুহূর্তে ভাইরাল ভিডিয়ো
IAS Officer : হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ নিতে গিয়ে এক আহত শিশুকে দেখে কেঁদে ফেললেন আইএএস অফিসার। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
লখনউ : দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন আইএএস অফিসার। সেখানে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বেদনা দেখে কেঁদে ফেললেন উত্তর প্রদেশের এক আইএএস অফিসার। তাঁর হাসপাতালে সফরে এক দক্ষ প্রশাসকের ছবি ধরা পড়েছে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। সেরকমই তাঁর মানবিক রূপ ও কোমল হৃদয়ও প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। লখনউয়ের ডিভিশনাল কমিশনার রোশন জ্যাকবের সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আইএএস অফিসারের এই সহৃদয় আচরণ দেখে তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজ়েনরা।
গতকাল লখিমপুর খেরিতে যাত্রী বোঝাই বাস ও একটি মিনি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সেই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন অন্তত ১০ জন। আহত হয়েছিলেন ২৫ জনেরও বেশি। তাঁদের স্থানীয় জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন আহতরা যথাযথ পরিষেবা পাচ্ছেন কি না তা নিশ্চিত করতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন লখনউয়ের ডিভিশনাল কমিশনার রোশন জ্যাকব। সেখানে আহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। সেই সময় এক মহিলা রোশনের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁর রোগী সেই হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন না।
#WATCH |Lakhimpur Kheri bus-truck collision: Lucknow Divisional Commissioner Dr Roshan Jacob breaks down as she interacts with a mother at a hospital&sees condition of her injured child
At least 7 people died&25 hospitalised in the accident; 14 of the injured referred to Lucknow pic.twitter.com/EGBDXrZy2C
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) September 28, 2022
তাঁর অভিযোগ শুনে রোগীর ওয়ার্ডে যান আইএস অফিসার। সেখানে গিয়েই এক ১০ বছরের শিশুকে বিছানা শুয়ে থাকতে দেখেন। সেই শিশুকে কষ্ট পেতে দেখে কেঁদে ফেলেন রোশন। জানা গিয়েছে, সদর কোতওয়ালি এলাকায় বাজপেই গ্রামে দেওয়াল ধসে আহত হয়েছে সেই বালক। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সেই শিশুর শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা নিয়ে কথা বলেন। তাঁকে ভিডিয়োতে বলতে শোনা যায়, ‘ওর কিছুর দরকার আছে…ও নড়তে পারছে না…মনে হয় ওর ফ্র্যাকচার হয়েছে।’ তিনি কর্তৃপক্ষকে এই শিশুকে অন্য কোথাও না পাঠিয়ে সেই হাসপাতালেই ডাক্তার ডাকার ব্যবস্থা করতে বলেন। কারণ ওই শিশুর পরিবারের পক্ষে বাইরের হাসপাতালের খরচ বহন করা সম্ভব নয়। সেই শিশুর কষ্ট দেখে কেঁদেও ফেলেন এই আইপিএস অফিসার। তাতেই মন ভরে গিয়েছে নেটিজ়েনদের। এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেখানে এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘গ্রাউন্ডে পরিবর্তন আনার জন্য আরও এরকম সহানুভূতিশীল প্রশাসক ও আধিকারিক থাকা দরকার।’ আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘তিনি প্রকৃত অর্থে সরকারি আধিকারিক’।