India in UN: ‘গণতন্ত্রে কী করতে হবে, তা আমাদের বলতে হবে না’, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে কড়া বার্তা ভারতের
United Nations: রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে দুই বছরের জন্য অস্থায়ী সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিল ভারত। এবার ১৫ সদস্য়ের এই নিরাপত্তা কাউন্সিলেই ডিসেম্বর মাসের জন্য সভাপতিত্বের দায়িত্ব পেল ভারত।
জেনেভা: ‘গণতন্ত্রে কী করতে হবে, তা ভারতকে বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই’, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে এমনই কঠোর বার্তা দিলেন ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। বৃহস্পতিবার ১৫ সদস্যের রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভায় সন্ত্রাসবাদ দমন ও বহুপাক্ষিকতা নিয়ে আলোচনাতেই ভারতের গণতন্ত্র ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি। চলতি ডিসেম্বর মাসের জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভাপতিত্বের দায়িত্ব পেয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবারই আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত এই দায়িত্ব গ্রহণ করে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে দুই বছরের জন্য অস্থায়ী সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিল ভারত। এবার ১৫ সদস্য়ের এই নিরাপত্তা কাউন্সিলেই ডিসেম্বর মাসের জন্য সভাপতিত্বের দায়িত্ব পেল ভারত। অন্যদিকে, রুচিরা কম্বোজ রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রথম মহিলা স্থায়ী প্রতিনিধি। ভারতের সভাপতিত্বের প্রথম দিনেই তিনি চলতি মাসের কর্মসূচি নিয়ে বক্তব্য রাখেন। সেখানেই ভারতের গণতন্ত্র ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে তিনি বলেন, “এই প্রশ্নের উত্তরে আমি একটাই কথা বলতে চাই, গণতন্ত্রে কী করতে হয়, তা নিয়ে আমাদের বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।”
তিনি বলেন, “আপনারা সকলেই জানেন, ভারত হয়তো বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা। ভারতে গণতন্ত্রের শিকড় ২৫০০ বছরের পুরনো। আমাদের সবসময় গণতন্ত্র রয়েছে। সাম্প্রতিককালের উদাহরণেও বলতে পারি, গণতন্ত্রের চারটি স্তম্ভ- আইনসভা, বিচার ব্যবস্থা, কার্যনির্বাহী বিভাগ ও সংবাদমাধ্যম। আমাদের সমাজ মাধ্য়মও অত্য়ন্ত রঙীন ও উজ্জ্বল। সেই কারণেই আমাদের দেশের গণতন্ত্র বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র।”
রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, “প্রত্যেক পাঁচ বছর অন্তরই আমরা গণতন্ত্রের সবথেকে বড় অনুশীলন, নির্বাচন করি। সকলেরই নিজেদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে, এভাবেই আমাদের দেশ পরিচালিত হয়। পরিবর্তন ও রূপান্তরের মাধ্যমে আমরা এগিয়ে চলেছি। আমার এই কথা বলার প্রয়োজন নেই, আপনাদেরও আমার কথা শুনতে হবে না। কারণ বাকিরাও এই কথাই বলেন।”