নয়া দিল্লি: কিছুদিন আগেই প্রবল বৃষ্টিতে কার্যত ভেসে গিয়েছিল কেরল (Kerala)। বন্যায় (Flood) মৃত্যুও হয় অনেকের। এরই মধ্যে ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি। কেরল সহ একাধিক রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত (Heavy Rain) হতে পারে বলে সতর্ক করল মৌসম ভবন (IMD)। শুধু কেরল নয়, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্নাটকের উপকূলবর্তী অঞ্চলেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে বৃহস্পতিবার সতর্কবার্তা জারি করেছে মৌসম ভবন। ৪৮ ঘন্টার জন্য জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।
বৃহস্পতিবার থেকেই আবহাওয়ার পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে দক্ষিণের এই সব রাজ্যগুলিতে। আগামী সোমবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতিই বজায় থাকবে বলে জানান হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। শুধু তাই নয়, অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকাতেও এই বৃষ্টি হবে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে কর্নাটকেও। সে রাজ্যের উপকূল এলাকায় এই বৃষ্টি হবে আগামিকাল শুক্রবার থেকে।
মূলত দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হওয়া একটি নিম্নচাপের কারণেই এই বৃষ্টি বলে জানানো হয়েছে মৌসম ভবনের তরফে। একটি অক্ষরেখা উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। যার জেরে বৃহস্পতিবার উপকূলের এলাকাগুলিতে হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেটি ক্রমশ দেশের পশ্চিমীমুখী হবে।
কেরলে গত ১৫ অক্টোবর থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। একটানা অতি বৃষ্টির জেরে যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে মোট ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১১ জন। সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কোট্টায়াম এবং ইদুক্কি জেলায়। ভূমিধসের কারণে ভেঙে গিয়েছে একাধিক বাড়ি, ঘরছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ।
আরও পড়ুন : একদিনে বাংলার সংক্রমণ হাজার ছুঁই ছুঁই, শীর্ষে কলকাতা
দক্ষিণ ভারত বৃষ্টিতে ভাসলেও উত্তর ভারতে ধীরে ধীরে প্রবেশ করছে শীত। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই দিল্লির তাপমাত্রা কমে ১২ ডিগ্রিতে দাঁড়াতে পারে। হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর ও দিল্লিতে ২ নভেম্বর থেকে মেঘলা আবহাওয়া থাকবে। জম্মু-কাশ্মীর ও হিমাচলে হালকা বৃষ্টি ও তুষারপাতও হতে পারে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। উত্তর ভারতের বাকি অংশগুলিতেও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি করে তাপমাত্রা কমার ফলে রাত বাড়লেই শীতের আমেজ উপভোগ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : নিরাপত্তা বাড়ছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের, হুমকি-চিঠির পরই পরিকল্পনা নবান্নের