Anubrata Mondal: কেষ্ট-হীন বীরভূমে কী হবে তৃণমূলের ‘প্ল্যান বি’? পঞ্চায়েতের আগে জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অভিষেক
Abhishek Banerjee: তৃণমূল শিবির কি 'প্ল্যান বি' তৈরি রাখছে কেষ্টভূমের জন্য? শুক্রবার দুপুর তিনটে নাগাদ ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বীরভূমের জেলা নেতৃত্বের বৈঠক ঘিরে এমনই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
কলকাতা: ‘বীরভূমের বাঘ’ এখনও জেলে। কবে ছাড়া পাবেন কোনও নিশ্চয়তা নেই। এমন অবস্থায় পঞ্চায়েতের আগে কী হবে তৃণমূলের ‘প্ল্যান বি’? তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। আর এমনই এক অবস্থায় ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে তৃণমূল বীরভূম জেলা নেতৃত্বের বৈঠক ঘিরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাঁর আইনজীবীরাও এদিন জামিনের জন্য আবেদন করেননি। ফলে আপাতত গারদের দিনযাপন করতে হবে অনুব্রতকে। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটও এগিয়ে আসছে। ভোটের আগে কি জামিন পাবেন ‘কেষ্ট’? ‘বীরভূমের বাঘ’ ফিরবেন কি নিজের গড়ে? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খেতে শুরু করে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে।
অনুব্রত যদিও মাঝে মধ্যেই এজলাসে আসা-যাওয়ার পথে দলীয় কর্মীদের পঞ্চায়েতের টিপস দিচ্ছেন। বলছেন, তিনি চিরকাল জেলে থাকবেন না। কিন্তু যদি তিনি জামিন না পান? সেক্ষেত্রে? তৃণমূল শিবির কি ‘প্ল্যান বি’ তৈরি রাখছে কেষ্টভূমের জন্য? শুক্রবার দুপুর তিনটে নাগাদ ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে বীরভূমের জেলা নেতৃত্বের বৈঠক ঘিরে এমনই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
অনেকদিন আগে থেকেই পঞ্চায়েতের জন্য ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল শিবির। জেলাওয়াড়ি বৈঠক শুরু করে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বীরভূম জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে এতদিন সেই বৈঠক হয়নি। শুক্রবার ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে বীরভূমের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেষ্ট-হীন বীরভূমে পঞ্চায়েতের আগে সংগঠনের রাশ যাতে কোনওভাবেই আলগা না হয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। আর সেই কারণেই এই বৈঠক বলে মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা। কেষ্ট-হীন বীরভূমের নিয়ন্ত্রণ কি এবার খানিক নিজের হাতে রাখতে চাইছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক? বৈঠক ঘিরে এমন জল্পনাও দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, রানা সিংহ, চন্দ্রনাথ সিংহ থেকে শুরু করে বীরভূমে জেলা প্রথম সারির প্রায় সব নেতারাই এদিন ক্যামাক স্ট্রিটের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। জেলাস্তরে এরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ মুখ। কিন্তু এতদিন বীরভূমে তৃণমূলের সাংগঠনিক রাশ ছিল অনুব্রতর হাতেই। তবে এখন তিনি রয়েছেন জেল হেফাজতে। কবে তিনি জেল থেকে বেরোবেন, তা নিয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় দলকে এককাট্টা রাখতে গুরুত্বপূর্ণ টোটকা উঠে আসতে পারে ক্যামাক স্ট্রিটের এই বৈঠক থেকে। অন্তত এমনই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা।
যদিও তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব বরাবরই অনুব্রতর পাশেই থেকেছে। ‘কেষ্ট’কে বীরের সম্মান দেওয়ার কথা বলেছিলেন মমতা। ফিরহাদ আবার তাঁকে বাঘের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, চিরদিন আটকে রাখা যাবে না। অতীতে অনুব্রত মণ্ডলের আসন ফাঁকা রেখেই বৈঠকে বসতে দেখা গিয়েছে বীরভূম জেলা নেতৃত্বকে। এখন দেখার কেষ্টহীন বীরভূমে পঞ্চায়েতের ঘুঁটি সাজাতে নতুন কোনও পন্থা শাসক শিবির নেয় কি না।