Kestopur Student Death: অতনুর বাড়িতে ঢুকলেন অদিতি, বাধা পেয়ে ফিরতে হল সুকান্তকে
Sukanta Majumdar: প্রতিবেশীদের বক্তব্য, অতনুর মায়ের শারীরিক অবস্থা ভাল নয়, এমন অবস্থায় অতনুর বাড়িতে এমন কোনও পরিস্থিতি তাঁরা চান না, যাতে শরীর আরও খারাপ হয়। ফলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরতে হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে।
কলকাতা : কেষ্টপুরের দুই কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হচ্ছে গোটা রাজ্য। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ওই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছেন বটে, কিন্তু তাতে ভরসা রাখতে পারছে না বিজেপি। ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফ থেকে কেষ্টপুরের ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। এদিন রাতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পৌঁছে গিয়েছিলেন কেষ্টপুরে। গন্তব্য ছিল মৃত কিশোর অতনুর বাড়ি। কিন্তু বাড়ির সামনে থেকে ফিরে যেতে হল সুকান্ত বাবুকে। সুকান্তর বাড়ির কাছে পৌঁছাতেই প্রতিবেশীদের তুমুল বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয় তাঁকে। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, অতনুর মায়ের শারীরিক অবস্থা ভাল নয়, এমন অবস্থায় অতনুর বাড়িতে এমন কোনও পরিস্থিতি তাঁরা চান না, যাতে শরীর আরও খারাপ হয়। ফলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরতে হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। বাড়ির সামনে পৌঁছে গিয়েও দেখা করতে পারলেন না শোকস্তব্ধ পরিবারের সঙ্গে।
সুকান্তকে ঢুকতে বাধা
সুকান্ত বাবু সেখানে যাওয়ার পর চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, “আমি এখান থেকে চলে যাচ্ছি। আর উপায় নেই। আমি এরপর আর যাব না। পরিবারের তরফ থেকে বলছে, শরীর খারাপ। আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলব।” এই বলে সেখান থেকে চলে যান সুকান্ত বাবু।
বাড়িতে দেখা করতে গেলেন অদিতি
যদিও সুকান্ত মজুমদার সেখান থেকে ফিরে যাওয়ার কিছু সময় পরেই দেখা মেলে তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সী। রাত তখন প্রায় সাড়ে দশটা। যদিও তাঁকে কোনও বাধার মুখে পড়তে হয়নি। অদিতে সোজা ঢুকে যান বাড়ির ভিতরে। বিধায়ক অদিতি মুন্সী অতনুর বাড়িতে ঢুকতেই গেট বন্ধ করে দেন প্রতিবেশীরা।
সেখান থেকে বেরিয়ে বিধায়ক বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, আগামীতে অপরাধীর কঠোর থেকে কঠোরতম ব্যবস্থা নেবে। এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ কোথাও, কখনও যাতে না হয়, তা নিয়ে আমাদের সরকার ব্যবস্থা নেবে। ব্যক্তিগত আক্রোশের জন্য হলেও এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধকে আমরা প্রশ্রয় দিই না। এটা যাতে আগামীতে না হয়, তা আমরা নিশ্চিত করব। এই ধরনের বিষয় প্রশ্রয় দেওয়ার মতো নয়, আগামীতেও প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। একজন মানুষের যখন মান ও হুঁশ, দুটিই হারিয়ে যায়, তখন এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ করতে পারে।”
যদিও সুকান্ত মজুমদারের প্রসঙ্গে কোনও কথা বলতে চাননি তিনি। কিছুটা বিরক্ত হয়েই বিধায়ক বলেন, “রাজনীতির গন্ধ এর মধ্যে ছড়াবেন না। আমি জানি না। আমি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।”
এক প্রতিবেশী যুবক জানিয়েছেন, “আমরা এলাকার লোক। আমরা এসব কিছু জানি না। আমরা শুধু একটাই কথা বলছি, অতনুর মায়ের খুব শরীর খারাপ। অতনুর দিদাও রয়েছেন। তিনি সত্তরোর্ধ। আপনারা সেটা জানেন। আমি শুধু বলছি, এখানে যেন কেউ চিৎকার-চেঁচামেচি না করেন। বাকি যে ইচ্ছে আসুন, তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।”
এদিকে কেষ্টপুরের দুই কিশোরের মৃত্যুর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে টুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি লিখেছেন, “বিধাননগর পুলিশের দেহ শনাক্ত করতে কীভাবে দুই সপ্তাহ লেগে গেল? তাঁরা কি প্রটোকল মেনে কাজ করছিলেন না? আশপাশের জেলার থানাগুলিকে কি জানানো হয়নি? এর দোষ কার – বিধাননগর পুলিশের? সিআইডির? নাকি বসিরহাট পুলিশ জেলার?”
How on earth did it take two weeks for @bidhannagarpc to identify them? Aren’t they competent enough to follow protocol? Weren’t the Police Stations of nearby districts informed? Who’s to be blamed for this – @BidhannagarCP, @CIDWestBengal or @BasirhatD?
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) September 6, 2022
এরপর আরও একটি টুইটে শুভেন্দু লিখেছেন, “রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর ডিজিপিকে নির্দেশ দিক, যাতে পুলিশকর্মীদের সঠিক কাজে ব্যবহার করা হয়। তৃণমূল নেতাদের দালালি করতে করতে তাঁদের দক্ষতা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। এর পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নিহতের পরিবার বাগুইআটি পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির যে অভিযোগ তুলছে, তারও তদন্ত করা হোক।”
@HomeBengal instruct DGP @WBPolice to engage the Police Force in Policing. Their efficiency has hit rock bottom by acting as lackeys of TMC leaders. Also probe the allegations of the victim’s family (reported in media) that Baguihati Police was initially reluctant to take action.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) September 6, 2022