কলকাতা: শনিবারই বিবাদী বাগ থেকে বিপুল আফগানি মুদ্রা-সহ দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছিল শুল্ক দফতর। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় ২৫.৮ লক্ষ বেআইনি আফগানি মুদ্রা উদ্ধার হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তবে কি এবার বড় কোনও চক্রের লক্ষ্য বাংলা হয়ে উঠছে?
কাঁধে একে ৪৭। হাতে ওয়াকিটকি। পরণে আফগানি পোশাক। খোস্ত-খোরাসানের রুক্ষ্ম পাথুরে মাটিতে দারি-পুস্ত-আরবি’র মধ্যেও শোনা যাচ্ছে বিশুদ্ধ বাংলা। সংখ্যায় কম হলেও, তালিবানের জন্ম লগ্ন থেকে আফগানিস্তানের মাটিতে তালিবানের হয়ে লড়াই করেছে কয়েকশো বাঙালি যুবক। নয়ের দশকে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর তারাই ফিরে এসে বাংলাদেশের মাটিতে তৈরি করে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ ওরফে জেএমবি। বাংলা ভাইয়ের উত্তরসূরীরাও একই ভাবে জেহাদের ডাকে পাড়ি দিয়েছে তালিবানের দেশে। আফগানিস্তানের তখ্তে তালিবান আসতেই এই বাঙালি মুজাহিদদের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ শুরু করেছে জেএমবি, আনসার উল ইসলামের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি।
কিছুদিন আগেই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। যে ভিডিয়োও দেখা যায় আফগানিস্তানে তালিবান শিবিরে যোগ দেওয়ার জন্য স্পষ্ট বাংলায় আহ্বান জানানো হচ্ছে। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তবে কি এবার বাংলাভাষীরাই তালিব-টার্গেটে। গোয়েন্দারাও মনে করছে, ভিডিয়ো প্রকাশের উদ্দেশ্য বাংলাভাষী যুবকদের আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠানো। জেহাদের ডাকে তালিবানে নাম লেখাতে দেশও ছেড়েছে অনেক যুবক। বাংলাদেশি কিছু যুবক ভারতে অনুপ্রবেশ করে আফগানিস্তানের উদ্দেশে রওনা হয়। তারা আফগানিস্তানে পৌঁছয় তালিবান বাহিনীতে যোগ দিতে। কয়েকজন বাংলাদেশি যুবককে আটক করা হয়েছে ভারতেও।
শুধু কি বাংলদেশের যুবকদের মধ্যে হিড়িক? সূত্রের খবর, কেরল, কর্নাটক-সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যুবকরা ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের মাটিতে তালিবানের হয়ে অস্ত্র ধরেছে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা সেই দলে থাকতে পারে এ রাজ্যের কিছু যুবকও। এই অনুমানের কারণ হিসাবে সূত্রের দাবি, গত কয়েক বছরে জেএমবি-নব্য জেএমবি-র হাত ধরে এ রাজ্যেও প্রভাব বেড়েছে আল কায়েদা-আইসিসের। চলতি মাসের শুরুর দিকে দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর থেকে তিনজন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতারও করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে জামাত-জঙ্গি গ্রেফতারির তদন্তভার যায় এনআইএ-এর হতে।
পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং বাংলাদেশের বাংলাভাষী যুবকরাই এখন টার্গেট হয়ে উঠছে তালিবানের। আফগানিস্তান তালিব শক্তির মুঠোয় যেতেই সামনে এসেছিল ঝরঝরে বাংলায় কথা বলা আসিফুর রহমানের একটি ভিডিয়ো। বাঙালি মুজাহিদ আসিফুরের এই ভিডিয়ো বুঝিয়ে দিয়েছে বাঙালি ভিতটাও শক্ত করতে চাইছে এই অশুভ শক্তি। গত কয়েক বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমস্ত ধরনের প্রচারে তারা বাংলাকে বিশেষ করে গুরুত্ব দিচ্ছে। সেখানে থেকেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তালিবানের কালো ছায়া থেকে মুক্ত নয় বাংলাও।
শনিবার সূত্র মারফৎ খবর যায় শুল্ক দফতর। ডালহৌসি এলাকায় অভিযান চালায় তারা। ধরা পড়ে দু’ জন। পরে জেরার জানা যায়, কলকাতারই বাসিন্দা ওই দুই ব্যক্তি পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁদের কাছ থেকে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৫.৮ লক্ষ টাকার আফগানি মুদ্রা মেলে। জেরায় তাঁরা জানান, কলকাতাতে ব্যবসা করলেও এই মুদ্রা নদিয়া থেকে তাঁদের হাতে এসেছে। ধৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানান, নদিয়ার রানাঘাটের হাওয়ালা কারবারিদের মাধ্যমে তাঁরা এই বিপুল পরিমাণ আফগানি মুদ্রা পেয়েছেন। কিন্তু কোথা থেকে এ রাজ্যের হাওয়ালা কারবারিরা এত আফগানি মুদ্রা পেল তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা কর্তা জানিয়েছেন, তালিবানের প্রভাব বাংলাদেশে পড়ারই কথা। কিন্তু তা যে এপার বাংলাকে প্রভাবিত করবে না, এমন গ্যারান্টিও দিতে পারেননি তিনি। তাঁর মত, ভারতের উচিৎ বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মাঝে যে পথ রয়েছে তা যেন কোনও ভাবেই ব্যবহার না হয় সেদিকে নজর রাখা। তার জন্য চূড়ান্ত সতর্ক থাকতে হবে। এদিকে প্রায়শই নদিয়া-সহ একাধিক বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে প্রবেশকারী ধরা পড়ে। কোথা থেকে কে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে রাজ্যে ঢুকছে তা জোর দিয়ে বলা প্রকৃতই শক্ত বলে মনে করছে গোয়েন্দারা। আরও পড়ুন: মেঝেতে খেলছিল একরত্তি , হঠাৎ মা দেখেন প্রেশার কুকারে মুখ আটকে গিয়েছে বাচ্চার…
কলকাতা: শনিবারই বিবাদী বাগ থেকে বিপুল আফগানি মুদ্রা-সহ দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছিল শুল্ক দফতর। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় ২৫.৮ লক্ষ বেআইনি আফগানি মুদ্রা উদ্ধার হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তবে কি এবার বড় কোনও চক্রের লক্ষ্য বাংলা হয়ে উঠছে?
কাঁধে একে ৪৭। হাতে ওয়াকিটকি। পরণে আফগানি পোশাক। খোস্ত-খোরাসানের রুক্ষ্ম পাথুরে মাটিতে দারি-পুস্ত-আরবি’র মধ্যেও শোনা যাচ্ছে বিশুদ্ধ বাংলা। সংখ্যায় কম হলেও, তালিবানের জন্ম লগ্ন থেকে আফগানিস্তানের মাটিতে তালিবানের হয়ে লড়াই করেছে কয়েকশো বাঙালি যুবক। নয়ের দশকে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর তারাই ফিরে এসে বাংলাদেশের মাটিতে তৈরি করে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ ওরফে জেএমবি। বাংলা ভাইয়ের উত্তরসূরীরাও একই ভাবে জেহাদের ডাকে পাড়ি দিয়েছে তালিবানের দেশে। আফগানিস্তানের তখ্তে তালিবান আসতেই এই বাঙালি মুজাহিদদের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ শুরু করেছে জেএমবি, আনসার উল ইসলামের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি।
কিছুদিন আগেই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। যে ভিডিয়োও দেখা যায় আফগানিস্তানে তালিবান শিবিরে যোগ দেওয়ার জন্য স্পষ্ট বাংলায় আহ্বান জানানো হচ্ছে। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তবে কি এবার বাংলাভাষীরাই তালিব-টার্গেটে। গোয়েন্দারাও মনে করছে, ভিডিয়ো প্রকাশের উদ্দেশ্য বাংলাভাষী যুবকদের আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠানো। জেহাদের ডাকে তালিবানে নাম লেখাতে দেশও ছেড়েছে অনেক যুবক। বাংলাদেশি কিছু যুবক ভারতে অনুপ্রবেশ করে আফগানিস্তানের উদ্দেশে রওনা হয়। তারা আফগানিস্তানে পৌঁছয় তালিবান বাহিনীতে যোগ দিতে। কয়েকজন বাংলাদেশি যুবককে আটক করা হয়েছে ভারতেও।
শুধু কি বাংলদেশের যুবকদের মধ্যে হিড়িক? সূত্রের খবর, কেরল, কর্নাটক-সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যুবকরা ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের মাটিতে তালিবানের হয়ে অস্ত্র ধরেছে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা সেই দলে থাকতে পারে এ রাজ্যের কিছু যুবকও। এই অনুমানের কারণ হিসাবে সূত্রের দাবি, গত কয়েক বছরে জেএমবি-নব্য জেএমবি-র হাত ধরে এ রাজ্যেও প্রভাব বেড়েছে আল কায়েদা-আইসিসের। চলতি মাসের শুরুর দিকে দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর থেকে তিনজন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতারও করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে জামাত-জঙ্গি গ্রেফতারির তদন্তভার যায় এনআইএ-এর হতে।
পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং বাংলাদেশের বাংলাভাষী যুবকরাই এখন টার্গেট হয়ে উঠছে তালিবানের। আফগানিস্তান তালিব শক্তির মুঠোয় যেতেই সামনে এসেছিল ঝরঝরে বাংলায় কথা বলা আসিফুর রহমানের একটি ভিডিয়ো। বাঙালি মুজাহিদ আসিফুরের এই ভিডিয়ো বুঝিয়ে দিয়েছে বাঙালি ভিতটাও শক্ত করতে চাইছে এই অশুভ শক্তি। গত কয়েক বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমস্ত ধরনের প্রচারে তারা বাংলাকে বিশেষ করে গুরুত্ব দিচ্ছে। সেখানে থেকেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তালিবানের কালো ছায়া থেকে মুক্ত নয় বাংলাও।
শনিবার সূত্র মারফৎ খবর যায় শুল্ক দফতর। ডালহৌসি এলাকায় অভিযান চালায় তারা। ধরা পড়ে দু’ জন। পরে জেরার জানা যায়, কলকাতারই বাসিন্দা ওই দুই ব্যক্তি পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁদের কাছ থেকে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৫.৮ লক্ষ টাকার আফগানি মুদ্রা মেলে। জেরায় তাঁরা জানান, কলকাতাতে ব্যবসা করলেও এই মুদ্রা নদিয়া থেকে তাঁদের হাতে এসেছে। ধৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানান, নদিয়ার রানাঘাটের হাওয়ালা কারবারিদের মাধ্যমে তাঁরা এই বিপুল পরিমাণ আফগানি মুদ্রা পেয়েছেন। কিন্তু কোথা থেকে এ রাজ্যের হাওয়ালা কারবারিরা এত আফগানি মুদ্রা পেল তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা কর্তা জানিয়েছেন, তালিবানের প্রভাব বাংলাদেশে পড়ারই কথা। কিন্তু তা যে এপার বাংলাকে প্রভাবিত করবে না, এমন গ্যারান্টিও দিতে পারেননি তিনি। তাঁর মত, ভারতের উচিৎ বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মাঝে যে পথ রয়েছে তা যেন কোনও ভাবেই ব্যবহার না হয় সেদিকে নজর রাখা। তার জন্য চূড়ান্ত সতর্ক থাকতে হবে। এদিকে প্রায়শই নদিয়া-সহ একাধিক বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে প্রবেশকারী ধরা পড়ে। কোথা থেকে কে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে রাজ্যে ঢুকছে তা জোর দিয়ে বলা প্রকৃতই শক্ত বলে মনে করছে গোয়েন্দারা। আরও পড়ুন: মেঝেতে খেলছিল একরত্তি , হঠাৎ মা দেখেন প্রেশার কুকারে মুখ আটকে গিয়েছে বাচ্চার…