নয়া দিল্লি: প্রতি বছর ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের উদাসীনতা-অসহযোগিতার কারণে এই বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ছে কলকাতা মেট্রো। বলছে রেল। তবে শুধু মেট্রো নয়, জমি অধিগ্রহণে রাজ্য সরকারের গড়িমসির কারণেই পশ্চিমবঙ্গে থমকে আছে রেলের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ। রাজ্যসভায় লিখিত প্রশ্নোত্তরে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূলের হাতে রেলমন্ত্রক থাকার সময়কাল বা ২০০৯-১৪ ইউপিএ ২ সরকারের তুলনায় ২০২৪-২৫ চলতি অর্থবর্ষেই পশ্চিমবঙ্গের রেল প্রকল্পে তিন গুণ বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন রেলমন্ত্রী। তাঁর দেওয়া তথ্য বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রেল প্রকল্পের জন্য প্রতি বছর ৪৩৮০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেখানে শুধু ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৩,৯৪১ কোটি টাকা।
পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তাবিত রেল প্রকল্পের জন্য মোট জমির প্রয়োজন ৩০৪০ হেক্টর। এর মধ্যে অধিগৃহীত জমির পরিমাণ ৬৪০ হেক্টর। মোট প্রয়োজনের মাত্র ২১ শতাংশ। এখনও ২৪০০ হেক্টর বা ৭৯ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
কোন প্রকল্পে কত পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ বাকি রয়েছে তাও পরিসংখ্যান দিয়ে তুলে ধরেছেন রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। নবদ্বীপ ঘাট-নবদ্বীপ ধাম নিউ লাইনের মোট ১০৬.৮৬ হেক্টর জমির প্রয়োজন। কিন্তু এখনও ১০৬.৬৯ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ বাকি রয়েছে। পাশাপাশি চন্দনেশ্বর-জলেশ্বর নিউ লাইনে মোট জমি প্রয়োজন ১৫৮ হেক্টর। ১ ইঞ্চি জমিও এখনও অধিগ্রহণ করেনি রাজ্য সরকার। নৈহাটি-রানাঘাট থার্ড লাইনে মোট জমির প্রয়োজন ৮৭.৮৩ হেক্টর। অধিগ্রহণ হয়েছে মাত্র ০.০৯ হেক্টর। এখনও ৮৭.৭৪ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ বাকি রয়েছে।
বালুরঘাট-হিলি নিউ লাইনে মোট জমির প্রয়োজন ১৫৬.৩৮ হেক্টর। অধিগ্রহণ হয়েছে ৬৭.৩৮ হেক্টর। এখনও ৮৮ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ বাকি। সাঁইথিয়া এবং সীতারামপুরে বাইপাসে মোট জমির প্রয়োজন ২২.২৮ হেক্টর। অধিগ্রহণ হয়েছে ২.২২ হেক্টর। ২২.০৬ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ এখনও বাকি বলে জানাচ্ছে রেল মন্ত্রক।